marriage market in China how does people find matches
Marriage Market in China
ছাতায় লেখা উচ্চতা, বয়স, ওজন! সেই ছাতা নিয়ে ‘বিয়ের বাজারে’ খোঁজ চলে উপযুক্ত পাত্র-পাত্রীর
এই বাজারের কিন্তু বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ছাতার গায়ে লাগানো থাকে পোস্টার। সেখানেই পাত্র এবং পাত্রীর বিষয়ে সমস্ত তথ্য দেওয়া থাক। অনেক সময় বাজারের ব্যাগেও সেই পোস্টার সাঁটানো থাকে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪ ১৭:০৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
এ বাজার বড় অদ্ভুত! এখানে পাত্র-পাত্রীর সন্ধান চলে। কিন্তু তাঁরা নিজেরা উপস্থিত থাকেন না। তাঁদের হয়ে খোঁজখবর করে বিয়ের চেষ্টা চালান অভিভাবকেরা। গল্পে নয়, বাস্তবেই বিয়ের এই বাজার রয়েছে চিনের সাংহাইতে।
০২১৫
সাংহাইয়ের পিপল্স পার্কে বসে এই ‘বিয়ের বাজার’। বেজিংয়েও বসে বিয়ের বাজার। মূলত এই দুই শহরে বসলেও চিনের আরও কিছু বড় শহরের পার্কে বসে এই ধরনের বাজার।
০৩১৫
পিপল্স পার্কে গিঙ্গকো গাছের নীচে মেলা থাকে সারি সারি রংবেরঙের ছাতা। ভিড় করেন পাত্র বা পাত্রীর মা-বাবা, দাদু বা দিদিমা। তবে পাত্র বা পাত্রী নিজেরা কখনও উপস্থিত থাকেন না।
০৪১৫
এই বাজারের কিন্তু বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ছাতার গায়ে লাগানো থাকে পোস্টার। সেখানেই পাত্র এবং পাত্রীর বিষয়ে সমস্ত তথ্য দেওয়া থাক। অনেক সময় বাজারের ব্যাগেও সেই পোস্টার সাঁটানো থাকে।
০৫১৫
পোস্টারে পাত্র বা পাত্রীর বর্ণনার পাশাপাশি, কেমন পছন্দ, তা-ও জানানো হয়। ঠিক যেমন কাগজ বা ওয়েবসাইটে বিয়ের বিজ্ঞাপনে লেখা থাকে।
০৬১৫
পাত্র বা পাত্রীর উচ্চতা, বয়স, ওজন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরি, বেতন, সম্পত্তির হিসাব— সবই লেখা থাকে সেই সব পোস্টারে।
০৭১৫
অনেক অভিভাবকই ছাতার গায়ে সে সব তথ্য লিখে বাজারে বেরিয়ে পড়েন পাত্র বা পাত্রী খুঁজতে। অনেকে আবার ছাতা নিয়ে বসে থাকেন অপেক্ষায়।
০৮১৫
বেজিংয়ের ঝংশান পার্কেও বসে এই বিয়ের বাজার। সাংহাই এবং বেজিংয়ের দুই পার্কই সবুজে ঘেরা। জনবহুল শহরের মাঝে এক টুকরো সবুজ ময়দানে বসে বিয়ের বাজার।
০৯১৫
এই ময়দানেই এক পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয় অন্য পরিবারের। কখনও সেই পরিচয় পরিণত হয় আত্মীয়তায়। কখনও হয় না। তবে গোটা বিষয়টা চলে বেশ গোপনে।
১০১৫
চিনে এ ভাবে বৈবাহিক সম্বন্ধ করার কায়দা বহু পুরনো। এ দেশের মতো এক সময় চিনেও বিয়ের নেপথ্যে থাকতেন ঘটকেরা। কোন বাড়িতে যোগ্য পাত্র বা পাত্রী রয়েছেন, কার কী যোগ্যতা, সবই নখদর্পণে থাকত তাঁদের।
১১১৫
বেজিংয়ের লংটান পার্কে ২০০৪ সালে শুরু হয়েছিল এই বিয়ের বাজার। সেখানে রোজ সকালে প্রাতর্ভ্রমণ করতে আসতেন অবসরপ্রাপ্তেরা। এসে ছেলেমেয়ের বিয়ে নিয়ে কথা বলতেন। সেই নিয়ে উদ্বেগ থাকত তাঁদের।
১২১৫
কথাবার্তার মাঝেই ছেলেমেয়ের বিষয়ে তথ্য আদানপ্রদান করতেন তাঁরা। সে ভাবে বেশ কয়েক জন প্রবীণ নিজেদের ছেলেমেয়ের জন্য যোগ্য পাত্র-পাত্রীও খুঁজে পান। তার পরেই সেই পার্কে বসতে শুরু করে বিয়ের বাজার। চিনের বেশ কিছু বড় শহরেও চালু হয় এই রীতি।
১৩১৫
চিনে বিয়ের ক্ষেত্রে জ্যোতিষীর পরামর্শও নেওয়া হয়। এই বাজারে যাঁদের সম্বন্ধ স্থির হয়, তাঁদের বিয়ের সাফল্যের হার কী রকম, সেই নিয়ে যদিও কোনও স্পষ্ট পরিসংখ্যান নেই। অনেকে বলছেন, ইদানীং এই বাজার থেকে পাত্র-পাত্রী মেলার হারও কমেছে। কারণ বেশির ভাগ বাবা-মা সমাজমাধ্যম বা ওয়েবসাইটের উপর বেশি নির্ভর করছেন।
১৪১৫
সাংহাইতে বিয়ের বাজার বসে শনি এবং রবিবার দুপুরে। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
১৫১৫
আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে বেজিংয়ের ঝংশান পার্কে রোজ সকালে বসে বিয়ের বাজার।