ফ্যাশন উইক-এর অঙ্গ হিসেবে ম্যানহাটনের লিঙ্কন সেন্টারের একটি শো চলছিল। বন্ধুকে নিয়ে তা দেখতেই তাঁর জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন লিন। তবে ওই শো দেখতে আসা বিদেশি ফোটোগ্রাফারেরা লিনকে দেখামাত্রই তাঁর ফোটো তুলতে শুরু করে দেন। কেতাদুরস্ত লিনকে দেখে তাঁরা ভেবেছিলেন, নিশ্চয়ই তিনি ফ্যাশন জগতের কোনও হোমড়াচোমড়া ব্যক্তিত্ব। সে সময় লিনের বয়স ষাট পেরিয়ে গিয়েছে।
লিনের উপর ক্যামেরার ঝলকানি দেখে নিউ ইয়র্কে বেড়াতে আসা লোকজনও পটাপট তাঁর ফোটো তুলতে শুরু করেন। এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি লিনকে। পরিচয়ের ভুলে রাতারাতি ফ্যাশন মডেল হয়ে যান ষাটোর্ধ্ব লিন। বদলে যায় তাঁরা জীবনও। তবে সাফল্যের এ কাহিনিতে নিজের মশলাপাতিও ঢেলেছেন তিনি। তবে সে কাহিনিতে ঢোকার আগে ফের চলে যাওয়া যাক অধ্যাপক লিনের জীবনে।
তবে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনা লিনের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রাতারাতি লিনের ছবিতে ছবিতে ছয়লাপ হয়ে উঠতে শুরু করে ফ্যাশন পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতা। ওই ঘটনার মাসখানেকের মধ্যে লিন জায়গা করে নেন বিশ্ববন্দিত ‘ডাউনটাউন ম্যাগাজিন’-এ। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে লিনের ব্লগের পাঠকসংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল।
ফ্যাশন নিয়ে গতেবাঁধা ধারণার বদলে তাতে স্বকীয় ভাবনার ছাপ রেখেছেন লিন। তাঁর মতে, ফ্যাশনদুরস্ত পোশাকআশাক আদতে নিজেকে প্রকাশ করার একটি মাধ্যম মাত্র। ফ্যাশন মডেল বলতেই যে হাড় জিরজিরে স্বল্পবয়সি ‘সুন্দরী’র চেহারা ভেসে ওঠে, তাতেও হানা দিয়েছে লিনের বলিরেখা ভরা মুখ। পাকা চুলের এই বৃদ্ধার মুখে ঢাউস আকারের ভারী রোদচশমাও তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
যে বয়সে অনেকেই অবসরের আনন্দ উপভোগ করেন, সে বয়সেই ফ্যাশন মডেলিংয়ের দুনিয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন লিন। ইনস্টাগ্রামে এখনও পর্যন্ত তাঁর ৭ লক্ষ ৫৯ হাজারের বেশি ‘ফলোয়ার’-এর মধ্যে অনেকেই কমবয়সি। তাঁদের অনেকে আবার লিনের মতো ‘কুল’ হতে চান। লিনের কথায়, ‘‘কমবয়সিরা বার্ধক্যের ধারণাকে অস্বীকার করেন না। তাঁরা এমন ভাবে বুড়ো হতে চান না, যা যুগ যুগ ধরে তাঁদের মনে গেঁথে দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy