লুক্সেমবার্গের ‘চেম্বার অফ এমপ্লয়িজ়’-এর এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি, মাথাপিছু আয় বা সর্বনিম্ন মজুরি মোটা অঙ্কের হলেও দেশের বহু পরিবারই দারিদ্রের দোরগোড়ায় রয়েছে। যে সমস্ত পরিবার একমাত্র রোজগেরে সদস্যের উপর নির্ভরশীল, তাদের ক্ষেত্রেই এমন ঝুঁকি রয়েছে। এমনকি, ইউরোপীয় ইউনিয়নে দারিদ্রের ঝুঁকিপূর্ণ প্রথম তিন দেশের মধ্যে সহজেই ঢুকে যেতে পারে লুক্সেমবার্গ।
বাড়িভাড়া নিয়ে এই সঙ্কটে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে আমজনতা। সম্প্রতি লুক্সেমবার্গ শহরে এমনই এক বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন তিন সন্তানের মা তথা পেশায় শিক্ষিকা পাস্কাল জ়াওরো। সংবাদ সংস্থা এএফপি-র কাছে পাস্কাল বলেন, ‘‘এ দেশে দু’কামরার একটি অ্যাপার্টমেন্টের জন্য অন্তত দু’হাজার ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় ১৭ লক্ষ ৩২৪ টাকা) ভাড়া দিতে হয়। সস্তায় বাড়িভাড়ার কথা ভাবাই যায় না। বিশেষ করে কমবয়সি বা যাঁরা একাই সন্তান পালন করছেন, তাঁদের জন্য চড়া বাড়িভাড়া সামাল দেওয়া মুশকিল।’’
আমজনতার এই সঙ্গিন পরিস্থিতির কথা মেনে নিচ্ছেন ‘হাউজ়িং অবজ়ারভেটরি’-র গবেষক আঁতোয়া পাকু। লুক্সেমবার্গের হাভিয়ের বেটেল সরকারের নীতি রূপায়ণের জন্য যিনি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে সহায়তা করেন। পাকু বলেন, ‘‘জার্মানি, ফ্রান্স বা বেলজিয়ামে সম্পত্তির মূল্য কম হওয়ায় দিনকে দিন লুক্সেমবার্গ ছেড়ে ওই দেশগুলিতে চলে যাচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা।’’
লুক্সেমবার্গে দুর্মূল্যের আবাসন-সঙ্কট মেটানো যে সহজ নয়, তা মনে করেন পাকু। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি-বাড়ির মালিকানাধীনেরাও এই সমস্যাকে জটিল করে তুলেছেন বলে মত তাঁর। পাকু বলেন, ‘‘এ দেশের জনসংখ্যার ০.৫ শতাংশ অর্থাৎ মাত্র তিন হাজার বাসিন্দার হাতে নির্মাণযোগ্য জমির অর্ধেক মালিকানা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy