তবে এই প্রথম নয়, চেয়ারে থাকাকালীনই গ্রেফতারির সঙ্কেত পেয়েছেন আরও তিন মুখ্যমন্ত্রী! সেই তালিকাতেই নাম সংযোজন হল কেজরীর। সেই তিন জন হলেন বিহারের লালু প্রসাদ যাদব, তামিলনাড়ুর জয়ললিতা এবং ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন। তবে এঁরা তিন জনেই গ্রেফতার হয়েছেন ইস্তফা দেওয়ার পর। এর বাইরে পদ থেকে সরার কিছু সময় পরেও গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা।
শিবু তখন তৎকালীন মনমোহন সিংহ সরকারের কয়লামন্ত্রী ছিলেন। শশিনাথ ১৯৯৪ সালের মে মাসে নিখোঁজ হন। পরে রাঁচীতে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ২০০৭ সালের আগস্টে, দিল্লি হাইকোর্ট প্রমাণের অভাবে শিবুকে বেকসুর খালাস করে। তিন বার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হন শিবু। কিন্তু এক বারও মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেননি। প্রথম বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ১০ দিনের মাথায় ইস্তফা দিতে হয়। বাকি দু’বার যথাক্রমে ১৪৫ দিন এবং ১৫৩ দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্রেফতারি এড়ালেও মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন লালু। গদিতে বসিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী রাবড়ী দেবীকে। ৩০ জুলাই সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেলে যান লালু। ১৩৫ দিন পরে জামিন পেলেও আর কোনও দিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি তিনি। পরে পশুখাদ্য দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় সাজা হয় তাঁর।
দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— হরিয়ানার ওমপ্রকাশ চৌটালা। চার দফায় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলানো ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের (আইএনএলডি) নেতা চৌটালা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এবং আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় এক দশকেরও বেশি সময় কারাবাস করেছেন।
২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু। স্কিল ডেভেলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০২১ সালে এই দুর্নীতির মামলায় চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী জামিনে বাইরে রয়েছেন।
এ ছাড়া দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন, বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা (কর্নাটক), ডিএমকের এম করুণানিধি (তামিলনাড়ু)। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার হন কেজরীওয়াল। তবে তিনি এখনও ইস্তফা দেননি। আপের বক্তব্য, প্রয়োজনে জেলে বসেই সরকার চালাবেন কেজরী। কিন্তু কোনও মতেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না। দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী মারলেনা জানিয়েছেন, কেজরীওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তিনি জেলে বসে সরকার চালাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy