আর একটি জনশ্রুতিতে দাবি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে এক দল জাপানি সেনা দেশে ফিরতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলেন। ঘুরতে ঘুরতে কোনও ভাবে তাঁরা অরুণাচলের এই হ্রদের কাছে চলে গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁরা সকলেই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। নায়াং ইয়াং হ্রদের কাছ থেকে আক্রান্তদের কেউ আর দেশে ফিরতে পারেননি। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছিল।
এমনই এক দাবি করেছেন স্টিভেন এম কলিন্স নামে লেখক। ‘দ্য “লস্ট” টেন ট্রাইবস অব ইজরায়েল…ফাউন্ড!’ বইয়ে বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে উল্লিখিত ঈশ্বরের অনুশাসনপ্রাপ্ত যে দশটি জনগোষ্ঠীগুলির খোঁজ মেলে না, তাদের বিষয়ে সবিস্তার লিখেছেন স্টিভেন। তাঁর দাবি, ওই জনগোষ্ঠীর একটি এখনও ভারতের অরুণাচলের হ্রদ এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। যদিও এই দাবি কতটা যুক্তিগ্রাহ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
নায়াং ইয়াং এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বহুকাল আগে এখানকার এক গ্রামবাসী এই হ্রদ থেকে একটি বিশালাকায় মাছ ধরেছিলেন। গোটা গ্রামের বাসিন্দাদের তা রেঁধে খাওয়াতে এলাহি ভোজের আয়োজন করেছিলেন তিনি। তবে নিমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম থাকলেও ভোজে যাননি গ্রামের এক বৃদ্ধা ও তাঁর নাতনি। তাতে রেগেমেগে নাতনি-সহ ওই বৃদ্ধাকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন গ্রামের কর্তাগোছের এক বাসিন্দা, যিনি নিজেকে হ্রদের রক্ষাকর্তা বলে জাহির করতেন। পরের দিন নাকি হ্রদের জলে ডুবে যায় গোটা গ্রাম!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy