শুরুটা ১৯৯২ সাল। তখন মমতা যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী। একইসঙ্গে কেন্দ্রের নরসিংহ রাও সরকারের মন্ত্রী। সে বছর নভেম্বরে ব্রিগেডে তাঁর ডাকে বিপুল জনসমাবেশ হয়। সিপিএমের ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজিয়েছিলেন। মঞ্চ থেকেই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে রাজ্যে আন্দোলন করার ঘোষণা করেন। ওই বছরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির লড়াইয়ে সোমেন মিত্রর কাছে ২৭ ভোটে হেরে যান মমতা।
১৯৯৭ সালের অগস্টে কংগ্রেসের প্লেনারি হয়েছিল কলকাতায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন সনিয়া গান্ধী। মমতা তত দিন আউটডোর কংগ্রেসের নেত্রী হিসাবে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছেন। সনিয়ার উপস্থিতিতেই নেতাজি ইন্ডোরের অনতিদূরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আলাদা সভা করেছিলেন তিনি। সে দিনই এ রাজ্যে কংগ্রেসের ভাঙন স্পষ্ট হয়ে যায়। অন্য দিকে সেই অগস্টেই তৃণমূলের বীজ রোপন হয়ে যায়।
এর পরে ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হন মমতা। কংগ্রেস ছেড়ে আসা বেশ কয়েক জন নেতা এবং অনেক কর্মীকে নিয়ে নতুন দল গঠনের বিষয়ে উদ্যোগী হন মমতা৷ সে দিন যাঁরা মমতার সঙ্গে ছিলেন তাঁরা হলেন প্রয়াত অজিত পাঁজা, প্রয়াত পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্বেদ রায়, সোনালী গুহ প্রমূখ। তবে ছিল না কাঁথির অধিকারী পরিবার।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষয় হয়েছে তৃণমূলের। রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে উঠে আসে বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অনেকেই মনে করেছিলেন বিধানসভায় ক্ষমতার পরিবর্তন আসবে। কিন্তু ফল বলে দেয়, মমতা ম্যাজিক অক্ষুণ্ণ। তবে এ ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা হিসেবে তৃণমূল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সহায়তা নেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy