Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
India Missile

Missiles Of India: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার জানলে বুক কাঁপবে শত্রু দেশের! কী রয়েছে সেই তালিকায়

সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকা দেশে হিসাবে ভারত বিশ্বের সাতটি দেশের মধ্যে রয়েছে।

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:২৫
Share: Save:
০১ ১৭
স্বাধীনতার পরবর্তীকালে ভারত ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার বাড়িয়েছে উত্তরোত্তর। ক‌ৌশলগত লড়াইয়ের ক্ষেত্রে নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দেবে শত্রুপক্ষের। সাড়ে পাঁচশো কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকা দেশ হিসাবে ভারত বিশ্বের সাতটি দেশের মধ্যে রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার সম্বন্ধে।

স্বাধীনতার পরবর্তীকালে ভারত ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার বাড়িয়েছে উত্তরোত্তর। ক‌ৌশলগত লড়াইয়ের ক্ষেত্রে নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দেবে শত্রুপক্ষের। সাড়ে পাঁচশো কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকা দেশ হিসাবে ভারত বিশ্বের সাতটি দেশের মধ্যে রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার সম্বন্ধে।

০২ ১৭
শত্রুপক্ষের বিমান ধ্বংস করার জন্য যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ব্যবহার করা হয় সেই তালিকায় রয়েছে আকাশ, ত্রিশূল এবং বারাক ৮। এর মধ্যে ত্রিশূল পাঁচ কিলোমিটার, আকাশ ন’কিলোমিটার এবং ৩৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় বিমান ধ্বংস করতে পারে।

শত্রুপক্ষের বিমান ধ্বংস করার জন্য যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ব্যবহার করা হয় সেই তালিকায় রয়েছে আকাশ, ত্রিশূল এবং বারাক ৮। এর মধ্যে ত্রিশূল পাঁচ কিলোমিটার, আকাশ ন’কিলোমিটার এবং ৩৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় বিমান ধ্বংস করতে পারে।

০৩ ১৭
শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ এবং ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার জন্য ভারতের হাতে রয়েছে অগ্নি-১ থেকে অগ্নি-৫ পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলির প্রত্যেকটি একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব এবং গতিতে গিয়ে লক্ষ্য ধ্বংস করতে পারে।

শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ এবং ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার জন্য ভারতের হাতে রয়েছে অগ্নি-১ থেকে অগ্নি-৫ পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলির প্রত্যেকটি একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব এবং গতিতে গিয়ে লক্ষ্য ধ্বংস করতে পারে।

০৪ ১৭
কার্গিল যুদ্ধের পরবর্তীকালে আগ্নি ১ তৈরি করে ডিআরডিও। ৭.৬ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড গতিবেগে ৭০০ থেকে ১২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে গিয়ে আঘাত হানতে পারে আগ্নি ১।

কার্গিল যুদ্ধের পরবর্তীকালে আগ্নি ১ তৈরি করে ডিআরডিও। ৭.৬ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড গতিবেগে ৭০০ থেকে ১২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে গিয়ে আঘাত হানতে পারে আগ্নি ১।

০৫ ১৭
পাঁচ থেকে ছ’কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড গতিতে তিন হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে আগ্নি ৩। ২০১১ সালে একে সেনা বাহিনীর অস্ত্রভান্ডারের তালিকাভুক্ত করা হয়। চিন-সহ প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরে গিয়ে আঘাত হানতে পারে আগ্নি ৩।

পাঁচ থেকে ছ’কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড গতিতে তিন হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে আগ্নি ৩। ২০১১ সালে একে সেনা বাহিনীর অস্ত্রভান্ডারের তালিকাভুক্ত করা হয়। চিন-সহ প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরে গিয়ে আঘাত হানতে পারে আগ্নি ৩।

০৬ ১৭
পৃথ্বি ২ ক্ষেপণস্ত্রাটি স্বল্প দূরত্বের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ডিআরডিও-র তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র ৩৫ কিমি পর্যন্ত দূরত্বে গিয়ে শত্রু ডেরায় আঘাত করতে পারে। আরও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শ‌ৌর্য্য তৈরি করেছে ডিআরডিও। এটি ৭৫০ থেকে ১৯০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে শত্রুপক্ষেকে আঘাত করতে পারে।

পৃথ্বি ২ ক্ষেপণস্ত্রাটি স্বল্প দূরত্বের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ডিআরডিও-র তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র ৩৫ কিমি পর্যন্ত দূরত্বে গিয়ে শত্রু ডেরায় আঘাত করতে পারে। আরও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শ‌ৌর্য্য তৈরি করেছে ডিআরডিও। এটি ৭৫০ থেকে ১৯০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে শত্রুপক্ষেকে আঘাত করতে পারে।

০৭ ১৭
আকাশে লড়াইয়ের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রও যথেষ্ট মজুত রয়েছে রয়েছে ভারতে হাতে। এই তালিকায় রয়েছে অস্ত্র, মিকা, নোভাটর কে-১০০। এর মধ্যে অস্ত্র ডিআরডিও-র তৈরি।

আকাশে লড়াইয়ের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রও যথেষ্ট মজুত রয়েছে রয়েছে ভারতে হাতে। এই তালিকায় রয়েছে অস্ত্র, মিকা, নোভাটর কে-১০০। এর মধ্যে অস্ত্র ডিআরডিও-র তৈরি।

০৮ ১৭
ডিআরডিও-র তৈরি ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্র যে কোনও রকম আবহাওয়ায় রেডার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে ৮০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে সাড়ে চার কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে আঘাত হানতে পারে।

ডিআরডিও-র তৈরি ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্র যে কোনও রকম আবহাওয়ায় রেডার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে ৮০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে সাড়ে চার কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে আঘাত হানতে পারে।

০৯ ১৭
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকায় রয়েছে ব্রহ্মস। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে সমীহ করে বিশ্বের সব দেশই। ভারতের হাতে তিন ধরনের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে, ব্রহ্মস সুপারসনিক, ব্রহ্মস-২ এবং নির্ভয়।

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকায় রয়েছে ব্রহ্মস। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে সমীহ করে বিশ্বের সব দেশই। ভারতের হাতে তিন ধরনের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে, ব্রহ্মস সুপারসনিক, ব্রহ্মস-২ এবং নির্ভয়।

১০ ১৭
নির্ভয় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এক হাজার থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।

নির্ভয় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এক হাজার থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।

১১ ১৭
সাবমেরিন থেকে শত্রুপক্ষের উপর আঘাত হানার জন্য তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে। এই তালিকায় রয়েছে সাগরিকা (কে-১৫), কে-৪ এবং কে-৫। এর মধ্যে  কে-৫ পাঁচ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত হানতে পারে।

সাবমেরিন থেকে শত্রুপক্ষের উপর আঘাত হানার জন্য তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে। এই তালিকায় রয়েছে সাগরিকা (কে-১৫), কে-৪ এবং কে-৫। এর মধ্যে কে-৫ পাঁচ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত হানতে পারে।

১২ ১৭
শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্কে আঘাত করার জন্য দু’ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে। এই তালিকায় রয়েছে অমোঘ-১ এবং নাগ।

শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্কে আঘাত করার জন্য দু’ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে। এই তালিকায় রয়েছে অমোঘ-১ এবং নাগ।

১৩ ১৭
অমোঘ-১ হায়দরাবাদের ভারত ডায়নামিক্স দ্বারা তৈরি একটি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র। এর প্রথম এবং দ্বিতীয় সংস্করণ ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে ভারতে মাটিতে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

অমোঘ-১ হায়দরাবাদের ভারত ডায়নামিক্স দ্বারা তৈরি একটি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র। এর প্রথম এবং দ্বিতীয় সংস্করণ ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে ভারতে মাটিতে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

১৪ ১৭
মাটি থেকে আকাশে শত্রুপক্ষের বিমানে আঘাত হানার জন্য অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রগুলিতে পরমাণু, রাসায়নিক এবং জৈবিক ওয়ারহেড ব্যবহার করা হয়। পৃথ্বী এয়ার ডিফেন্স (প্যাড) এবং পৃথ্বী ডিফেন্স ভেহিক্যাল (পিডিভি) এই দু’ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের হাতে রয়েছে।

মাটি থেকে আকাশে শত্রুপক্ষের বিমানে আঘাত হানার জন্য অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রগুলিতে পরমাণু, রাসায়নিক এবং জৈবিক ওয়ারহেড ব্যবহার করা হয়। পৃথ্বী এয়ার ডিফেন্স (প্যাড) এবং পৃথ্বী ডিফেন্স ভেহিক্যাল (পিডিভি) এই দু’ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের হাতে রয়েছে।

১৫ ১৭
পৃথ্বী এয়ার ডিফেন্স (প্যাড) দুই ধরনের জ্বালানিযুক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় গিয়ে শত্রুর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত হানতে পারে।

পৃথ্বী এয়ার ডিফেন্স (প্যাড) দুই ধরনের জ্বালানিযুক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় গিয়ে শত্রুর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত হানতে পারে।

১৬ ১৭
পৃথ্বী ডিফেন্স ভেহিক্যাল (পিডিভি) মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

পৃথ্বী ডিফেন্স ভেহিক্যাল (পিডিভি) মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

১৭ ১৭
শত্রুপক্ষের স্যাটেলাইটকে আঘাত হানতে সক্ষম দেশগুলির এক্সক্লুসিভ ক্লাবে নাম আছে ভারতের। ‘মিশন শক্তি’ নামে এক পরীক্ষার মাধ্যমে ভারতের এই সাফল্য আসে।

শত্রুপক্ষের স্যাটেলাইটকে আঘাত হানতে সক্ষম দেশগুলির এক্সক্লুসিভ ক্লাবে নাম আছে ভারতের। ‘মিশন শক্তি’ নামে এক পরীক্ষার মাধ্যমে ভারতের এই সাফল্য আসে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE