আবহাওয়া দফতরের তরফে রবিবার বিকেলের পূর্বাভাস ছিল, উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে রেমাল। রেমালের অবস্থান তখন পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ছিল। ক্যানিংয়ের ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে ছিল রেমাল। বাংলাদেশের মোংলা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান ছিল ঘূর্ণিঝড়ের।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের উপ অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছিলেন, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রবিবার রাতে ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছবে ১০০-১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অন্য দিকে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের গতি থাকবে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। তবে তা বেড়ে ৯০ কিলেমিটারও হতে পারে বলে সতর্ক করেছিল হাওয়া অফিস।
রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর দিকে এগিয়ে যায় রেমাল। রেমাল তখন পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ক্যানিংয়ের ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে, বাংলাদেশের মোংলা থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান।
আবহাওয়া দফতরের রবিবার রাত সওয়া ৮টার পূর্বাভাস ছিল, উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে রেমাল। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ক্যানিংয়ের ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে, বাংলাদেশের মোংলা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল তার অবস্থান।
সাগরে শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে রবিবার রাত ১২টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় রেমালের ‘চোখ’ ঢুকে পড়ে স্থলভাগে। বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে বাংলাদেশের মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিমে আছড়ে পড়ে রেমাল। ঘূর্ণিঝড়ের ‘লেজটি’ ক্যানিং থেকে এখনও ৯০ কিলোমিটার দূরে ছিল। ল্যান্ডফলের গোটা প্রক্রিয়াটি প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানায়, রাত ১২টা নাগাদ রেমালের ল্যান্ডফল শেষ হয়।
সোমবার সকালে রেমাল তার দাপট কমিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও সোমবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy