লোকমুখে শোনা যায়, কোনও শুক্রবার যদি ১৩ তারিখ পড়ে, তা হলে সে দিন স্কুলচত্বরের সামনে দিয়ে নাকি হাঁটাচলা করে বেড়ায় এক ছায়ামূর্তি।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৩৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
বছরের নির্দিষ্ট দিনে স্কুলের সামনে ঘুরে বেড়ায় মুণ্ডহীন অশ্বারোহীর ‘প্রেতাত্মা’। তার দেখা পেলে কখনও স্কুলের ছাত্রীরা নিরুদ্দেশ হয়ে যায়, কখনও বা মেলে তাদের মৃতদেহ। শৈলশহর শিমলার বুকে একটি স্কুলকে ঘিরে রয়েছে এমনই কিছু ‘ভৌতিক’ কাহিনি।
০২১৪
২০১২ সালের ঘটনা। স্কুল চত্বরের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির দুই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। পড়ুয়াদের পরিবারের দাবি, মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়ে নাকি দুই ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এদের মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অশ্বারোহীর ‘প্রেতাত্মা’।
০৩১৪
লোকমুখে শোনা যায়, কোনও শুক্রবার যদি ১৩ তারিখ পড়ে, তা হলে সে দিন স্কুলচত্বরের সামনে দিয়ে নাকি ঘুরে বেড়ায় এক ছায়ামূর্তি। অবয়ব দেখে মনে হয় ঘোড়ার উপর এক জন বসে রয়েছে, তবে তার মাথা কাটা।
০৪১৪
স্থানীয়দের দাবি, মুণ্ডহীন অশ্বারোহীর ‘প্রেতাত্মা’ নাকি স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে ভাব জমাতে পছন্দ করে। সন্ধ্যায় স্কুলের সামনে কোনও ছাত্রী ঘোরাফেরা করলে তার সামনে হাজির হয় অশ্বারোহীর ‘প্রেত’।
০৫১৪
ছাত্রীদের সামনে গিয়ে নাকি ফুল নিবেদন করে ‘প্রেতাত্মা’। কোনও ছাত্রী ভয় পেয়ে ফুল না নিয়ে পালিয়ে গেলে নাকি অশ্বারোহীর ‘প্রেতাত্মা’র রোষের শিকার হয়। সঙ্গে সঙ্গে নাকি সেই ছাত্রীকে মেরে ফেলে সে।
০৬১৪
আবার যে ছাত্রীরা ‘প্রেতাত্মা’র কাছ থেকে ফুল নিয়ে নেয়, তাদের নিয়ে নাকি নিরুদ্দেশ হয়ে যায় মুণ্ডহীন ‘প্রেত’। আর কোনও দিন সেই ছাত্রীদের খোঁজ পাওয়া যায় না।
০৭১৪
ক্যালেন্ডারের পাতায় শুক্রবার এবং ১৩ সংখ্যার তারিখ-বারের যুগলবন্দি নজরে পড়লেই সতর্ক হয়ে যায় স্কুলের ছাত্রীরা। সন্ধ্যার পর নাকি স্কুল চত্বরে হাঁটাচলাই বন্ধ করে দেয় তারা।
০৮১৪
স্থানীয়দের অধিকাংশের দাবি, স্কুল চত্বর নাকি অভিশাপে ঘেরা। মাঝেমধ্যেই নাকি এক কিশোরীকে স্কুলের মাঠে ঘুরতে দেখা যায়। স্কুলের ছাত্রীদের কাছে তার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের খোঁজ করে সে। তার পর নিমেষে ‘উধাও’ হয়ে যায়।
০৯১৪
বর্তমানে শিমলার যে জমির উপর স্কুলটি রয়েছে, সেই অঞ্চলে আগে নাকি কবরস্থান ছিল। স্থানীয়দের দাবি, ব্রিটিশ ভারতে সেই জমিতে শিশুদের কবর দেওয়া হত। বর্তমানে সেই জমির উপরেই স্কুলের খেলার মাঠ রয়েছে।
১০১৪
ব্রিটিশ শাসনাধীন শিমলায় যে সব শিশু আগুনে পুড়ে মারা যেত, তাদের কবর দেওয়ার জন্য আলাদা জমি বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই নাকি পরে তৈরি করা হয়েছে স্কুল।
১১১৪
স্থানীয়দের মুখে শোনা যায়, স্কুলের খেলার মাঠ থেকে নাকি মাঝেমধ্যেই কান্নার শব্দ শোনা যায়। কিন্তু কাউকে দেখা যায় না।
১২১৪
স্কুলের কর্মীরা নাকি একটি বাচ্চা মেয়েকে স্কুলের মাঠে দৌড়ে বেড়াতে দেখেন বলে দাবি। কিন্তু পরমুহূর্তেই সে কোথাও মিলিয়ে যায়।
১৩১৪
১৫৪ বছরের পুরনো স্কুলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও ইতিহাস। এক শিক্ষিকার ‘প্রেত’ও নাকি ঘুরে বেড়ায় স্কুলে। স্কুলের ছাত্রী, এমনকি কর্মীদের একাংশের দাবি, স্কুল লাগোয়া হস্টেলের বারান্দা থেকে নাকি মাঝেমধ্যে এক ছায়ামূর্তি ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
১৪১৪
হস্টেলে থাকা ছাত্রীদের একাংশের দাবি, রাত গড়ালেই নাকি বারান্দা দিয়ে শিক্ষিকার ‘প্রেত’ হেঁটে বেড়ায়। ফাঁকা বারান্দা দিয়ে রাতে হাঁটাচলার সময় নাকি এক ‘অশরীরী’র উপস্থিতি টের পায় তারা। যদিও এ গুলো সব মনগড়া কাহিনি বলেও মনে করেন বিজ্ঞানমনস্কেরা।