Know about career, relationship and divorce rumours of television actor Aman Verma dgtl
Aman Verma
একাধিক সম্পর্ক, নাম জড়িয়েছে ‘কাস্টিং কাউচ’ বিতর্কেও! অমিতাভের ‘পুত্রের’ সংসারে ভাঙন?
নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশনের পর্দায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করলেও তিনি পরিচিতি পান ‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে। তার পর ‘কুমকুম- এক প্যারা সা বন্ধন’, ‘জস্সি জ্যায়সি কোয়ি নহি’র মতো একাধিক নামকরা ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ১৬:২৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
ছোট পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি সঞ্চালনা করেছেন। অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন বড় পর্দায়ও। পরিচিত মুখ হলেও অধিকাংশ সময় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে গিয়েছেন তিনি। অমিতাভ বচ্চনের ‘জ্যেষ্ঠ পুত্র’ অমন বর্মার সংসার কি এখন ভাঙনের পথে?
০২২০
১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে পঞ্জাবের পটীয়ালায় জন্ম অমনের। সেখানেই বাবা-মা এবং বোনের সঙ্গে থাকতেন তিনি। দিল্লির স্কুল এবং কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন অমন।
০৩২০
দিল্লির একটি কলেজ থেকে সাংবাদিকতা নিয়ে ডিপ্লোমা করার পর ফাইন্যান্স নিয়ে পড়াশোনা করে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন অমন। তাঁর বাবা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের পথদুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। অসুস্থতার কারণে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে প্রয়াত হন অমনের মা।
০৪২০
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল অমনের। তাই পড়াশোনা শেষ করেই কেরিয়ার গড়তে তিনি মুম্বই চলে যান। টেলিপাড়া সূত্রে খবর, এক সময় অর্থাভাবেও দিন কাটিয়েছিলেন অমন।
০৫২০
কানাঘুষো শোনা যায়, মুম্বইয়ে আড়াই হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকতেন অমন। কিন্তু এক মাসে তিনি সেই ভাড়া দিতে পারেননি। তাঁর পকেটে মাত্র ১ হাজার টাকা পড়েছিল।
০৬২০
মডেলিংয়ের মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু করেন অমন। ছোট পর্দার বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। ১৯৯৩ সালে টেলিভিশনের একটি হিন্দি ধারাবাহিকে প্রথম বার অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।
০৭২০
নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশনের পর্দায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করলেও তিনি পরিচিতি পান ‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে। তার পর ‘কুমকুম- এক প্যারা সা বন্ধন’, ‘জস্সি জ্যায়সি কোয়ি নহি’র মতো একাধিক নামকরা ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি।
০৮২০
‘খুল জা সিম সিম’ নামের এক রিয়্যালিটি শোয়ের সঞ্চালনার দায়িত্বে দেখা যায় অমনকে। ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দায় অভিনয়েরও সুযোগ পান তিনি। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘সংঘর্ষ’ ছবিতে প্রথম বড় পর্দায় দেখা যায় অমনকে। যদিও সেই ছবিতে স্বল্পদৈর্ঘ্যের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
০৯২০
‘কোয়ি হ্যায়’ এবং ‘প্রাণ জায়ে পর শান না জায়ে’ নামের দু’টি হিন্দি ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান অমন। কিন্তু ছবি দু’টি কবে মুক্তি পেয়েছে, কবে-ই বা প্রেক্ষাগৃহ থেকে বিদায় নিয়েছে— তা দর্শকের অগোচরেই থেকে গিয়েছে।
১০২০
‘বাবুল’, ‘জান-এ-মন’, ‘তিস মার খান’-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করলেও অমনের অভিনয় নজর কাড়ে ‘বাগবান’ ছবিতে। অমিতাভ বচ্চন এবং হেমা মালিনী অভিনীত এই ছবিতে অমিতাভের জ্যেষ্ঠ পুত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।
১১২০
তবে যে ছবির জন্য অমন প্রশংসা পেয়েছেন, সেই ছবিতে অভিনয় করাই নাকি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘’৩০ বছর বয়স ছিল তখন আমার। কিন্তু আমি ৪৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। সেটাই আমার কেরিয়ারে ভুল পদক্ষেপ। তার পর থেকে আমি শুধু বয়স্ক চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাবই পেয়েছি।’’
১২২০
হিন্দি ছবির পাশাপাশি পঞ্জাবি ভাষার ছবিতেও অভিনয় করেন অমন। কিন্তু কোনও জায়গায় থিতু হতে পারেননি তিনি। ২০১৫ সালে ‘বিগ বস্’ নামের রিয়্যালিটি শোয়ে প্রতিযোগী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু ছ’সপ্তাহ পর সেখান থেকে বিদায় নেন অমন।
১৩২০
টেলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘হমনে লে হি শপথ’ নামের একটি হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয়ের সময় অমনের সঙ্গে আলাপ হয় বন্দনা লালওয়ানির। এই ধারাবাহিকে একসঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিল অমন-বন্দনার। এক সাক্ষাৎকারে অমন বলেছিলেন, ‘‘প্রথম শটটাই এমন ছিল যেখানে বন্দনা আমার হাতে রাখি বেঁধে দিয়েছিল। আর তখন থেকেই আমি ওর প্রেমে পড়েছি।’’
১৪২০
অমনের চেয়ে ১৫ বছরের ছোট বন্দনা। শুটিংয়ের দৌলতে দু’জনের বন্ধুত্ব এবং প্রেম। দু’বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৬ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন দু’জনে।
১৫২০
তবে যে ধারাবাহিকের জন্য অমনের সঙ্গে বন্দনার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, সেই ধারাবাহিক থেকেই নাকি পরে অমনকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। কানাঘুষো শোনা যায়, সেটে খারাপ আচরণ করার কারণেই তিনি ধারাবাহিক থেকে বাদ পড়ে যান।
১৬২০
বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, অঙ্কিতা ভার্গব নামে এক টেলি অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অমন। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি।
১৭২০
অমনের সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়েছিল মুনিশা খাটওয়ানি নামে এক জ্যোতিষীর। ‘ট্যারো কার্ড রিডার’ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। কফিশপ থেকে শুরু করে মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় দু’জনকে একসঙ্গে দেখা যায়। তবে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন দু’জনেই।
১৮২০
অমন জড়িয়ে পড়েছিলেন ‘কাস্টিং কাউচ’ বিতর্কেও। ২০০৫ সালে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় (সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) দেখা গিয়েছিল যে, অমন এক উঠতি অভিনেত্রীকে হিন্দি ছবিতে একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে তাঁর কাছে যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দিচ্ছেন। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অমনের কেরিয়ারে তার প্রভাব পড়ে। কানাঘুষো শোনা যায়, সেই কারণেই নাকি অভিনয়ের প্রস্তাব খুব একটা পান না অমন।
১৯২০
সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে চর্চায় এসেছেন অমন। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে, বন্দনাই নাকি বিচ্ছেদ চেয়েছেন অমনের কাছে। যদিও দু’জনের মধ্যে কেউই এই বিষয়ে কিছু বলেননি। অমনকে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখন এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’
২০২০
অমনের এক ঘনিষ্ঠের দাবি, অমনের সঙ্গে বন্দনার সম্পর্ক বহু দিন ধরেই খারাপ। দিনের পর দিন মতের অমিল হওয়ায় তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই নাকি অমনকে বিচ্ছেদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বন্দনা। যদিও এই বিষয় নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষণা করেননি তারকা।