মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ একটি পোস্ট করে ইমাম লিখেছেন, ‘‘আসিফ করিম খেতরানের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ২০২৪ সাল থেকে আসিফ আমাকে বলে যাচ্ছিলেন যে, সেনাকর্তারা তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। ভয় দেখাচ্ছেন। ওঁকে একটি সেনাছাউনিতে ডেকে নিয়ে যাওয়াও হয়েছিল। আসিফকে গুম করার আগে তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও অপহরণ করা হয়েছে।’’
মানবাধিকারকর্মীদের দাবি, সাংবাদিকদের জন্য ধীরে ধীরে অন্যতম বিপজ্জনক অঞ্চল হয়ে উঠছে বালোচিস্তান। মানবাধিকার এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত সংবেদনশীল বিষয়গুলি নিয়ে খবর করতে গিয়ে তাঁরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অনেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ। যেমনটা হয়েছেন আসিফ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেও তেমনটা দাবি করা হয়েছে।
পাকিস্তানে হামলাগুলির নেপথ্যে মূলত রয়েছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এ ছাড়া, কিছু হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। পাক সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দু’দিনে বিদ্রোহীদের হামলায় দেশের নানা প্রান্তে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। আহতের সংখ্যা ৪৬ জন। তবে বিএলএ বা টিটিপির দাবি অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ১০০-র গণ্ডি পেরিয়েছে (বালোচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ সংক্রান্ত হতাহতের পরিসংখ্যান এর মধ্যে নেই)।
এই ঘটনার দায় স্বীকার করে বালোচ বিদ্রোহীরা জানিয়েছেন, ৯০ জন পাকিস্তানি সেনা তাঁদের হামলায় নিহত হয়েছেন। যদিও সেনার তথ্য বলছে, হামলায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২১ জন। হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। ঘটনার পর পাক বাহিনী ওই এলাকায় হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি শুরু করেছে।
তবে পর পর হামলার ঘটনা সত্ত্বেও বালোচ বিদ্রোহীদের দমন করতে আপাতত বড় মাপের সেনা অভিযানের পথে হাঁটবে না পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের সরকার। সোমবার পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে তেমনটাই জানিয়েছেন শরিফের রাজনৈতিক ও জনসংযোগ বিষয়ক মুখ্য উপদেষ্টা রানা সানাউল্লা। এ সবের মধ্যেই পরিচিত সাংবাদিককে গুম করা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পাক সেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy