যিশু খ্রিস্টের প্রয়াণ নিয়ে ‘বাইবেল’-এর ‘নতুন নিয়ম’-এর গসপেলগুলিতে যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তার সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করেন বহু মানুষ। তাঁদের মতে, ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু এবং এক পাথরের গুহায় সমাধিস্থ করার পর যিশুর পুনরুত্থান এবং সশরীরে স্বর্গগমনের ইতিবৃত্তে আধ্যাত্মিকতা থাকলেও, তাকে ঐতিহাসিক সত্য বলে মানা যায় না। খ্রিস্ট ধর্মের ইতিহাসকারদের একাংশ মনে করেন, ক্রুশবিদ্ধ হয়ে যিশুর মৃত্যু হয়নি। মাইকেল বেইগ্যান্ট, রিচার্ড লি এবং হেনরি লিঙ্কন তাঁদের বই ‘হোলি ব্লাড অ্যান্ড হোলি গ্রেল’ (১৯৮২)-এ তুলে ধরেছিলেন এমন এক তথ্য, যা নিয়ে তোলপাড় হয় সারা বিশ্ব।
বেইগ্যান্ট, লি এবং লিঙ্কনের গবেষণা জানায়, ক্রুশবিদ্ধ যিশুকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক গুহায় রাখা হয়। পরে সুস্থ হয়ে সেই গুহা থেকে যিশু বেরিয়ে আসেন এবং সেই ঘটনাই তাঁদের মতে ‘পুনরুত্থান’ নামে পরিচিত। গবেষকদের মতে, ইতিহাস যে যিশুর কথা বলে, তিনি বাইবেল বর্ণিত ‘তত্ত্বপুরুষ’ নন। তাঁর সশরীরে স্বর্গারোহণের বিষয়টিও প্রতীকী। ‘পুনরুত্থান’-এর পর যিশুকে আরও কয়েক বার দেখা গিয়েছে, এ কথা বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্টেই রয়েছে।