Isolated island in Japan, know all about Iriomote island dgtl
Iriomote Island
আটকে রাখা হত বাসিন্দাদের, রহস্যময় দ্বীপের কাছে ‘বিশাল ধাতব বস্তু’র সন্ধান দিয়েই হারিয়ে যায় সমুদ্রযান
জাপানের ইয়ায়েইয়ামা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে সর্ববৃহৎ হল ইরিয়োমোতে দ্বীপ। জাপানের টাকেতোমি শহরের অন্তর্গত এই দ্বীপ।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪ ০৯:০৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
দ্বীপের প্রায় ৯০ শতাংশ ঘন ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে ঢাকা। বিশেষ ধরনের বনবিড়াল এবং বিষধর সাপের জন্য বিখ্যাত দ্বীপটির অবস্থান জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে রয়েছে অনেকটা দূরে। এই দ্বীপের সঙ্গে রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যোগও।
০২১৪
জাপানের ইয়ায়েইয়ামা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে সর্ববৃহৎ হল ইরিয়োমোতে দ্বীপ। জাপানের টাকেতোমি শহরের অন্তর্গত এই দ্বীপ। প্রায় ২৮৯ বর্গকিলোমিটার এলাকার এই দ্বীপের জনসংখ্যা বেশ কম। ২০০৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরিয়োমোতে দ্বীপে ২৩৪৭ জন বাস করতেন।
০৩১৪
ইরিয়োমোতে দ্বীপে যাতায়াতের বিশেষ কোনও সুবিধা নেই। বিমান ওঠানামার জন্য আলাদা করে এয়ারস্ট্রিপ বানানো হয়নি এই দ্বীপে। ইশিগাকি দ্বীপ থেকে ফেরির মাধ্যমে ইরিয়োমোতে দ্বীপে পৌঁছে যাওয়া যায়।
০৪১৪
২০০৬ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বছরে প্রায় চার লক্ষ পর্যটক ঘুরতে যান ইরিয়োমোতে দ্বীপে। দ্বীপের ভিতর দিয়ে বয়ে চলেছে উরাচি নদী। সেখানেই কায়াকিং করতে পারেন পর্যটকেরা।
০৫১৪
ইরিয়োমোতে দ্বীপে অতি সঙ্কটাপন্ন প্রজাতির বনবিড়াল পাওয়া যায় যার সংখ্যা দেড়শোর কাছাকাছি। এই দ্বীপের বাইরে অন্য কোথাও এই বনবিড়ালের খোঁজ পাওয়া যায় না।
০৬১৪
ইরিয়োমোতে দ্বীপে এক বিশেষ ধরনের বিষধর সাপের অস্তিত্ব রয়েছে। এই সাপ কামড়ালে মৃত্যুর আশঙ্কা তিন শতাংশ। সাপের কামড়ে ছয় থেকে আট শতাংশ লোক সারা জীবনের জন্য শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন।
০৭১৪
ইরিয়োমোতে দ্বীপের অর্থনীতি পর্যটননির্ভর হলেও তার একাংশ নির্ভর করে চাষবাসের উপরেও। এখানে উন্নত মানের আনারস, আম এবং আখ চাষ হয়।
০৮১৪
স্থানীয়দের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ইরিয়োমোতে দ্বীপে অন্য দ্বীপের বাসিন্দাদের জোর করে আটক করে দেওয়া হয়েছিল। লোকমুখে শোনা যায়, ইশিগাকি দ্বীপে সেই সময় যাঁরা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের সকলকে জোর করে ইরিয়োমোতে দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই দ্বীপকে অবশ্য পুরোপুরি ভাবে ম্যালেরিয়ামুক্ত করা হয়।
০৯১৪
ইরিয়োমোতে দ্বীপের উপকূলবর্তী এলাকায় খুব কম সংখ্যক মৎস্যজীবী এবং চাষি থাকতেন। পরবর্তী কালে ওই দ্বীপে কয়লাখনি তৈরি হওয়ায় ১৮৮৯ সাল থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত জনবসতি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
১০১৪
১৯৭২ সাল পর্যন্ত ইরিয়োমোতে দ্বীপ আমেরিকার দখলে ছিল। পরে সেই বছর জুন মাসে তা জাপানের অন্তর্গত হয়। স্থানীয়দের মতে, এই দ্বীপের উপকূলবর্তী এলাকার কাছে সমুদ্রের ৩৫০ মিটার গভীরে একটি ডুবোজাহাজ থাকতে পারে বলে ১৯৯৫ সালে ডুবুরিরা সন্ধান চালান।
১১১৪
১৯৯৫ সালে আমেরিকার ডুবুরিরা ‘স্করপিও’ নামে একটি বিশেষ সমুদ্রযানের মাধ্যমে সন্ধান চালান। ‘সোনার ইমেজে’ একটি বিশালাকার ধাতব বস্তুর অবয়বও ধরা পড়ে।
১২১৪
সমুদ্রযানের নিরাপত্তার কথা ভেবে ডুবুরিরা নির্দিষ্ট এলাকা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা ভাবেন, ওই এলাকায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সম্পূর্ণ প্রস্তুতির সঙ্গে আবার ফিরবেন বলে তাঁরা ইরিয়োমোতে দ্বীপ থেকে চলে যান।
১৩১৪
স্থানীয়দের অধিকাংশের মতে, সমুদ্রযান নিয়ে ফেরার সময় ১৯৯৭ সালে তা সমুদ্রের তলায় হারিয়ে যায়। আর কখনও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
১৪১৪
সমুদ্রযান নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর আমেরিকার ডুবুরিরা আর ইরিয়োমোতে দ্বীপে ফিরে যাননি। তাঁদের অনুমান, সেই ডুবোজাহাজটি ‘ইউএসএস স্নুক’। কিন্তু তার প্রমাণ হাতেনাতে পাওয়া যায়নি। সমুদ্রযান হারিয়ে যাওয়ার রহস্যও এখনও সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে রয়েছে।