Interesting Things to know about S Somanath, the Chairman of ISRO and secretary of space department dgtl
ISRO Chairman S Somanath
বাবা ছিলেন হিন্দির শিক্ষক, চন্দ্রযান ৩-এর ‘নায়ক’ সফল অন্য প্রকল্পেও
পুরো নাম শ্রীধর পণিক্কর সোমনাথ। পেশায় এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। ছোট থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক সোমনাথের। ছেলের এই আগ্রহকে লালন করেছেন শিক্ষক-বাবা।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লিশেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ১৭:২৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
২৩ অগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে ভারতের তৈরি চন্দ্রযান-৩। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর এই সাফল্যে অন্যতম ভূমিকা রয়েছে এস সোমনাথের। তিনি ইসরোর চেয়ারম্যান। বেশ কয়েকটি অভিযানেরও নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। ৩৫ বছর ধরে কাজ করেছেন মহাকাশ গবেষণা নিয়ে।
০২১৮
পুরো নাম শ্রীধর পণিক্কর সোমনাথ। পেশায় এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। সোমনাথের জন্ম কেরলের এক মালয়ালি পরিবারে। ১৯৬৩ সালে।
০৩১৮
বাবা ভি শ্রীধর পাণিক্কর ছিলেন হিন্দির শিক্ষক। যদিও সোমনাথের ছোট থেকে ছিল বিজ্ঞানে আগ্রহ। ছেলের আগ্রহের কথা বুঝে বাবাও অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গিয়েছেন। ছোট থেকেই বিজ্ঞানের নানা বই ছেলেকে কিনে দিতেন। মালয়ালি আর ইংরেজি ভাষায় লেখা সে সব বই।
০৪১৮
আরুরের সেন্ট অগাস্টিন’স হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সোমনাথ। এর্নাকুলামের মহারাজা কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেছেন।
০৫১৮
কোল্লামে কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা থাঙ্গাল কুঞ্জু মুসালিয়ার কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পাশ করেন।
০৬১৮
বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স থেকে এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন সোমনাথ।
০৭১৮
১৯৮৫ সালে বিক্রম সারাভাই মহাকাশ কেন্দ্রতে কাজ শুরু করেন সোমনাথ। উপগ্রহ বহনকারী পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্ল (পিএসএলভি) যখন তৈরি করা হচ্ছে, তখন সেই কাজে যুক্ত ছিলেন সোমনাথ।
০৮১৮
বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর নিযুক্ত হন সোমনাথ। ২০১০ সালে জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩-এর প্রোজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। এই উৎক্ষেপণ যান পৃথিবীর কক্ষপথে ভারী উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম।
০৯১৮
২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিক্রম সারাভাই মহাকাশ কেন্দ্রের প্রপালশন অ্যান্ড স্পেস অর্ডিন্যান্স এনটিটির ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।
১০১৮
ইসরোর অন্তর্গত লিকুইড প্রোপালশন সিস্টেম সেন্টার (এলপিএসসি)-র ডিরেক্টর পদে ছিলেন সোমনাথ। এই লিকুইড প্রোপালশন সিস্টেম সেন্টার ইসরোর অধীনে থেকে গবেষণার কাজ করে। বেঙ্গালুরু এবং তিরুঅনন্তপুরমে রয়েছে এর দফতর।
১১১৮
এই উপগ্রহ পাঠানোর উৎক্ষেপণ যান (লঞ্চ ভেহিক্ল)-এর নকশা করেছেন সোমনাথ। এই যানগুলির পরিকাঠামোর দিকটি মূলত তাঁর নজরদারিতে ছিল।
১২১৮
এলপিএসসির যে দলটি সিই২০ ক্রায়োজেনিক রকেট ইঞ্জিন তৈরি করেছিল, সেই দলের মাথায় ছিলেন সোমনাথ। রকেট উৎক্ষেপণকারী যান জিএসএলভি এমকে-৩-এর সাফল্যের নেপথ্যেও ছিলেন সোমনাথ। এই যান থেকে ৩৬টি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।
১৩১৮
চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডারের ইঞ্জিন তৈরিতে ভূমিকা রয়েছে সোমনাথের। সার্ক-এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির জন্য ব্যবহার করা হত জিএসএটি-৯ উপগ্রহ। তার উৎক্ষেপণের নেপথ্যেই বড়সড় ভূমিকা রয়েছে সোমনাথের।
১৪১৮
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হন সোমনাথ। তিনি ডিরেক্টর থাকার সময়ই ৫০তম পিএসএলভি (পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্ল) উৎক্ষেপণ করা হয়।
১৫১৮
চন্দ্রযান-২ তৈরি এবং তার অভিযানের নেপথ্যে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন সোমনাথ। ইসরো এখন গগনযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতের প্রথম মহাকাশচারী যান কক্ষপথ ছেড়ে অনেক দূরে যাবে। সেই প্রকল্পের নেপথ্যেও রয়েছেন সোমনাথ।
১৬১৮
স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্ল (এসএসএলভি) তৈরিতে সাহায্য করেছেন সোমনাথ। এই এসএসএলভি ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম। পৃথিবীর কক্ষপথে ৫০০ কেজির উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম এই যান। এর মাধ্যমে কম খরচে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে পারবে ভারত।
১৭১৮
২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি ইসরোর চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন তিনি। ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের দশম চেয়ারম্যান তিনি। কেরল থেকে প্রথম।
১৮১৮
মহাকাশযান নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি তা নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন লিখেছেন সোমনাথ। সোমনাথের স্ত্রীর নাম ভালসালা। তিনি জিএসটি (পণ্য পরিষেবা কর) দফতরে চাকরি করেন। দুই সন্তান রয়েছে সোমনাথের। দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন।