Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
baldness

Baldness: মেয়ের চুল পড়ার সমাধান করতে গিয়ে নাকি টাকে চুল গজানোর তেলই বানিয়ে ফেলেছেন ৮৫-র দম্পতি!

টাকে চুল গজানো যায় কী ভাবে? এ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বিস্তর গবেষণা চলছে। গবেষকদের দলে নাম লিখিছেন সুরতের এক দম্পতিও।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২ ১১:৪৯
Share: Save:
০১ ১৪
কর্মজীবন শেষে অনেকেই নিশ্চিন্তের অবসর বেছে নেন। পঁচাশিতে পৌঁছেও তেমন করেননি সুরতের এক দম্পতি। তাঁরা বেছে নিয়েছেন ব্যবসায় অবসর বিনিয়োগের ঝুঁকি। তবে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নয়, তাঁদের ব্যবসা শুরু হয়েছিল মেয়ের চুলপড়ার সমস্যা থেকে। ফলে ব্যবসায়িক মুনাফার বদলে ক্রেতাদেরকে স্বস্তি দিতেই নজর দিয়েছেন বলে দাবি দম্পতির।

কর্মজীবন শেষে অনেকেই নিশ্চিন্তের অবসর বেছে নেন। পঁচাশিতে পৌঁছেও তেমন করেননি সুরতের এক দম্পতি। তাঁরা বেছে নিয়েছেন ব্যবসায় অবসর বিনিয়োগের ঝুঁকি। তবে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নয়, তাঁদের ব্যবসা শুরু হয়েছিল মেয়ের চুলপড়ার সমস্যা থেকে। ফলে ব্যবসায়িক মুনাফার বদলে ক্রেতাদেরকে স্বস্তি দিতেই নজর দিয়েছেন বলে দাবি দম্পতির।

ছবি: সংগৃহীত।

০২ ১৪
টাকে চুল গজানো যায় কী ভাবে? এ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বিস্তর গবেষণা চলছে। গবেষকদের দলে নাম লিখিয়েছেন সুরতের এক দম্পতিও। তফাৎ হল, গবেষণা করেই থেমে যাননি ওই দম্পতি। সেই সঙ্গে খুঁজে বার করেছেন টাকে চুল গজানোর সমাধানও। দাবি সুরতের পঁচাশি বছরের রাধাকৃ্ষ্ণ এবং শকুন্তলা চৌধরির।

টাকে চুল গজানো যায় কী ভাবে? এ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বিস্তর গবেষণা চলছে। গবেষকদের দলে নাম লিখিয়েছেন সুরতের এক দম্পতিও। তফাৎ হল, গবেষণা করেই থেমে যাননি ওই দম্পতি। সেই সঙ্গে খুঁজে বার করেছেন টাকে চুল গজানোর সমাধানও। দাবি সুরতের পঁচাশি বছরের রাধাকৃ্ষ্ণ এবং শকুন্তলা চৌধরির।

প্রতীকী ছবি।

০৩ ১৪
দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে আর পাঁচ জনের মতো অবসরের সুখ থেকে নিজেরাই নিজেদের ‘বঞ্চিত’ করেছেন তাঁরা। বরং বৃদ্ধ বয়সেও ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ডুবিয়ে রেখেছেন নিজেদের।

দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে আর পাঁচ জনের মতো অবসরের সুখ থেকে নিজেরাই নিজেদের ‘বঞ্চিত’ করেছেন তাঁরা। বরং বৃদ্ধ বয়সেও ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ডুবিয়ে রেখেছেন নিজেদের।

প্রতীকী ছবি।

০৪ ১৪
পঁচাশি বছরে এসে নতুন ব্যবসা শুরু চৌধরি দম্পতির। মেয়ের চুলপড়ার সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে ব্যবসার শুরুটা হয়েছিল। ২০১০ সালে পারিবারিক ব্যবসা থেকে অবসর নিয়েছিলেন রাধাকৃষ্ণ। দীর্ঘ ৫০ বছরের কর্মজীবন শেষে অবসরের আনন্দও ভোগ করছিলেন। তবে এক দিন তাঁদের মেয়ের চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই শুরু!

পঁচাশি বছরে এসে নতুন ব্যবসা শুরু চৌধরি দম্পতির। মেয়ের চুলপড়ার সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে ব্যবসার শুরুটা হয়েছিল। ২০১০ সালে পারিবারিক ব্যবসা থেকে অবসর নিয়েছিলেন রাধাকৃষ্ণ। দীর্ঘ ৫০ বছরের কর্মজীবন শেষে অবসরের আনন্দও ভোগ করছিলেন। তবে এক দিন তাঁদের মেয়ের চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই শুরু!

প্রতীকী ছবি।

০৫ ১৪
চুল পড়ার সমস্যা মেটাতে অন্যদের মতো মেয়েকে সঠিক খাবার খাওয়া বা বাজারচলতি ভেষজ তেল মাখার পরামর্শ দেননি রাধাকৃষ্ণ। বরং এক পা এগিয়ে নিজেই তাঁর সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিলেন। রাধাকৃষ্ণ বলেন, “চুল পড়া রুখতে হাজারো উপায়ের কথা শোনা যায়। হেয়ারফল মাস্ক লাগান, ভেষজ বা অর্গ্যানিক তেল ব্যবহার করুন বা ঘরোয়া টোটকায় সমাধান— তবে কিছুতেই আমার সন্তুষ্ট হতে পারছিলাম না। এর পর নিজেই কিছু করার কথা মনে হয়েছিল।”

চুল পড়ার সমস্যা মেটাতে অন্যদের মতো মেয়েকে সঠিক খাবার খাওয়া বা বাজারচলতি ভেষজ তেল মাখার পরামর্শ দেননি রাধাকৃষ্ণ। বরং এক পা এগিয়ে নিজেই তাঁর সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিলেন। রাধাকৃষ্ণ বলেন, “চুল পড়া রুখতে হাজারো উপায়ের কথা শোনা যায়। হেয়ারফল মাস্ক লাগান, ভেষজ বা অর্গ্যানিক তেল ব্যবহার করুন বা ঘরোয়া টোটকায় সমাধান— তবে কিছুতেই আমার সন্তুষ্ট হতে পারছিলাম না। এর পর নিজেই কিছু করার কথা মনে হয়েছিল।”

প্রতীকী ছবি।

০৬ ১৪
মেয়ের থেকে তাঁর চুল পড়ার সমস্যা শুনে তার সমাধান খুঁজে বার করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন রাধাকৃষ্ণ। সেটা গত বছরের গোড়ার কথা। এক দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে টাক পড়ার সমস্যা নিয়ে ইন্টারনেটে পড়াশোনা শুরু করে দেন তিনি। ধীরে ধীরে জোগাড় করেন এ বিষয়ে বিস্তর বইপত্র। এর পর তা নিয়ে চলে রীতিমতো গবেষণা।

মেয়ের থেকে তাঁর চুল পড়ার সমস্যা শুনে তার সমাধান খুঁজে বার করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন রাধাকৃষ্ণ। সেটা গত বছরের গোড়ার কথা। এক দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে টাক পড়ার সমস্যা নিয়ে ইন্টারনেটে পড়াশোনা শুরু করে দেন তিনি। ধীরে ধীরে জোগাড় করেন এ বিষয়ে বিস্তর বইপত্র। এর পর তা নিয়ে চলে রীতিমতো গবেষণা।

প্রতীকী ছবি।

০৭ ১৪
স্বামী সারা দিন ধরে টাকপড়ার সমস্যার সমাধান খুঁজতে ব্যস্ত। তা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে স্বামীকে নিবিড় পড়াশোনা করতে দেখে তাতে যোগ দিয়েছিলেন স্ত্রী-ও। দু’জনে মিলে নিজেদের ঘরে এ বার শুরু করলেন পরীক্ষানিরীক্ষা। বেশ কয়েক মাস ধরে চলেছিল বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সে গবেষণা।

স্বামী সারা দিন ধরে টাকপড়ার সমস্যার সমাধান খুঁজতে ব্যস্ত। তা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে স্বামীকে নিবিড় পড়াশোনা করতে দেখে তাতে যোগ দিয়েছিলেন স্ত্রী-ও। দু’জনে মিলে নিজেদের ঘরে এ বার শুরু করলেন পরীক্ষানিরীক্ষা। বেশ কয়েক মাস ধরে চলেছিল বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সে গবেষণা।

প্রতীকী ছবি।

০৮ ১৪
মাস তিনেক বইপত্তর ঘেঁটে ৫০টি ভেষজ দিয়ে একটি তেল তৈরি করে ফেললেন রাধাকৃষ্ণ এবং শকুন্তলা। সেটা গত বছরের জুনের কথা। তবে তেল তৈরি করলেই তো হল না! তা যে আদতে টাকে চুল গজাতে কাজে আসবে, তার নিশ্চয়তা কী করে পাওয়া যায়? ভেবে ভেবে এক দিন নিজের চওড়া টাকে সে তেল মেখে ফেলেন রাধাকৃষ্ণ।

মাস তিনেক বইপত্তর ঘেঁটে ৫০টি ভেষজ দিয়ে একটি তেল তৈরি করে ফেললেন রাধাকৃষ্ণ এবং শকুন্তলা। সেটা গত বছরের জুনের কথা। তবে তেল তৈরি করলেই তো হল না! তা যে আদতে টাকে চুল গজাতে কাজে আসবে, তার নিশ্চয়তা কী করে পাওয়া যায়? ভেবে ভেবে এক দিন নিজের চওড়া টাকে সে তেল মেখে ফেলেন রাধাকৃষ্ণ।

প্রতীকী ছবি।

০৯ ১৪
টাকে তেল মাখার পর আজব কাণ্ড! রাধাকৃষ্ণ বলেন, “কিছু দিন পর দেখি আমার টাকে কয়েকটি চুল গজিয়েছে।” এর পরই গা-ঝাড়া দিয়ে সে তেল বিলি করতে শুরু করেন তিনি। আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের কাছে বিনামূল্যে সে তেল বিলি করার পর তাঁদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াও পেয়েছিলেন চৌধরি দম্পতি। এর পরই ওই তেলের ব্যবসা শুরু করার ভাবনা চেপে বসে।

টাকে তেল মাখার পর আজব কাণ্ড! রাধাকৃষ্ণ বলেন, “কিছু দিন পর দেখি আমার টাকে কয়েকটি চুল গজিয়েছে।” এর পরই গা-ঝাড়া দিয়ে সে তেল বিলি করতে শুরু করেন তিনি। আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের কাছে বিনামূল্যে সে তেল বিলি করার পর তাঁদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াও পেয়েছিলেন চৌধরি দম্পতি। এর পরই ওই তেলের ব্যবসা শুরু করার ভাবনা চেপে বসে।

প্রতীকী ছবি।

১০ ১৪
টাকে তেল গজানোর ব্যবসা শুরু করার ভাবনা এলেই তো হল না। তেলটি সত্যিই কাজে দেয় কি না, তা তো আরও নিশ্চিত হতে হবে। এর পর প্রায় তিন মাস ধরে নিজেদের মাথায় সে তেল মেখেছিলেন রাধাকৃষ্ণ এবং শকুন্তলা। তাতে চুল পড়া ও টাকে চুল গজানো দুইই হয়েছে বলে দাবি দম্পতির। এর পর আর পিছন ফিরে তাকাননি তাঁরা। তড়িঘড়ি ব্যবসার ময়দানে নেমে পড়েন।

টাকে তেল গজানোর ব্যবসা শুরু করার ভাবনা এলেই তো হল না। তেলটি সত্যিই কাজে দেয় কি না, তা তো আরও নিশ্চিত হতে হবে। এর পর প্রায় তিন মাস ধরে নিজেদের মাথায় সে তেল মেখেছিলেন রাধাকৃষ্ণ এবং শকুন্তলা। তাতে চুল পড়া ও টাকে চুল গজানো দুইই হয়েছে বলে দাবি দম্পতির। এর পর আর পিছন ফিরে তাকাননি তাঁরা। তড়িঘড়ি ব্যবসার ময়দানে নেমে পড়েন।

ছবি: সংগৃহীত।

১১ ১৪
নিজেদের গবেষণার পর নারকেল, কালো তিল, জলপাই, কালো জিরে-সহ ৫০টিরও বেশি ভেষজ এবং এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে কোল্ড প্রেসড পদ্ধতিতে তৈরি করে ফেলেন তেল।

নিজেদের গবেষণার পর নারকেল, কালো তিল, জলপাই, কালো জিরে-সহ ৫০টিরও বেশি ভেষজ এবং এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে কোল্ড প্রেসড পদ্ধতিতে তৈরি করে ফেলেন তেল।

প্রতীকী ছবি।

১২ ১৪
মুনাফা নয়, বরং তেলের গুণমানই একমাত্র লক্ষ্য বলে দাবি করেছেন সুরতের দম্পতি। তাঁরা জানিয়েছেন, তেলে কোনও রাসায়নিক, সুগন্ধি বা কৃত্রিম দ্রব্য মেশান না। এই সামান্য পুঁজি নিয়েই নিজের বাড়িতে তেল তৈরি করা শুরু করেছিলেন তাঁরা। গত মাসে তাঁদের প্রচেষ্টার কথা সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। নিজেরাও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে তার প্রচার শুরু করেন। তার পর থেকেই তেলের চাহিদা তুঙ্গে।

মুনাফা নয়, বরং তেলের গুণমানই একমাত্র লক্ষ্য বলে দাবি করেছেন সুরতের দম্পতি। তাঁরা জানিয়েছেন, তেলে কোনও রাসায়নিক, সুগন্ধি বা কৃত্রিম দ্রব্য মেশান না। এই সামান্য পুঁজি নিয়েই নিজের বাড়িতে তেল তৈরি করা শুরু করেছিলেন তাঁরা। গত মাসে তাঁদের প্রচেষ্টার কথা সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। নিজেরাও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে তার প্রচার শুরু করেন। তার পর থেকেই তেলের চাহিদা তুঙ্গে।

ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ১৪
রাধাকৃষ্ণ জানিয়েছেন, টাকে চুল গজানোর তেলের চাহিদা অনুযায়ী তার সরবরাহ সে ভাবে করে উঠতে পারেন না তাঁরা। লোকবল কম। উৎপাদনের জন্য কারখানাও নেই। নিজের ঘরের চৌহদ্দির মধ্যেই চলছে তেল তৈরির কাজ। হাজারে এক জনকে তেল পৌঁছে দিতে পারেন। তবে ক্রেতাদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া উৎপাদন বাড়ানোর উৎসাহ কমেনি।

রাধাকৃষ্ণ জানিয়েছেন, টাকে চুল গজানোর তেলের চাহিদা অনুযায়ী তার সরবরাহ সে ভাবে করে উঠতে পারেন না তাঁরা। লোকবল কম। উৎপাদনের জন্য কারখানাও নেই। নিজের ঘরের চৌহদ্দির মধ্যেই চলছে তেল তৈরির কাজ। হাজারে এক জনকে তেল পৌঁছে দিতে পারেন। তবে ক্রেতাদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া উৎপাদন বাড়ানোর উৎসাহ কমেনি।

ছবি: সংগৃহীত।

১৪ ১৪
রাধাকৃষ্ণ জানিয়েছেন, তেল তৈরি করতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। তবে তাঁর দাবি, “ক্রেতার সংখ্যা বাড়ানো বা মুনাফা নয়, আমাদের তৈরি এ তেলের গুণমানই বজায় রাখাই লক্ষ্য।”

রাধাকৃষ্ণ জানিয়েছেন, তেল তৈরি করতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। তবে তাঁর দাবি, “ক্রেতার সংখ্যা বাড়ানো বা মুনাফা নয়, আমাদের তৈরি এ তেলের গুণমানই বজায় রাখাই লক্ষ্য।”

প্রতীকী ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy