From Prabhas to Akshay Kumar, super flop films by these stars that were supposed to be super hit movies dgtl
Bollywood Movies
ধরেই নেওয়া হয়েছিল সুপারহিট হবে, তবু মুক্তির পরেই মুখ থুবড়ে পড়ে মহাতারকাদের বহু ছবি
সলমন খান, অক্ষয় কুমারের মতো বলি তারকা থেকে শুরু করে প্রভাস, বিজয় দেবরাকোন্ডার মতো দক্ষিণী তারকা— সকলের কেরিয়ারের ঝুলিতেই নাম লিখিয়েছে ফ্লপ ছবি।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৭:১২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
সলমন খান থেকে অক্ষয় কুমারের মতো বলি তারকা হন বা প্রভাস থেকে বিজয় দেবরেকোন্ডার মতো দক্ষিণী তারকা— তাঁদের কেরিয়ারের ঝুলিতে একের পর এক হিট ছবি রয়েছে। কিন্তু তাঁরা এমন কিছু বড় বাজেটের ছবিতেও অভিনয় করেছেন যা বক্স অফিসে হিট করবে বলে আশা বেঁধেছিলেন তারকারা। কিন্তু মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই সেই ছবিগুলি মুখ থুবড়ে পড়ে।
০২১৯
চলতি বছরের জুন মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ওম রাউত পরিচালিত ‘আদিপুরুষ’ ছবিটি। প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবিটি বক্স অফিস থেকে ৪৫০ কোটি টাকা উপার্জন করেছে।
০৩১৯
প্রভাস এবং কৃতি শ্যানন অভিনীত ‘আদিপুরুষ’ ছবিটি হিট হবে বলেই অনুমান করেছিলেন ছবি নির্মাতারা। কিন্তু ছবি মুক্তির আগে থেকেই পৌরাণিক চরিত্রের বেশভূষা এবং নিম্নমানের ভিএফএক্স চর্চায় আসে।
০৪১৯
‘আদিপুরুষ’ মুক্তির পর সংলাপ নিয়েও বিতর্কে জড়িয়ে ছবিটি। বিতর্কে জড়ানোর পাশাপাশি বক্স অফিস থেকেও ভাল ব্যবসা করতে পারেনি প্রভাসের এই ছবি।
০৫১৯
প্রভাসের কেরিয়ারেরয়েছে আরও একটি ফ্লপ ছবি। ২০২২ সালের মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছিল রাধাকৃষ্ণ কুমার পরিচালিত ‘রাধে শ্যাম’ ছবিটি। এই ছবিতে প্রভাসের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় পূজা হেগড়েকে।
০৬১৯
‘রাধে শ্যাম’ ছবির প্রথম ঝলক মুক্তির পর ছবি নির্মাতারা ভেবেছিলেন যে এই ছবি বক্স অফিস থেকে ভাল ব্যবসা করতে সফল হবে। কিন্তু ৩০০ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবি বক্স অফিস থেকে ১৫১ থেকে ২১৪ কোটি টাকা আয় করে।
০৭১৯
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সলমন খান এবং পূজা হেগড়ে অভিনীত ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিটি। ভেঙ্কটেশ, ভূমিকা চাওলা, জগপতি বাবুর মতো তারকারাও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন।
০৮১৯
রাম চরণ এবং ভাগ্যশ্রী ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিতে অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। পলক তিওয়ারি এবং শেহনাজ গিল এই ছবির মাধ্যমেই বলিপাড়ায় পা রাখেন।
০৯১৯
তারকাখচিত ছবি হলেও ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ যেন সলমনের কেরিয়ারে ফ্লপ ছবি হিসাবে নাম লিখিয়ে ফেলে। ২২৫ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবি বক্স অফিস থেকে ১৮২ কোটি টাকা আয় করে।
১০১৯
সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী মানুষী চিল্লরের কেরিয়ারের প্রথম ছবি। তাও আবার অক্ষয় কুমারের বিপরীতে। ২০২২ সালের জুন মাসে চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদীর পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’।
১১১৯
১৭৫ কোটি টাকা বাজেটের ছবি ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ হিট করবে, নিশ্চিত ছিলেন ছবি নির্মাতারা। মুক্তির পর বক্স অফিস থেকে ৯০ কোটি টাকা উপার্জন করে এই ছবি। অক্ষয়ের কেরিয়ারের পাশাপাশি মানুষীর কেরিয়ারের প্রথম ছবি ফ্লপ হয়।
১২১৯
‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’-এর পাশাপাশি অক্ষয়ের কেরিয়ারে আরও একটি ফ্লপ ছবি যুক্ত হয় ২০২২ সালে।
১৩১৯
জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, কৃতি শ্যানন এবং আরশাদ ওয়ারসি অভিনীত ‘বচ্চন পান্ডে’ ছবিটি তৈরি করতে ১৬৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু ছবি মুক্তির পর ভাল ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয় তারকাখচিত এই ছবি। বক্স অফিস থেকে এই ছবিটি মোট ৭৩ কোটি টাকার ব্যবসা করে।
১৪১৯
দক্ষিণী অভিনেতা বিজয় দেবরেকোন্ডা এবং চাঙ্কি পান্ডের কন্যা অনন্যা পান্ডের সম্পর্ক নিয়ে বলিপাড়ায় জলঘোলা কম হয়নি। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে মুক্তি পেয়েছিল পুরী জগন্নাথ পরিচালিত ‘লাইগার’ ছবিটি।
১৫১৯
ছবি নির্মাতা-সহ ‘লাইগার’ ছবির তারকারাও ভেবেছিলেন যে এই ছবি হিট করবে। এই ছবি তৈরি করতে ৯০ থেকে ১২৫ কোটি টাকা খরচ হয়। তবে মুক্তির পর বক্স অফিস থেকে ৬০ কোটি টাকা উপার্জন করে ‘লাইগার’। বিজয়ের কেরিয়ারের একটি ফ্লপ ছবিতে পরিণত হয় ‘লাইগার’।
১৬১৯
‘পদ্মাবত’, ‘বাজিরাও মস্তানি’ হোক বা ‘সিম্বা’— রণবীর সিংহ মুখ্যচরিত্রে রয়েছেন এর অর্থই ছবিটির বক্স অফিসে হিট করার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু ২০২২ সালের শেষের দিকে ভাগ্যের চাকা বিপরীত দিকে ঘোরে।
১৭১৯
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল রোহিত শেট্টি পরিচালিত ‘সার্কাস’ ছবিটি। রণবীরের পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় পূজা হেগড়ে, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, সিদ্ধার্থ যাদব এবং জনি লিভারকে।
১৮১৯
অতিথিশিল্পী হিসাবে ‘সার্কাস’ ছবিতে একটি গানের দৃশ্যে রণবীরের সঙ্গে অভিনয়ও করেছিলেন দীপিকা। কিন্তু ১৫০ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবি মুক্তির পর মুখ থুবড়ে পড়ে।
১৯১৯
বক্স অফিস থেকে ‘সার্কাস’ ছবিটি ৬১ কোটি টাকা আয় করে। যে রণবীর হিন্দি ফিল্মজগতে অধিকাংশ সময় হিট ছবি উপহার দিয়েই অভ্যস্ত, তাঁর কেরিয়ারেও ‘সার্কাস’ একটি ফ্লপ ছবি হিসাবে নাম লিখিয়ে ফেলে।