তার মাঝে তিনি ফেসবুক লাইভে রাজ্য নেতৃত্বকে তীব্র আক্রমণ করেন। অভিযোগ করেন, রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর মদতেই জেলা বিজেপিতে অরাজকতা চলছে। জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা লোক দিয়ে তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনুপম। সেই সঙ্গে জেলারই এক নেতা তাঁর ‘জাত’ উল্লেখ করে আক্রমণ করেছেন, এমন অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার কথা বলেন অনুপম। এই প্রসঙ্গে তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘আমার জাত তুলে কথা বলা হয়েছে। আমি তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত। সেই মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করব।’’
দলকে অস্বস্তিতে ফেললেও অনুপমের যুক্তি ছিল ভালর জন্যই তিনি সব কিছু করছেন। বলেছিলেন, ‘‘দলের কোণঠাসা কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করে চলেছি আমি। তবে যে কোনও কাজ করার ক্ষেত্রেই আমি বাধা পাচ্ছি। আমাকে রাজ্য বিজেপির তরফে কোনও কর্মসূচিতে ডাকা হয় না। কখনও ডাকা হলেও এমন সময়ে জানানো হয়, যাতে আমি সময়ে আসতে না পারি।’’
সুকান্তের নিরাপত্তা নিয়ে কটাক্ষ করা অনুপমেরই আর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নেই। তবে কি সুকান্তের বলা ‘ফল’ পেলেন অনুপম? রাজ্য বিজেপিতে এই প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনই অন্য জল্পনাও রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, রাজ্যের নেতাদের সমালোচনা করা যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখছেন না সেটাই অনুপমের নিরাপত্তা তুলে নিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এটা শুধু অনুপমের প্রতি ‘বার্তা’ নয়, বিভিন্ন সময়ে যাঁরা দলবিরোধী কথা বলেন, কথায় কথায় রাজ্য নেতাদের সম্পর্কে বিষোদ্গার করেন, বা দলীয় দফতরে এসে বিক্ষোভ দেখান, তাঁদের প্রতিও ‘বার্তা’। এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘‘সকলকেই বুঝিয়ে দেওয়া হল, দলীয় শৃঙ্খলাই মূল কথা। কেউই তার উপরে নয়। সমালোচনা করতে হলে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করতে হবে। তা না হলে তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy