EX Jharkhand CM Hemant Soren attended the trust vote with special permission and alleged Governor for his arrest dgtl
Hemant Soren
‘গ্রেফতারিতে যুক্ত রাজভবন’! আস্থাভোটে এসে আর কী দাবি করলেন হেমন্ত?
নিজের বক্তব্যে হেমন্ত এক দিনে যেমন ইডি এবং বিজেপিকে তোপ দেগেছেন, তেমনই আদিবাসী অস্ত্রেও শান দিতে চেয়েছেন।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:০৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
জমি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। গ্রেফতারের আগে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন হেমন্ত সোরেন। সোমবার রাজভবনে চলছে তাঁরই দলের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের আস্থাভোট।
০২১৬
তবে ইডি হেফাজতে থাকলেও বিশেষ অনুমতি নিয়ে এদিন আস্থাভোটে অংশ নিলেন জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। আর এখানেই যেন তাক লেগেছে রাজনীতির দুনিয়ায়।
০৩১৬
জমি সংক্রান্ত মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির হেফাজতেই ছিলেন ঝাড়খণ্ডের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
০৪১৬
গত শুক্রবার রাঁচীর বিশেষ অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) আদালত জেএমএম নেতাকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল।
০৫১৬
শনিবার হেমন্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে সোমবারের আস্থাভোটে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। তাঁর দলের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে এ দিন বিধানসভায় যান হেমন্ত।
০৬১৬
বিতর্কে অংশ নিয়ে গ্রেফতারির নেপথ্যে রাজভবনেরও হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। দেশের রাজনীতির ইতিহাসে কোনও রাজনীতিক হেফাজতে থাকাকালীন আইনসভায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছেন, তা স্মরণ করতে পারছেন না রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউই।
০৭১৬
সে দিক থেকে দেখতে গেলে সোমবার দুপুরে বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল কেবল ঝাড়খণ্ড নয়, গোটা দেশ।
০৮১৬
সোমবার রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের ভাষণ দিয়ে শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। বক্তৃতা করেন হেমন্তের গ্রেফতারির পর দল এবং সরকারের দায়িত্ব সামলানো ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন।
০৯১৬
তার পরই বক্তৃতা করতে ওঠেন শিবু সোরেনের পুত্র। নিজের বক্তব্যে হেমন্ত এক দিনে যেমন ইডি এবং বিজেপিকে তোপ দেগেছেন, তেমনই আদিবাসী অস্ত্রেও শান দিতে চেয়েছেন।
১০১৬
হেমন্ত বলেন, “৩১ জানুয়ারি রাতে দেশে প্রথম বার এক জন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হল।’’ তার পরই তাঁর সংযোজন, “আমি বিশ্বাস করি রাজভবন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।” সরাসরি নাম না করা হলেও মনে করা হচ্ছে, তাঁর গ্রেফতারির জন্য রাজ্যপালকেই দায়ী করলেন হেমন্ত।
১১১৬
বিজেপিকে তোপ দেখে তিনি বলেন, “যদি তাদের সাহস থাকে, তবে যে জমি আমার নাম নথিভুক্ত হয়েছে, তার নথি দেখাক। যদি (দুর্নীতি) প্রমাণিত হয়, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
১২১৬
আদিবাসীদের উপর কোনও অত্যাচার এবং অপমান তিনি সহ্য করবেন না বলেও জানিয়ে দেন হেমন্ত।
১৩১৬
তাঁর কথায়, “এরা ভাবে আমাকে জেলে ভরে উদ্দেশ্য সফল হবে। এটা ঝাড়খণ্ড। দেশের এমন রাজ্য, যার প্রতি কোণে আদিবাসী দলিতেরা আছেন। রক্তের বিনিময়ে তাঁরা লড়াই করেছেন। আদিবাসীদের জোর এত কম নয়।’’ তিনি না কেঁদে কান্না জমিয়ে রাখছেন বলেও দাবি করেছেন হেমন্ত।
১৪১৬
হেমন্ত বলেন, “এদের কাছে আদিবাসীদের চোখের জলের কোনও দাম নেই।” রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন, লোকসভা ভোটের আগে নিজের আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতেই জোরালো এই বার্তা দিলেন হেমন্ত।
১৫১৬
জমি জালিয়াতি মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বুধবার দুপুর থেকে প্রায় সাত ঘণ্টা তাঁর রাঁচীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। রাতে গ্রেফতার হন হেমন্ত।
১৬১৬
তার আগেই রাজভবনে গিয়ে তিনি ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন হেমন্ত। শীর্ষ আদালত মামলাটি হাই কোর্টে ফেরত পাঠিয়েছে।