Everything you need to know about Lake Siwa where you can swim without the fear of drowning in Egypt dgtl
Siwa Oasis Lake
সাঁতার না জানলেও কোনও সমস্যা নেই! কঠিন রোগও নাকি সারিয়ে দেয় ‘জাদু হ্রদের জল’
শরীরে টাটকা কোনও ক্ষত থাকলে জলে নামা বারণ। লবণের উপস্থিতির কারণে ক্ষতস্থান বিষিয়ে যেতে পারে বলেই এই সাবধানতা অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
সাঁতার জানেন না বলে জলে নামতে ভয় পান? কিন্তু পৃথিবীতে এমন শতাধিক হ্রদ রয়েছে যেখানে সাঁতার না জেনে নামলেও ডুববেন না। জলের মধ্যেই ভেসে থাকবেন। কোথায় রয়েছে এই সব হ্রদ?
০২১৩
মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে মিশর-লিবিয়া সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত সিওয়া মরুদ্যান। এই মরুদ্যানের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শতাধিক হ্রদ।
০৩১৩
শহরের কোলাহল থেকে দূরে মরুভূমির মাঝখানে তাল গাছ দিয়ে ঘেরা সিওয়ার হ্রদগুলির গভীরতা সর্বাধিক ১৮ মিটার।
০৪১৩
সিওয়ার হ্রদে যে কেউ স্নান করতে নামতে পারেন। সাঁতার না জানলেও হ্রদের জলে ভেসে থাকা যায়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এই হ্রদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রহস্যময় শক্তি।
০৫১৩
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, হ্রদের জলে এমন কিছু রয়েছে যা মানুষের কঠিন রোগও ‘সারিয়ে’ দেয়। তাই অসুখ করলে হ্রদে স্নান করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তাঁরা।
০৬১৩
সিওয়ার হ্রদের নেপথ্যে যে কোনও রহস্য নেই তা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরাই। মানুষ যে সেখানকার জলে ভেসে থাকতে পারেন তার ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক।
০৭১৩
বিজ্ঞানীদের দাবি, সিওয়ায় যে হ্রদগুলি রয়েছে তার প্রত্যেকটিতে লবণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি।
০৮১৩
সিওয়ার হ্রদগুলির মধ্যে ৯৫ শতাংশেরও বেশি পরিমাণ লবণ রয়েছে। লবণের আধিক্যের কারণেই মানুষ সেখানে ডুবে যায় না।
০৯১৩
বিজ্ঞানীদের দাবি, হ্রদের জলে ভেসে থাকলে ‘কঠিন রোগ’ সেরে যেতে পারে এই ধারণা স্থানীয়দের মনগড়া। তবে হ্রদে নামার আগে কয়েকটি বিষয়ে সতর্কবার্তা মেনে চলতে হয়।
১০১৩
হ্রদে নামার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনও ভাবেই চোখেমুখে জল না ঢুকে যায়।
১১১৩
শরীরে টাটকা ক্ষত থাকলেও জলে নামা বারণ। লবণের উপস্থিতির কারণে ক্ষতস্থান বিষিয়ে যেতে পারে বলেই এই সাবধানতা অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়।
১২১৩
স্থানীয়দের অধিকাংশের দাবি, ২০১১ সালে লবণের খনির সন্ধান করতে গিয়ে লবণ হ্রদগুলির খোঁজ পাওয়া যায়। এই বিস্ময়ের সাক্ষী থাকতে দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা সিওয়ায় ভিড় জমান।
১৩১৩
সিওয়ার মরূদ্যানের কাছে রয়েছে ‘ক্লিওপেট্রা’জ় পুল’। স্থানীয়দের ধারণা, লবণাক্ত হ্রদ থেকে উঠে যাওয়ার পর হাত-পা থেকে লবণ ঝেড়ে এই মিষ্টি গরম জলের হ্রদে স্নান করলে স্বাস্থ্যের উপকার হয়।