২০১৪ সালে একটি সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অলড্রিন বলেন, ‘‘আমি যা দেখেছিলাম, সেটি আসলে কী, তা নিয়ে একাধিক বিশ্লেষণ রয়েছে। কেউ বলেছিলেন ওই রহস্যময় আলো আসলে পৃথিবীর অন্য কোনও দেশ থেকে গোপনে পাঠানো অন্য কোনও মহাকাশযানের। কেউ বলেছিলেন, পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনও গ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান থেকে বেরিয়ে আসছিল ওই আলোর ছটা।’’
অলড্রিন আরও বলেছিলেন, ‘‘চন্দ্রযানের জানলা দিয়ে আমি সে দিন যা দেখেছিলাম, কেউ কেউ বলেন, সেটা আমাদেরই রকেট। যে রকেট থেকে সদ্য বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল আমাদের মহাকাশযানটি। এ ছাড়া, আমরা যখন ল্যান্ডারটি রকেট থেকে আলাদা করেছিলাম, তখন যে চারটি প্যানেল বেরিয়ে গিয়েছিল, কারও মতে, জানলা দিয়ে সে দিন সেই প্যানেলের আলো আমার চোখে পড়েছিল।’’
অলড্রিনই পরবর্তী কালে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানান, রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্যানেলগুলির জন্য ওই আলো তাঁর চোখে পড়েছিল। প্যানেলে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়। তা দেখে তাৎক্ষণিক ভাবে অলড্রিন বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, অন্য কোনও মহাকাশযান তাঁদের পিছু নিয়েছে। কেউ বা কারা তাঁদের অনুসরণ করছেন বলে মনে হয়েছিল অলড্রিনদের।
অলড্রিনের অন্য মহাকাশযানের দাবি শুনে অনেকেই গল্পের গরু গাছে চড়িয়ে দিয়েছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন, নাসার চন্দ্র অভিযানের পিছু নিয়েছিল ভিন্গ্রহীরা। নানা তথ্য সংগ্রহ করে এই দাবি প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন কেউ কেউ। তাঁদের নিয়ে মশকরা করে পরে অলড্রিন বলেন, ‘‘আমেরিকার এই ‘ইউএফও-বিশ্বাসী’রা আমার উপর বেশ চটে গিয়েছেন। আমি যা দেখেছিলাম, তার সঙ্গে যে আদৌ ভিন্গ্রহের কোনও সম্পর্ক নেই, এই সত্যি জানতে পেরে তাঁরা হতাশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy