Economic crisis in Pakistan is turning the country into a zombie state dgtl
Pakistan's economic crisis
তীব্র আর্থিক সঙ্কট, চারদিকে খাবারের হাহাকার! ‘ভৌতিক দেশ’-এ পরিণত হতে চলেছে পাকিস্তান?
আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে পাকিস্তান। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম। সার্বিক ন্যুব্জ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা রকম আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ১২:১০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট চরমে পৌঁছেছে। মানুষ খেতে পাচ্ছেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম। পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় বিশেষজ্ঞেরা।
ফাইল ছবি।
০২১৮
দেশের মানুষজনের মধ্যে খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ির ঘটনা প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। সরকারের তরফে গম বিলি করার আয়োজন করা হলে, সেই গম সংগ্রহ করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়।
ফাইল ছবি।
০৩১৮
গত কয়েক দিনে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে এক লিটার দুধ বিকোচ্ছে ২১০ টাকায়। আটা, ময়দাও মহার্ঘ। প্রায় প্রতি দিনই অন্তত ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে বৃদ্ধি পাচ্ছে খাদ্যপণ্যের দাম।
ফাইল ছবি।
০৪১৮
এই সার্বিক ন্যুব্জ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞেরা। দেশের প্রাক্তন সরকারি পরামর্শদাতা মনে করছেন, পাকিস্তান আগামী দিনে ‘ভৌতিক দেশ’-এ পরিণত হতে চলেছে।
ফাইল ছবি।
০৫১৮
সাকিব শেরানি পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রকে প্রধান অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সরকারের পরামর্শদাতার কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর মতামত ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ফাইল ছবি।
০৬১৮
পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘ডন’-এ শেরানি একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানেই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, লেবাননের মতো পরিস্থিতি হতে পারে পাকিস্তানেও।
ফাইল ছবি।
০৭১৮
ডন পত্রিকায় নিজের প্রতিবেদনের শুরুতে আমেরিকার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্কটের কথা উল্লেখ করেছেন শেরানি। মাথায় বিপুল লোকসানের বোঝা নিয়ে যে ব্যাঙ্ক কোনও রকমে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে, অর্থনৈতিক ভাবে যে ব্যাঙ্ক ঝুঁকে পড়েছে, তাকে ‘জ়ম্বি’ বা ‘ভৌতিক’ ব্যাঙ্ক বলা হয়।
ফাইল ছবি।
০৮১৮
শেরানির মতে, আমেরিকার ব্যাঙ্কের মতোই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তান রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও। তার মাথাতেও লোকসানের বোঝা। যার ভারে দেশটি অর্থনৈতিক দিক থেকে নুইয়ে পড়েছে। ফলে ভৌতিক রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে পাকিস্তানও।
ফাইল ছবি।
০৯১৮
পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার তলানিতে। ফলে বিদেশের ঋণ ইসলামাবাদ পরিশোধ করতে পারছে না। উল্টে মিত্র দেশগুলির কাছে হাত পাততে হচ্ছে বাধ্য হয়ে।
ফাইল ছবি।
১০১৮
বিদেশ থেকে আমদানি যতটা সম্ভব কমিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ)-এর দ্বারস্থ হয়েছে দেশটি। পাকিস্তানকে রাজস্ব বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ।
ফাইল ছবি।
১১১৮
পাক অর্থনীতিবিদ্দের দাবি, আইএমএফের সাহায্যও যথেষ্ট নয়। অনেকে বলেছেন, ঋণের দায়ে ডুবে থাকা দেশটির পতন নিশ্চিত। আর এর জন্য দেশের অভিজাত সম্প্রদায়ের স্বার্থকেন্দ্রিক মানিসকতাকে দায়ী করা হচ্ছে।
ফাইল ছবি।
১২১৮
পাক অভিজাতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশের দিকে নজর না দিয়ে তাঁরা বিদেশে বিনিয়োগে ব্যস্ত। দেশের মাটিতে ব্যবসায় দেশের বণিকেরাই উৎসাহিত নন, ফলে বিদেশি বিনিয়োগে দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনাও ক্ষীণ।
ফাইল ছবি।
১৩১৮
গত কয়েক বছরে একাধিক বিদেশি সংস্থা পাকিস্তান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে চলে গিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশকে ঘিরে ধরেছে সীমাহীন বেকারত্ব। সেই সঙ্গে প্রকৃতিও সঙ্গ দেয়নি।
ফাইল ছবি।
১৪১৮
সাম্প্রতিক অতীতে বিধ্বংসী বন্যায় পাকিস্তানে প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতিও নজির গড়েছে দেশটিতে। মার্চ মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছে গিয়েছে ৩৫.৪ শতাংশ। ১৯৬৫ সালের পর থেকে যা সর্বোচ্চ।
ফাইল ছবি।
১৫১৮
আইএমএফের অনুমান, শুধুমাত্র চলতি বছরেই পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। যা উপমহাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, শ্রীলঙ্কার পরেই।
ফাইল ছবি।
১৬১৮
সাম্প্রতিক সঙ্কটে পাকিস্তানের ব্যাঙ্কগুলির উপরে চাপ পড়তে শুরু করেছে। অর্থনীতিবিদ শেরানির মতে এই চাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। ক্রমবর্ধমান সুদের হারে প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
ফাইল ছবি।
১৭১৮
পরিসংখ্যান প্রকাশ করে শেরানি দেখিয়েছেন, পাকিস্তান সরকার যে ভাবে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে আছে, তাতে ব্যাঙ্কের বিনিয়োগের ৭০ শতাংশই সরকারের ঋণ। যা সামগ্রিক আমানতের প্রায় ৯২ শতাংশ।
ফাইল ছবি।
১৮১৮
পাকিস্তানের টালমাটাল রাজনীতি, স্থিতাবস্থার অভাব দেশের পরিস্থিতিকে দিন দিন আরও ভয়ানক করে তুলছে বলে দাবি শেরানির। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি দিন একটু একটু করে আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম।’’