‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র দিন কী কী গয়না পরেছিলেন রামলালা, তারই তালিকা প্রকাশ করল শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। বিগ্রহের গায়ে কী কী গয়না পরানো হবে, তা নিয়ে চলেছে গবেষণা।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
সোমবার দুপুরে অযোধ্যার মন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়েছে রামলালার। বিশেষ সময়ে বিগ্রহের চোখ থেকে সরে গিয়েছে উন্মোচন। তাকে কাজলদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনেরা। সরাসরি সম্প্রচার দেখেছেন দেশের মানুষ। ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র দিন কী কী গয়না পরেছিলেন রামলালা, তারই তালিকা প্রকাশ করল শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।
০২১৭
কৃষ্ণশিলায় তৈরি হয়েছে রামলালার বিগ্রহ। উচ্চতা ৫১ ইঞ্চি। সেই বিগ্রহের গায়ে কী কী গয়না পরানো হবে, তা নিয়ে চলেছে গবেষণা। বাল্মিকীর রামায়ণ, অধ্যাত্ম রামায়ণ, রামচরিত মানস, আলভান্দর স্তোত্র পড়ে তার পরেই গয়নার নকশা পরিকল্পনা করা হয়েছে।
০৩১৭
গবেষণা করে গয়নার নকশা তৈরি করেছেন যতীন্দ্র মিশ্র। লখনউয়ের দু’টি দোকান থেকে বানানো হয়েছে সেগুলি।
০৪১৭
প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন রামলালার পরনে ছিল হলুদ রঙের বেনারসি ধুতি। গায়ে ছিল লাল পট্টবস্ত্র। এই পট্টবস্ত্রে সোনার জরি দিয়ে কারুকাজ করা হয়েছে। শঙ্খ, চক্র, পদ্ম, ময়ূর ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পট্টবস্ত্রে। তৈরি করেছে দিল্লির একটি সংস্থা।
০৫১৭
বিগ্রহের মাথায় রয়েছে মুকুট। সোনার তৈরি মুকুটে বসানো রয়েছে হিরে, চুনি, পান্না। মুকুটের ঠিক মাঝে রয়েছে সূর্য। উত্তর ভারতীয় শৈলী মেনে তৈরি হয়েছে মুকুটের নকশা।
বিগ্রহের যেখানে হৃদয়, সেখানে ঝুলছে কৌস্তুভ মণি। বড় চুনি এবং হিরে দিয়ে তৈরি। বলা হয়, বিষ্ণু এবং তাঁর অবতারেরা গলায় এই মণিহার পরেন।
০৯১৭
কণ্ঠ এবং নাভির মাঝে ঝুলছে পাঁচনলি হার। তাতে বসানো রয়েছে অসংখ্য হিরে, পান্না। নীচে ঝুলছে লকেট।
১০১৭
সব থেকে লম্বা যে হার বিগ্রহের গলায় ঝুলছে, তাকে বলে বৈজয়ন্তী বা বিজয়মালা। বিজয়ের প্রতীক। এতে খোদাই করা রয়েছে অসংখ্য হিরে, পান্না। বৈষ্ণব রীতি মনে এতে খোদাই করা রয়েছে শঙ্খ, সুদর্শন চক্র, পদ্ম, মঙ্গল কলস।
১১১৭
রামলালার দুই বাহুতে রয়েছে ভুজবন্ধ। সোনার তৈরি বাজুতে বসানো রয়েছে হিরে, চুনি, পান্না।
১২১৭
দুই হাতে রয়েছে বালা। সোনার সেই বালাতে বসানো রয়েছে দামি পাথর।
১৩১৭
দুই হাতের আঙুলেই রয়েছে বিশাল আংটি। তা থেকে ঝুলছে বড় মুক্তো।
১৪১৭
পায়ে রয়েছে সোনার তৈরি পায়েল বা পঞ্জনিয়া। তাতে সোনা, চুনি বসানো রয়েছে।
১৫১৭
বাঁ হাতে রয়েছে সোনার ধনুক। তাতে রয়েছে মুক্তো, চুনি, পান্না। ডান হাতে রয়েছে সোনার তির।