Derinkuyu underground city, the largest ancient multi level underground city in Turkey dgtl
Underground City
ছিল স্কুল, গির্জাও! মাটির তলায় ১৮ তলার শহরে একসঙ্গে থাকতে পারতেন ২০ হাজার মানুষ
ইতিহাসবিদদের দাবি, ১৮ স্তরে বানানো ডেরিংকুয়ু শহরের মাটির তলায় দরজাগুলি শুধুমাত্র ভিতর থেকে বন্ধ করা যেত। বাইরে থেকে বন্ধ করার কোনও ব্যবস্থা ছিল না।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ০৮:০১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
গির্জা, স্কুল, ওয়াইন মজুত রাখার বিশেষ ঘর থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের জন্য আলাদা ঘর! সবই ছিল এই শহরে। তবুও এ শহর পৃথিবীর অন্যান্য শহরের চেয়ে আলাদা।
০২১৪
কারণ মাটির উপর নয়, বরং মাটির নীচে স্তরে স্তরে তৈরি হয়েছিল ডেরিংকুয়ু শহর। মাটির উপরে নয়, এ শহর গড়ে উঠেছিল মাটির তলায়।
০৩১৪
প্রাচীন তুরস্কের ভূগর্ভস্থ শহরের মধ্যে ডেরিংকুয়ু শহর বৃহত্তম। ইতিহাসবিদদের মতে, অষ্টম থেকে সপ্তম খ্রিস্ট পূর্বাব্দের মধ্যে গ্রিক অধিবাসীরা এই শহর গড়ে তোলেন। তৎকালীন পারস্যের রাজা ইমার রাজত্বকালে মাটির তলায় শহরটি নির্মাণ করা হয়।
০৪১৪
যুদ্ধের সময় শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পেতে এই ভূগর্ভস্থ শহর গড়ে তোলা হয়। বাইজান্টাইন যুগে আরব মুসলিমদের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ভূগর্ভস্থ শহরে আশ্রয় নিতেন বাসিন্দারা।
০৫১৪
১৮ তলার ডেরিংকুয়ু শহরে মূলত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে রাখা হত। ৮৫ মিটার গভীর এই শহরটি কেমাকলি নামের অন্য একটি ভূগর্ভস্থ শহরের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানান ইতিহাসবিদেরা।
০৬১৪
কালের নিয়মে ডেরিংকুয়ু শহরটি ধীরে ধীরে মাটির তলায় চাপা পড়ে যায়। ১৯৬৩ সালে এই শহরটির অস্তিত্বের কথা প্রকাশ্যে আসে। সেখানকার এক স্থানীয় ওই এলাকায় বাড়ি তৈরি করবেন বলে মাটি খুঁড়ছিলেন। তখন তাঁর পোষ্য মুরগি হারিয়ে যায়।
০৭১৪
মুরগির খোঁজ করতে গিয়ে একটি গর্তের সন্ধান পান তিনি। গর্তের ভিতর মুরগিটি পড়ে গিয়েছে বলে তা খুঁড়তে শুরু করেন।
০৮১৪
গর্ত খুঁড়ে নীচে নামার পর তিনি দেখেন গর্তের ভিতর অসংখ্য সরু রাস্তা রয়েছে। তার পরেই শুরু হয়ে যায় হইচই।
০৯১৪
ইতিহাসবিদদের দাবি, ১৮ স্তরে বানানো ডেরিংকুয়ু শহরের মাটির তলায় দরজাগুলি শুধুমাত্র ভিতর থেকে বন্ধ করা যেত। বাইরে থেকে বন্ধ করার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। হাওয়া-বাতাস যেন অবাধে যাতায়াত করতে পারে, তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল।
১০১৪
প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ডেরিংকুয়ু শহরের ধ্বংসাবশেষ পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন, ১৮ তলার শহরে একসঙ্গে ২০ হাজার মানুষ থাকতে পারতেন। শহরের দ্বিতীয় তলায় স্কুল ছিল।
১১১৪
ডেরিংকুয়ু শহরের তৃতীয় এবং। চতুর্থ তলা থেকে ধাপে ধাপে সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গিয়েছে পাঁচ তলায়। সেখানে ছিল একটি গির্জা।
১২১৪
ডেরিংকুয়ু শহরের মাঝে ছিল একটি কুয়ো। ৫৫ মিটার গভীর কুয়ো থেকে জল সংগ্রহ করতেন শহরের বাসিন্দারা। গৃহপালিত পশু রাখার জায়গাও ছিল আলাদা।
১৩১৪
বর্তমানে ডেরিংকুয়ু শহরটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। টিকিট কেটে পর্যটকেরা ইতিহাসে ঘেরা এই শহর দেখতে ভিড় জমান।
১৪১৪
প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, প্রাচীন তুরস্কে ২০০টিরও বেশি ভূগর্ভস্থ শহর রয়েছে। সেগুলির মধ্যে ৪৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা ডেরিংকুয়ু শহরটি বৃহত্তম।