Death Row Killer has to choose between cyanide gas or lethal drug as the process of execution dgtl
Nazi Germany
Death Row Killer: নাৎসিদের সায়ানাইড গ্যাস না বিষ ইঞ্জেকশন? সাজাপ্রাপ্তকেই মৃত্যুর উপায় বাছতে বলল আদালত
সায়ানাইড গ্যাস শরীরে ঢুকলে এক জন ব্যক্তিকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ মিনিট ধরে কষ্ট সহ্য করতে হয়। ব্যাপক কষ্ট সহ্য করে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
সংবাদ সংস্থা
অ্যারিজোনাশেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২২ ১৪:১২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
আট বছর বয়সি ভিকি লিন হসকিনসনকে খুনের অপরাধে অ্যারিজোনার জেলে ১৯৮৪ সাল থেকে সাজা কাটছে ৬৬ বছর বয়সি ফ্র্যাঙ্ক অ্যাটউড। তাঁকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে আদালতে কখনই নিজের অপরাধ স্বীকার করেনি ফ্র্যাঙ্ক৷
০২১৩
সম্প্রতি ৩ মে খুনের শাস্তিস্বরূপ ফ্র্যাঙ্ককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে অ্যারিজোনার সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ এর পর ফ্র্যাঙ্কের আর কোনও আবেদন গ্রহণ করবে না আদালত। ৪ জুন ফ্র্যাঙ্ককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে বলে আদালত রায়ে জানিয়েছে।
০৩১৩
মরার উপায় হিসেবে তাকে দু’টি বিকল্পের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার কথাও জানিয়েছে আদালত। সে কোন উপায়ে মরতে চায়, সেই সিদ্ধান্ত হবে ফ্র্যাঙ্কেরই।
০৪১৩
ফ্র্যাঙ্ককে যে দু’টি বিকল্প দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল শরীরে বিষ ইঞ্জেকশন প্রবেশ করিয়ে মৃত্যু। দ্বিতীয়টি, নিশ্বাসের মাধ্যমে বিষাক্ত সায়ানাইড গ্যাস ঢুকিয়ে মৃত্যু।
০৫১৩
১৯ মে-র মধ্যে ফ্র্যাঙ্ককে নিজের সিদ্ধান্ত আদালতকে জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
০৬১৩
ঘটনাচক্রে, এক সময় সায়ানাইড গ্যাসের ব্যবহার হত নাৎসি বাহিনীর ক্যাম্পে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লক্ষ লক্ষ বন্দিকে মেরে ফেলতে হিটলার-বাহিনী সায়ানাইড গ্যাসকেই বেছে নিয়েছিল।
০৭১৩
সায়ানাইড গ্যাস শরীরে ঢুকলে এক জন ব্যক্তিকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ মিনিট ধরে কষ্ট সহ্য করতে হয়। ব্যাপক কষ্ট সহ্য করে অবশেষে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
০৮১৩
‘হলোকাস্ট’-এর সময় নাৎসিদের এই গ্যাস ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ইতিহাস এখনও ভয় ধরায়।
০৯১৩
ইহুদি হওয়ার কারণে অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে ১৯৩৯ সালে অস্ট্রিয়া থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ফ্র্যাঙ্কের মা।
১০১৩
ফ্র্যাঙ্কের আইনজীবীরা সায়ানাইড ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন। সায়ানাইড ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ডের এই রায় ‘ভয়ঙ্কর’ বলে মন্তব্য করেছেন ফ্র্যাঙ্কের আইনজীবী জোসেফ পারকোভিচ।
১১১৩
এর আগেও অ্যারিজোনার জেলে বিষাক্ত সায়ানাইড গ্যাস ‘জাইক্লন বি’ ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।
১২১৩
শেষ বার নব্বইয়ের দশকে অ্যারিজোনার একটি জেলে ‘জাইক্লন বি’ ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে এই বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহারের ফলে সাজাপ্রাপ্তদের যে কষ্টকর মৃত্যু হয়েছিল, তার ফলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষকে।
১৩১৩
ফ্র্যাঙ্ক যদি মৃত্যুর উপায় হিসেবে সায়ানাইড গ্যাস বেছে নেয়, তা হলে সে হবে এই শতাব্দীর প্রথম অপরাধী যে স্বেচ্ছায় সায়ানাইড ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড গ্রহণ করবে।