Death Method: Death Row killer survived lethal injection as death sentence, now have to face never used before method for execution dgtl
Death Method
কাজ হল না বিষেও! আসামির মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভয়ঙ্কর পন্থা নিলেন জেল কর্তৃপক্ষ
আমেরিকার বাসিন্দা অ্যালান ইউজিন মিলার। বর্তমানে আমেরিকার অ্যালবামা রাজ্যের একটি কারাগারে বন্দি অ্যালান। মৃত্যুদণ্ড পেয়েও বেঁচে গেলেন তিনি। এ বার এক নতুন উপায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে তাঁকে।
সংবাদ সংস্থা
মুম্বইশেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:১৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছেন আমেরিকার বাসিন্দা অ্যালান ইউজিন মিলার। তিনটি নৃশংস খুনের অপরাধে তিনি জেলবন্দি। তবে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিতে গিয়েই ধাক্কা খেলেন জেল কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুদণ্ডের উপায় কাজ করল না অপরাধীর উপর। অ্যালানকে আবার মৃত্যুদণ্ড দিতে যে উপায় বার করা হয়েছে সেই পদ্ধতি এর আগে কখনও কোনও মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপকের উপর প্রয়োগ করা হয়নি।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৭
বর্তমানে আমেরিকার অ্যালবামা রাজ্যের একটি কারাগারে বন্দি অ্যালান। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা তিনটি খুনের অভিযোগ সম্প্রতি প্রমাণিত হয়েছে। তার পরই মৃত্যুর সাজা।
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৭
কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, অ্যালানকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু সেই বিষ অ্যালানের শরীরে প্রবেশ করিয়েও তাঁর মৃত্যু হয় নি।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৭
এমনিতেই অ্যালানের স্থূল শরীরে শিরা খুঁজে বার করতে বেশ নাকাল হতে হয়েছিল জেল আধিকারিকদের।
ছবি: সংগৃহীত।
০৫১৭
অনেক কষ্টে শিরা খুঁজে ইঞ্জেকশনে মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রবেশ করিয়ে আধিকারিকরা অ্যালানের মৃত্যুর অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সেই বিষ তার শরীরে প্রবেশ করতেই যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করেন অ্যালান।
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৭
ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রয়োগ করার সময় শরীরে আরও দু’টি সুচ প্রবেশ করানো হয়। এর মধ্যে একটিতে শরীর অবশ করার ওষুধ থাকে এবং অন্যটিতে সংজ্ঞাহীন করার ওষুধ থাকে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৭
যন্ত্রণাহীন মৃত্যু নিশ্চিত করতে এই দু’টি ইঞ্জেকশন অপরাধীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়।
ছবি: সংগৃহীত।
০৮১৭
অ্যালানের শরীরেও প্রয়োগ করা হয় এই দুই ওষুধ। কিন্তু তার শরীরে ওষুধ দু’টি কাজ না করায় বিষের প্রভাবে তাঁর শরীরে প্রচণ্ড জ্বালা শুরু হয়।
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৭
যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন অ্যালান। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালানের শরীর থেকে ওই ইঞ্জিকেশনের সুচগুলি খুলে নেন ওখানে উপস্থিত আধিকারিকরা।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৭
অ্যালানের আইনজীবীর অভিযোগ, ইঞ্জেকশন প্রয়োগের কারণে অ্যালান প্রচণ্ড মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রণা অনুভব করেছেন। আর তাই কোনও ভাবেই আর ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না।
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৭
অনেক দেশেই বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এখনও অ্যালবামার জেলগুলিতে এই উপায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৭
সোমবার আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যালানকে আর বিষ প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না।
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৭
এর পরই বিষাক্ত ইঞ্জেকশনের পরিবর্তে নতুন উপায়ে অ্যালানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেল আধিকারিকরা।
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৭
কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যালানকে মৃত্যুর সাজা দিতে বিষাক্ত নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়া গ্যাস প্রয়োগ করা হবে।
ছবি: সংগৃহীত।
১৫১৭
জেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই গ্যাস প্রয়োগ করে এর আগে কাউকে কখনও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। এখনও এই গ্যাস ব্যবহারের কোনও বৈধ অনুমতি নেয় বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
ছবি: সংগৃহীত।
১৬১৭
জেলের আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, অচৈতন্য অবস্থায় অ্যালানের মুখের উপর একটি মাস্ক লাগিয়ে তাকে ওই গ্যাস নিশ্বাস নিতে বাধ্য করা হবে। এই গ্যাসের প্রভাবে অ্যালানের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে কমতে শূন্যতে ঠেকলে মৃত্যু হবে অ্যালানের।
ছবি: সংগৃহীত।
১৭১৭
অ্যালবামার বাসিন্দাদের দাবি, বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার থেকে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া অনেক মানবিক।