Creatures that can be found near Titanic wreck dgtl
Titanic Wreck
সমুদ্রের তলায় টাইটানিকে বসত করে ‘ভয়ঙ্কর’ সব প্রাণী, ভাঙা জাহাজের লোহা খেয়েই বেঁচে থাকে কেউ!
গভীর সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের অনেক কিছুই এখনও মানুষের অজানা। সমুদ্রের ১০ হাজার ফুট নীচে রয়েছে এক অচেনা পৃথিবী। যেখানে দিনরাত্রি, ঋতু পরিবর্তন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রায় কোনও প্রভাব নেই।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল। ১১১ বছর আগে হিমশৈলে ধাক্কা মেরে উত্তর অতলান্তিকে ডুবে যায় সে সময়ের অন্যতম বিলাসবহুল যাত্রিবাহী জাহাজ টাইটানিক। মৃত্যু হয় ১৫০০-রও বেশি মানুষের।
০২১৫
প্রথম যাত্রাতেই ডুবে গিয়েছিল আরএমএস টাইটানিক। জাহাজটি সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্কের পথে পাড়ি দিয়েছিল। জাহাজের নির্মাতা সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, এই জাহাজের ডুবে যাওয়া ‘অসম্ভব’। কিন্তু তার পরেও হিমশৈলে ধাক্কা মেরে ডুবে যায় জাহাজটি।
০৩১৫
গভীর সমুদ্রে শায়িত থাকা সেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনে গিয়ে সম্প্রতি টুকরো টুকরো হয়ে যায় ডুবোযান টাইটান। মৃত্যু হয় ডুবোযানের চালক-সহ পাঁচ যাত্রীর। তার পর থেকেই আবার চর্চায় এসেছে টাইটানিক।
০৪১৫
১০০ বছরের বেশি সময় ধরে সমুদ্রের তলায় রয়েছে টাইটানিক। এককালে যে বিলাসবহুল জাহাজ যাত্রীদের কোলাহল, আলোর রোশনাই, দেশি-বিদেশি খাবার এবং সুরায় মজেছিল, তা এখন শুধুই ধ্বংসাবশেষ।
০৫১৫
অতলান্তিক মহাসাগরের প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ফুট নীচে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ এখন অজানা এবং ‘ভয়ঙ্কর’ প্রাণীদের বাসস্থান।
০৬১৫
গভীর সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের অনেক কিছুই এখনও মানুষের অজানা। সমুদ্রের ১০ হাজার ফুট নীচে এক অচেনা পৃথিবী রয়েছে। যেখানে দিনরাত্রি, ঋতু পরিবর্তন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রায় কোনও প্রভাব নেই। সূর্যের আলোও পৌঁছয় না সেখানে।
০৭১৫
সেখানেই নাকি বাস অদ্ভুত অদ্ভুত রহস্যজনক প্রাণী এবং উদ্ভিদদের। কাদা এবং পলির মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক কীটও দেখতে পাওয়া যায়।
০৮১৫
তবে সমুদ্রের অন্ধকারে থাকা এই প্রাণীদের বেশির ভাগেরই দেহ শক্ত আবরণে ঢাকা। অনেক প্রাণীর শরীরে আবার কোনও হাড় থাকে না।
০৯১৫
টাইটানিকের ধ্বাংসাবশেষের কাছে দেখতে পাওয়া যায় ‘অ্যাবিসোব্রোটুলা গ্যালাথি’। যা আদপে এক রাক্ষুসে মাছ। যা মূলত কৃমি এবং অন্যান্য কীট খেয়ে বেঁচে থাকে। অর্ধস্বচ্ছ ত্বকে আচ্ছাদিত এই মাছের চোখ এতই ছোট যে তা দেখতে পাওয়া যায় না।
১০১৫
সমুদ্রের অতলে শিকারের জন্য তাদের মাথায় বেশ কয়েকটি সংবেদনশীল ছিদ্র দেখতে পাওয়া যায়।
১১১৫
টাইটানিকের আশেপাশে গেলে দেখা মিলতে পারে দানব মাকড়সারও। বিশালকায় সে সব সামুদ্রিক মাকড়সা সমুদ্রের সাত থেকে ১৩ হাজার ফুট গভীরে বাস করে।
১২১৫
সমুদ্রের তলদেশে হামাগুড়ি দিয়ে বা সাঁতার কেটে ঘুরে বেড়ায় এই মাকড়সাগুলি। এগুলির এক একটির দৈর্ঘ্য আধা মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
১৩১৫
তবে টাইটানিককে বাড়ি বানিয়েছে যে ‘ভয়ঙ্কর’ জিনিস, তা হল একটি ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়ার নাম ‘হ্যালোমোনাস টাইটানিকা’। ২০১০ সালে এই ব্যাকটেরিয়ার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে।
১৪১৫
টাইটানিকের মরচে পড়া লোহা এই ব্যাকটেরিয়ার মূল খাদ্য। এই মরচে পড়া লোহা খেয়েই বেঁচে থাকে ‘হ্যালোমোনাস টাইটানিকা’। তাই এর নামও দেওয়া হয়েছে টাইটানিকের নামেই।
১৫১৫
কিন্তু বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ, যে হারে এই ব্যাকটেরিয়া টাইটানিকের লোহা খেয়ে সাফ করে দিচ্ছে, তার জন্য টাইটানিক সমুদ্রের বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, ধাতু দিয়ে তৈরি হলেও সমুদ্রের অতলে বাঁচার উপায় নেই।