Couples live single live even after marriage, a unique wedding trend dgtl
Unique Wedding Trend
বিবাহিত, তবু বিবাহিত নন! জাপানে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে ‘বিচ্ছেদ বিবাহ’
‘বিচ্ছেদ বিবাহ’— এই নামেই এখন জনপ্রিয় এই নতুন ধারার ‘বিয়ে’। এর ফলে বিবাহিত এবং অবিবাহিত থাকার, দু’রকম সুবিধাই পাচ্ছেন দম্পতিরা।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লিশেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৫১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
বিবাহিত। অথচ বিবাহিত নন! সেই কত বছর আগে ‘শেষের কবিতা’-য় প্রেমিকা লাবণ্যকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন অমিত রায়। অমিতের সেই প্রস্তাবই এখন নতুন ‘ট্রেন্ড’ হয়ে ফিরে এসেছে জাপানে। তরুণেরা বিয়ে করছেন, কিন্তু এক ছাদের তলায় থাকতে চাইছেন না। সপ্তাহান্তে, কখনও বা মাসে এক বার এক ছাদের তলায় থাকছেন তাঁরা। বাকি সময় কাটাচ্ছেন একা।
ছবি: সংগৃহীত।
০২১৭
‘বিচ্ছেদ বিবাহ’— এই নামেই এখন জনপ্রিয় এই নতুন ধারার ‘বিয়ে’। এর ফলে বিবাহিত এবং অবিবাহিত থাকার, দু’রকম সুবিধাই পাচ্ছেন দম্পতিরা। একে অপরকে ভালবাসছেন, রোজ খোঁজ নিচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী। অথচ একে অপরের জন্য চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে না। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালবাসা না থাকলে অবশ্যই এই ধরনের বিয়ে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৭
সম্প্রতি জাপানের একটি সংবাদমাধ্যম এক দম্পতির কথা তুলে ধরেছেন, যাঁরা ‘বিচ্ছেদ বিবাহ’-তে আবদ্ধ। হিরোমি তাকেদা আর হিদেকাজ়ু।
ছবি: সংগৃহীত।
০৪১৭
হিরোমি ফিটনেস ট্রেনার। তাঁর নিজের একটি জিম রয়েছে। নিজেকে স্বাধীনচেতা, পরিণত বলে জানিয়েছেন হিরোমি।
ছবি: সংগৃহীত।
০৫১৭
হিরোমির স্বামী হিদেকাজ়ু বিভিন্ন সংস্থার ব্যবসা সংক্রান্ত উপদেষ্টা। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে কম্পিউটারের সামনে। মিটিং, ইমেলের জবাব, রিপোর্ট লিখে দিন কাটে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৬১৭
হিরোমি আর হিদেকাজ়ুর পেশা একেবারে ভিন্ন। জীবনযাপনও ভিন্ন। একেবারে আলাদা ভাবে দিন কাটে দু’জনের। অথচ পরস্পরকে শ্রদ্ধা করেন, ভালবাসেন তাঁরা। একে অপরের ব্যক্তিগত জীবনে নাকও গলাতে চান না। সে কারণে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৭
হিদেকাজ়ু একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘খুব কম রাতেই আমি স্ত্রীর বাড়িতে থাকতে পারি। কেরিয়ার আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ এ ক্ষেত্রে আগের বিয়ের থেকে একটি শিক্ষা নিয়েছেন তিনি বলেও জানিয়েছেন।
ছবি: সংগৃহীত।
০৮১৭
হিদেকাজ়ুর কথায়, ‘‘প্রাক্তন স্ত্রীকেও একেবারে সময় দিতে পারিনি। দিনের পর দিন বাড়ি ফিরতে পারিনি। আমার মনে হয়, সে কারণে ও ভেঙে পড়েছিল। আগের বিয়ে থেকে একটা শিক্ষাই পেয়েছি, মহিলাদের স্বাবলম্বী হওয়া উচিত।’’
ছবি: সংগৃহীত।
০৯১৭
হিরোমির যুক্তি, তাঁর স্বামী বাড়িতে থাকলে স্বাধীন ভাবে অনেক কিছুই করতে পারেন না। অস্বস্তিতে পড়েন। সে কারণে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তে তাঁরা ভাল রয়েছেন।
ছবি: সংগৃহীত।
১০১৭
হিরোমি এবং হিদেকাজ়ুর একটি সন্তানও রয়েছে। সে মায়ের কাছে থাকে। সপ্তাহে দু’-তিন বার হিরোমির বাড়িতে আসেন হিদেকাজ়ু।
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৭
সাধারণত যখন সন্তানকে দেখভালের জন্য কাউকে প্রয়োজন হয় হিরোমির, তখনই সাহায্য করতে আসেন হিদেকাজ়ু। হিরোমি কোনও কাজে শহরের বাইরে গেলে, বা দীর্ঘ সময় বাড়ির বাইরে থাকলে, সে সময় সন্তানের খেয়াল রাখেন হিদেকাজ়ু।
ছবি: সংগৃহীত।
১২১৭
হিরোমি জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিবেশীরা ভাবেন, দু’জনের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। সেই নিয়ে কানাঘুষোও শুনতে পাওয়া যায় পাড়ায়। তবে তাঁরা এ সবে কান দেন না।
ছবি: সংগৃহীত।
১৩১৭
হিরোমি এবং হিদেকাজ়ু দু’জনেই মনে করেন, বিয়ে করলেই একসঙ্গে থাকতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা থাকাটাই জরুরি। একে অন্যের ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে সম্মান করা দরকার।
ছবি: সংগৃহীত।
১৪১৭
হিরোমি বলেন, ‘‘একসঙ্গে থাকাটা জরুরি নয়। আমার স্বামী এবং আমি, দু’জনেই নিজেদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বিয়ের পর এ ভাবেই আলাদা থাকব দু’জন। স্বাধীন ভাবে নিজেদের জীবন যাপন করব। শুধু মানসিক ভাবে একে অন্যকে সহায়তা করে যাব। যাতে দু’জনেরই মনে হয়, মানসিক ভাবে আমরা নিরাপদে রয়েছি।’’
ছবি: সংগৃহীত।
১৫১৭
হিরোমি, হিদেরাজ়ুরা একা নন। জাপানে ক্রমেই বাড়ছে বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর স্বেচ্ছায় আলাদা থাকার প্রবণতা। মনস্তত্ত্ববিদেরা মনে করছেন, নারী এবং পুরুষের স্বাধীন থাকার প্রবৃত্তির কারণেই সে দেশে ‘বিচ্ছেদ বিবাহের’ চল বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকলেই ব্যক্তিগত পরিসর নিয়ে খুব সচেতন।
ছবি: সংগৃহীত।
১৬১৭
সমাজবিদেরা মনে করেন, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী আলাদা ছাদের নীচে থাকলে মহিলারা নিজের কেরিয়ারকে গুরুত্ব দিতে পারেন। বিয়ের জন্য কেরিয়ারের সঙ্গে আপসের প্রয়োজন হয় না। তবে এই ধরনের বিয়ের ক্ষেত্রে স্বামী, স্ত্রী দু’জনেরই স্বাবলম্বী হওয়া প্রয়োজন।
ছবি: সংগৃহীত।
১৭১৭
অনেক স্বামী-স্ত্রীর ঠিকঠাক বনিবনা হয় না। অথচ চরম বিচ্ছেদের দিকে এগোতে চান না তাঁরা। আইনি জটিলতার মধ্যে যেতে চান না। তাঁদের ক্ষেত্রে এই ‘বিচ্ছেদ বিবাহ’ সুবিধাজনক বিকল্প। সে কারণেই জাপানের তরুণেরা ঝুঁকেছেন এই দিকে বলে মনে করা হচ্ছে।