Couple discovers a small room in the backyard after buying new home in New Mexico dgtl
Haunted House
ঘরের ভিতর অন্ধকার ‘গুহা’, নতুন বাড়ি কেনার পর ‘ভূতুড়ে’ ঘর দেখে চমকে গেলেন দম্পতি
স্বপ্নের বাড়িটিকে মনের মতো করে সাজাবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু…
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ১৪:০০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
স্ত্রীর নতুন চাকরি। যাতায়াতে সুবিধার জন্য নতুন কর্মস্থলের কাছাকাছি বাড়ি খুঁজছিলেন স্বামী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি বাড়ি পছন্দও হয়। কিনে ফেলার পর তাজ্জব দম্পতি! বাড়ির মধ্যে রয়েছে ‘ভূতুড়ে’ গুহা। গুহার ভিতর ঢুকে চমকে উঠলেন তাঁরা।
০২১২
৩৪ বছরের তরুণ কাইল। স্ত্রীকে নিয়ে নিউ মেক্সিকোয় থাকেন তিনি। কাইলের স্ত্রী একটি কলেজে সদ্য চাকরি পেয়েছেন। তাই সেই কলেজের কাছাকাছি বাড়ির খোঁজ করছিলেন তাঁরা।
০৩১২
কাইল রেডিটে জানান, পর পর অনেক বাড়িই দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু একটিও পছন্দ হচ্ছিল না। অবশেষে বহু খোঁজাখুঁজির পর মনের মতো বাড়ির সন্ধান মেলে।
০৪১২
শুভ কাজে দেরি না করে বাড়িটি কিনে ফেলেন তাঁরা। স্বপ্নের বাড়িটিকে নিজের মতো করে সাজাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন কাইল এবং তাঁর স্ত্রী। নতুন বাড়ি গোছানোর সময় বাড়ির পিছনে একটি ঘর খুঁজে পান তাঁরা। সমাজমাধ্যমে সেই ঘরের ছবি পোস্ট করে কাইল জানান, তা কোনও ‘ভূতুড়ে’ ঘরের চেয়ে কম ভয়ঙ্কর নয়।
০৫১২
কাইল জানান, তাঁদের নতুন বাড়িটির পিছনের দিকে একটি দরজা দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। সামান্য জোর দিতেই দরজাটি খুলে যায়। কাইল দেখতে পান, দরজার মুখ থেকে শুরু হয়েছে সিঁড়ি। ধাপে ধাপে সেই সিঁড়ি নীচে নেমে অন্ধকারে মিশে গিয়েছে।
০৬১২
সিঁড়ির ছবি পোস্ট করে কাইল লেখেন, ‘‘আমার প্রথমে দেখে মনে হয়েছিল কোনও ভূতের ছবি দেখছি। এখনই হয়তো আমাদের সঙ্গে ভয়ঙ্কর কিছু একটা ঘটতে চলেছে। প্রাণের ভয় নিয়েই সিঁড়ি ধরে নীচে নামলাম।’’
০৭১২
অন্ধকার সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় কাইল এবং তাঁর স্ত্রী লক্ষ করেন যে, সিঁড়ির দু’পাশের দেওয়ালের অনেক জায়গায় রং চটে গিয়েছে। কিছু কিছু অংশ ভাঙা।
০৮১২
সিঁড়িটি গিয়ে যেখানে শেষ হয়েছে, সেখানে রয়েছে আরও একটি দরজা। দরজা খোলার পর গুহার মতো সেই ঘরটি দেখে আরও ভয়ের উদ্রেক হয় দম্পতির।
০৯১২
কাইল জানান, সিঁড়ির তলার ঘরটি ছিল অপরিচ্ছন্ন। এ দিক-ও দিক জঞ্জাল পড়ে রয়েছে। স্যাঁতসেঁতে জায়গায় সাপ থাকতে পারে বলে আগে থেকেই সাবধান হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।
১০১২
কাইল বুঝতে পারেন, ঘরটি শব্দপ্রতিরোধী (সাউন্ডপ্রুফ)। অর্থাৎ, ঘরের ভিতর থেকে কোনও আওয়াজ বাইরে যাবে না। আবার বাইরের কোনও শব্দও ঘরের ভিতরে পৌঁছবে না। এমন ভাবে ঘরটি কেন তৈরি করা হল তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন কাইল।
১১১২
কাইলের মতে, বোমার হামলা থেকে রক্ষা পেতে ‘সাউন্ডপ্রুফ’ ঘরে আশ্রয় নেওয়ার জন্যই এমন ব্যবস্থা। সেই কারণে ঘরের আকার অনেকটাই ছোট এবং কোনও আসবাবও নেই সেখানে।
১২১২
‘সাউন্ডপ্রুফ’ ঘরের সন্ধান পেয়ে মন আনন্দে ভরে ওঠে কাইলের। তিনি জানান, গানবাজনার জন্য একটি আলাদা ঘরের শখ ছিল তাঁর। এ বার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পারবেন তিনি। কোন কোন বাদ্যযন্ত্র সেই ঘরে রাখবেন তাঁর একটি তালিকা তৈরি করতে শুরু করে ফেলেছেন কাইল।