পরিচারিকাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, রেখার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে চেয়ারই ভেঙে ফেলেন ওম পুরী!
১৪ বছর বয়স থেকেই বাড়ির পরিচারিকাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে ছিলেন ওমপ্রকাশ পুরী। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী অভিনেতার জীবনী লেখার সময় এই সব গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আনেন। অভিনেতাকে ঘিরে রয়েছে বহু বিতর্ক।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৫৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
ওমপ্রকাশ পুরী। নিজের অভিনয় দক্ষতায় বলিউড থেকে শুরু করে মরাঠি, পাকিস্তানি এবং হলিউডেও একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন।
০২১৯
বড় পর্দায় ওমপ্রকাশের অভিনয় দেখে দর্শকমহল প্রশংসা করলেও অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের এমন কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, যা জানার পর তাঁর উদ্দেশে কুমন্তব্য করেছিলেন অনেকেই।
০৩১৯
অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী নন্দিতা পুরীই তাঁর জীবনের গোপন সত্য প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। অভিনেতার জীবনকাহিনির উপর ভিত্তি করে একটি বই লিখেছিলেন নন্দিতা। সেই বইতে ওমের জীবনের গোপন কথাগুলিরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
০৪১৯
বইতে নন্দিতা লেখেন, অভিনেতার যখন ১৪ বছর বয়স, তখন বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন তিনি। একাধিক বার নাকি সেই মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কেও জড়ান ওম।
০৫১৯
নন্দিতা জানান, তখন সেই পরিচারিকার বয়স ছিল ৫৫ বছর। কৈশোর অবস্থায় নিজের থেকে ৪১ বছরের বড় এক মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন ওম, তা-ও আবার পরিচারিকার সঙ্গে! এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই বলিপাড়ায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়।
০৬১৯
এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে অভিনেতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তির্যক সুরে জানান, এক জন ১৪ বছর বয়সি ছেলে ৫৫ বছর বয়সি মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলে সেখানে কার দোষ বেশি? ছেলেটির না সেই মহিলার?
০৭১৯
শুধু তাই নয়, বইতে নন্দিতার দাবি, লক্ষ্মী নামে আরও এক মহিলার সঙ্গে নিয়মিত যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হতেন ওম।
০৮১৯
এই মহিলাও তাঁর বাড়িতে থাকতেন বলে জানা যায়। নন্দিতা তাঁর লেখা বইয়ে এই ঘটনাটিরও বর্ণনা করেছেন।
০৯১৯
ওমপ্রকাশ অবশ্য লক্ষ্মীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও মুখ খোলেন। অভিনেতা জানান, ছোট থেকে ওম মানুষ হয়েছেন লক্ষ্মীর কাছেই।
১০১৯
‘‘লক্ষ্মী নিঃস্বার্থ হয়ে যে ভাবে আমাকে বড় করে তুলেছেন, আমার সঙ্গে তাঁর যেমন সম্পর্ক ছিল, তা আমার প্রতি তাঁর দায়িত্ব এবং আনুগত্যের প্রতিদান’’—বলেন অভিনেতা।
১১১৯
অভিনেতা আরও জানান, মহাত্মা গান্ধিও তাঁর আত্মজীবনীতে যৌনজীবন নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই বিষয়গুলি খারাপ চোখে দেখার কিছু নেই বলেও জানিয়েছিলেন ওম।
১২১৯
‘‘আমার জীবনের গোপন কথাগুলো নন্দিতাকে বলেছিলাম আমার স্ত্রী বলে। বই লেখার সময় ও আমার যৌনজীবন নিয়ে এমন ভাবে লিখেছে, যেন আমি সারা জীবনে আর কিছুই করিনি’’— বলেন অভিনেতা।
১৩১৯
হঠাৎ নন্দিতা কেন তাঁর জীবনের উপর বই লিখলেন এই নিয়ে প্রশ্ন করলে অভিনেতা জানান, বইটি আসলে অন্য এক জন লিখবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু নন্দিতা নিজে থেকেই এই বিষয়ে আগ্রহ দেখান। তাই অভিনেতাও নাকি তাঁকে আর বাধা দেননি।
১৪১৯
নন্দিতার উপর ক্ষোভপ্রকাশ করে ওম বলেন, ‘‘আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলি বাদ দিয়ে এই সস্তার গল্পে ভরিয়ে দিয়েছে। দুনিয়ায় বাকি স্বামীরাও যেমন তাঁদের স্ত্রীর সঙ্গে মনের কথা ভাগ করেন, আমিও তাই করেছিলাম।’’
১৫১৯
নন্দিতা নিজের জায়গা ভুলে গিয়ে এই বইটি লিখেছেন। সবার সামনে নিয়ে আসার আগে তাঁর এক বার অভিনেতার মান-সম্মানের কথা ভাবা উচিত ছিল বলেও জানান ওম।
১৬১৯
বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর অভিনেতার যৌনজীবন নিয়ে বহু বিতর্কও হয়। সেই প্রসঙ্গে উঠে আসে অভিনেতার একটি সিনেমার যৌনদৃশ্যের কথাও। ১৯৯৫ সালে বাসু ভট্টাচার্যের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘আস্থা: ইন দ্য প্রিসন অফ কিং’ ছবিটি। এই ছবিতে ওম পুরীর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন রেখা। ছবিতে বহু দৃশ্যে দুই তারকাকে ঘনিষ্ঠ ভাবে দেখানো হয়েছিল।
১৭১৯
এমনই এক দৃশ্যে চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গিয়েছিল রেখা এবং ওমকে। কানাঘুষো শোনা যায়, শুট চলাকালীন তাঁরা নাকি সত্যিই একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের ওজন নিতে না পারায় সেটের মধ্যে চেয়ারটি ভেঙেও যায়।
১৮১৯
তবে অভিনেতাকে নিয়ে বিতর্ক এখানেই শেষ নয়। এর আগেও তিনি এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগও উঠেছিল। উরি হামলা প্রসঙ্গে অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘জওয়ানদের সেনাদলে যুক্ত হতে কে বলেছিল? কে বলেছিল হাতে অস্ত্র তুলে নিতে?’’ এই মন্তব্যের মাধ্যমে সেনাদের অপমান করায় অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। পরে অবশ্য এই নিয়ে ওম ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
১৯১৯
নকশালদের নিয়ে মন্তব্য করেও বিতর্কে এসেছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে ওম বলেন, ‘‘নকশালরা আতঙ্কবাদী নন। তাঁরা রাস্তায় বোমা ফেলে সাধারণ মানুষ বা গরিবদের ভয় দেখান না। নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করেন তাঁরা।’’ একটি ছবিতে নকশাল আন্দোলনকারীর চরিত্রে অভিনয় করার সময়ও তিনি এই কথা বলেন।