রবিবার নতুন একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হল, সোমবার মন্দির উদ্বোধনের দিন হাসপাতালের আউটডোর বা বহির্বিভাগ অন্য দিনের মতোই চালু থাকবে। অর্থাৎ, আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করানো রোগীরা ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। হাসপাতালের সমস্ত বিভাগীয় প্রধানকে নয়া এই নির্দেশিকা তাঁদের অধস্তনদের জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘‘২২ জানুয়ারি, সোমবার অযোধ্যায় রামালালার বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ উদ্যাপন হবে গোটা দেশে। সেই উপলক্ষে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে ছুটি ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। এমসের সকল কর্মীদের জ্ঞাতার্থে জানানো হচ্ছে, ২২ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই প্রতিষ্ঠান। সমস্ত কেন্দ্রের প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, শাখা দফতরগুলিকে কর্মীদের বিষয়টি জানানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’’
শনিবারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী দলগুলি-সহ চিকিৎসকদের একাংশ এর সমালোচনায় সরব হন। ওই বিজ্ঞপ্তির পর রাজনৈতিক তরজার পাশাপাশি সমাজমাধ্যমের আলোচনায় উঠে এসেছিল কোভিড পরিস্থিতির কথাও। নেটাগরিকদের একাংশ স্মরণ করিয়ে দেন যে, অতিমারি চলার সময়ে মন্দির বা ধর্মীয় উপাসনালয় বন্ধ থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতাল খোলা ছিল।
কিন্ত এখন একটি মন্দির উদ্বোধনের জন্য কেন হাসপাতাল বন্ধ রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তা ছাড়া জরুরি পরিষেবা এ ভাবে বন্ধ রাখা যায় কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বিতর্কের আবহেই আগের বিজ্ঞপ্তির মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে নয়া বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমস কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেন, সোমবার হাসপাতালের আউটডোরে ‘ছুটি’ থাকছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy