Chilling story of haunted pub in Cambridgeshire dgtl
ghost
Haunted pub: নীচে রয়েছে কবর, বছরে একটি নির্দিষ্ট দিনে ‘ভুতুড়ে’ সব কাণ্ড ঘটে এই হোটেলে
গুজব রয়েছে, ওই ছোট হোটেলটিতে নাকি দিনের শেষে ‘গুড নাইট জুলিয়েট’ না বললে আলো নেভে না।
সংবাদ সংস্থা
লন্ডনশেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২২ ১৬:০৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২২
কেমব্রিজশায়ারের সেন্ট আইভস শহরে একটি জনপ্রিয় পাব ‘ওল্ড ফেরি বোট ইন’। নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এই হোটলটিকে ঘিরে রয়েছে এক করুণ কাহিনি।
০২২২
সেই কাহিনির হাত ধরে উঠে এসেছে নানা ভুতুড়ে গল্প। যা শুনলে হাড়হিম হয়ে যাবে।
০৩২২
স্থানীয় গুজব, ওই ছোট হোটেলটিতে নাকি দিনের শেষে ‘গুড নাইট জুলিয়েট’ না বললে আলো নেভে না। দেশের অন্যতম ‘ভুতুড়ে হোটেল’ হিসাবে ‘ওল্ড ফেরি বোট ইন’কে গণ্য করা হয়।
০৪২২
শুধু তাই নয়, রাতে আরও নানারকম ভুতুড়ে কাণ্ড ঘটে সেখানে। এই সব ভুতুড়ে ঘটনার পিছনে কারণ হিসাবে মনে করা হয় হোটেলটির বারের নীচে থাকা একটি কবর।
০৫২২
যে কবরে চাপা রয়েছে একটি হৃদয়বিদারক প্রেমের গল্প। যে প্রেম পূর্ণতা পায়নি।
০৬২২
কথিত আছে, প্রতি বছর তাঁর মৃত্যুদিনে ওই কবর থেকে উঠে আসে জুলিয়েট টেউসলি নামে এক কিশোরীর অতৃপ্ত আত্মা।
০৭২২
হোটেলের এক প্রাক্তন ম্যানেজার জানিয়েছেন, তিনি একাধিক রাতে বেশ কয়েকটি ভুতুড়ে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন।
০৮২২
১০৫০ সালের ১৭ মার্চ স্থানীয় এক কিশোরী আত্মহত্যা করে। যার বয়স ছিল ১৭ বছর। সে টম জুল নামে এক যুবকের প্রেমে পড়ে।
০৯২২
জুলিয়েট টমকে পাগলের মতো ভালবাসলেও টম তাকে ভালবাসত না। এটা মেনে নিতে পারেনি সে।
১০২২
ওই হোটেলের কাছে, রাস্তার ধারের একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে জুলিয়েট।
১১২২
রাস্তার ধারের গাছে আত্মহত্যা করার পিছনে তার একটি উদ্দেশ্য ছিল। কারণ, ওই রাস্তা দিয়েই টম রোজ কাজে যেত।
১২২২
কাজে যাওয়ার পথে টম যাতে তার দেহ দেখতে পায়, সে কারণেই জুলিয়েট রাস্তার ধারের গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
১৩২২
তবে অন্য একটি গল্প বলে, সে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল।
১৪২২
গল্প যাই হোক না কেন, জুলিয়েটকে কবর দেওয়া হয় হোটেলের পাশে জমিতে। যদিও তখন সেটি ফাঁকা জায়গা ছিল। পরবর্তী কালে ওই কবরের উপরই তৈরি হয় ওই হোটেলটি।
গুজব রয়েছে, প্রতি বছর ১৭ মার্চ মধ্যরাতে নদী থেকে উঠে আসে জুলিয়েটের আত্মা। তার কবরের দিকে যায় সে।
১৭২২
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই দাবি করেন, তাঁরা জুলিয়েটকে কবরের দিকে যেতে দেখেছেন।
১৮২২
হোটেলটির ডিউটি ম্যানেজার জেমি টমসের বলেন, হোটেলটিতে এমন সব কাণ্ডকারখানা হয় তা সাধারণ ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না।
১৯২২
জেমির কথায়, ‘‘রাতের বেলা হঠাৎ হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ শোনা যায়। বিভিন্ন ধরনের বিচিত্র সব শব্দ হতে থাকে।’’
২০২২
যাঁরা ওই হোটেলে রাত্রিবাস করেন তাঁরাও নানা ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। বিশেষত ১৭ মার্চে।
২১২২
সব সময় মনে হয়, বারে কেউ যেন তাঁদের নজর রাখছে। ঘর গরম করার যন্ত্র পূর্ণমাত্রায় থাকলে ঘর ঠান্ডাই থেকে যায়।
২২২২
এ সব সত্ত্বেও হোটেলে অতিথিদের আনাগোনা কমেনি। প্রাক্তন ম্যানেজার মতে, ‘ওল্ড ফেরি বোট ইন’ থাকতে হলে তাঁকে (জুলিয়েট) সম্মান দিয়েই থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে এটি ওর বাড়ি।