champai soren’s government wins the election by proving majority in trust vote of jharkhand assembly dgtl
Jharkhand Political Crisis
ঝাড়খণ্ডের মসনদে অধিকার কায়েম চম্পইয়ের! কেমন ছিল আস্থাভোটের ছবি?
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিলেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। তাঁর পক্ষে ৪৭টি ভোট পড়েছে। বিপক্ষে পড়েছে ২৯টি ভোট।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২১
টানটান উত্তেজনার আবহ ছিল ঝাড়খণ্ডকে ঘিরে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে এসে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক মহলে যে দোলাচল শুরু হয়েছিল, আজকের আস্থা ভোটের ফল তাতে ইতি টানল। চম্পই-ই রইলেন সে রাজ্যের কুর্সিতে।
০২২১
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিলেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। তাঁর পক্ষে ৪৭টি ভোট পড়েছে। বিপক্ষে পড়েছে ২৯টি ভোট।
০৩২১
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসনের সংখ্যা ৮১। জাদুসংখ্যা ৪১। অর্থাৎ, ৪১টি ভোট পেলেই চম্পই সরকারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা যেত।
০৪২১
আস্থা ভোটের পর দেখা গেল, ছ’টি ভোট বেশি পেয়েছে নতুন সরকার।
০৫২১
ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মোট বিধায়ক সংখ্যা ৪৭। এ ছাড়া বিজেপির ২৫ জন, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তিন জন এনসিপি এবং সিপিআই (এমএল)-এর এক জন করে বিধায়ক রয়েছেন। সিপিআই (এমএল)-এরও সমর্থন রয়েছে শাসক জোটের পক্ষে।
০৬২১
তিন জন নির্দল বিধায়কও রয়েছেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়। শাসক জোটের সকলেই নতুন সরকারকে ভোট দিয়েছেন।
০৭২১
সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভার স্পিকার আস্থা ভোট গ্রহণ করেন। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী চম্পইয়ের সমর্থনে রয়েছেন, প্রথমে তাঁদের দাঁড়াতে বলা হয়।
০৮২১
৪৭ জন বিধায়কই দাঁড়িয়ে সমর্থন জানান। এর পর বিপক্ষে কারা রয়েছেন, জানতে চান স্পিকার।
০৯২১
তখন ২৯ জন বিধায়ক দাঁড়িয়েছিলেন। তার পরেই আস্থা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে দেওয়া হয়। করতালিতে ফেটে পড়ে সভাকক্ষ।
১০২১
জমি জালিয়াতি মামলায় ইডির হাতে হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার পরেই ঝাড়খণ্ডের সরকারে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
১১২১
গ্রেফতারির আগে রাজভবনে গিয়ে পদত্যাগ করেন হেমন্ত। তাঁর দলের তরফ থেকে চম্পইয়ের নাম পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রস্তাব করা হয়।
১২২১
শুক্রবার রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন চম্পই। তবে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলেছিলেন।
১৩২১
হেমন্ত আপাতত ইডি হেফাজতে রয়েছেন। সেখান থেকে রাঁচীর আদালতে আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়।
১৪২১
তার পর সোমবার বিধানসভায় গিয়ে আস্থা ভোটের আগে দীর্ঘ ভাষণ দেন হেমন্ত। ভাষণে লোকসভা নির্বাচনের আগে ঝাড়খণ্ডের জনগণ নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করেন তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে।
১৫২১
এমনকি অভিযোগ করেন, এই চক্রান্তে ‘হাত’ আছে রাজভবনেরও। বিধানসভায় ভাষণ দেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পইও।
১৬২১
চম্পই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের দিনেই শুক্রবার রাতে ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের ৩৭ জন বিধায়ককে রাঁচী থেকে হায়দরাবাদের বিমানে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে রিসর্টে ছিলেন ওই বিধায়কেরা।
১৭২১
পরে রবিবার আবার রাঁচীতে ফিরে এসে আস্থা ভোটে অংশ নেন তাঁরা। কোনও বিধায়কই বিরোধিতা করেননি।
১৮২১
ঝাড়খণ্ডের বিজেপি-বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাই সরকারের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে ‘বিধায়ক কেনাবেচা’র আশঙ্কা করেছিলেন।
১৯২১
অতীতে যে অভিযোগ ছিল উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল, কর্নাটক কিংবা মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের ক্ষেত্রে।
২০২১
বিরোধীদের একাংশের আশঙ্কা ছিল, আস্থা ভোটের আগেই বিধায়ক ‘কেনাবেচা’ হয়ে যেতে পারে।
২১২১
সেই ‘ভয়’ থেকেই বিধায়কদের ভিন্রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তেমন কোনও ‘কেনাবেচা’ দেখা গেল না। সোমবার সব বিধায়কের সমর্থন নিয়েই আস্থা ভোটে জয়ী হলেন চম্পই।