Bollywood actor Govinda's father did not take his son on his lap after Govinda's birth dgtl
Govinda
জন্মের পর গোবিন্দকে এক বছর কোলে নেননি তাঁর বাবা, নেপথ্যে কি অভিনেতার মা?
আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে বলিউডে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা গোবিন্দ নাকি অভিনয়ে নামতেই চাননি। পুরনো এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছিলেন তিনি।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১০:২১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
বয়স পেরিয়েছে ৫৯ বছরের গণ্ডি। তবে এখনও কৌতুকাভিনেতা হিসাবে বলিপাড়ার অভিনেতাদের মধ্যে উপরের দিকেই রয়েছেন গোবিন্দ। সাম্প্রতিক কালে অভিনয়জগৎ থেকে দূরে থাকলেও বিভিন্ন রিয়্যালিটি শোয়ে বিচারকের আসনে দেখা যায় অভিনেতাকে।
০২১৪
আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে বলিউডে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা গোবিন্দ নাকি অভিনয়ে নামতেই চাননি। পুরনো এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছিলেন তিনি। গোবিন্দ এ-ও জানিয়েছিলেন যে জন্মের পর নাকি তাঁর বাবা তাঁকে কোলে নিতে চাইতেন না।
০৩১৪
পুরনো সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ জানিয়েছিলেন যে তাঁর মা ধীরে ধীরে ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়ছিলেন। তিনি যা বলতেন সেটাই বাস্তবে ফলে যেত বলেও দাবি করেছিলেন অভিনেতা।
০৪১৪
গোবিন্দের বাবা একটি ছবি প্রযোজনা করার সময় তাঁর সমস্ত সঞ্চিত অর্থ খুইয়ে বসেন। তাঁদের বিলাসবহুল বাংলোও বিক্রি হয়ে যায়। এর পর একটি ছোট বাড়িতে বাবা-মা এবং ভাইবোনদের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন গোবিন্দ।
০৫১৪
আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েন গোবিন্দের বাবা। দীর্ঘ ১৫ বছর অসুস্থতায় ভোগার পর মারা যান তিনি। গোবিন্দ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর জন্মের পর টানা এক বছর গোবিন্দকে কোলে নিয়ে আদর করেননি তাঁর বাবা।
০৬১৪
গোবিন্দ জানিয়েছিলেন, তাঁর জন্মের ঠিক আগে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ধর্মের দিকে ঝোঁকা শুরু করেন তাঁর মা। এক সময় সাধুদের বেশ ধারণ করে বিবিধ আচার-আচরণ পালন করতে শুরু করেন গোবিন্দের মা।
০৭১৪
গোবিন্দের দাবি, তাঁর বাবা ভাবতেন গোবিন্দের মা যে সন্ন্যাসীর জীবন কাটাচ্ছেন তার নেপথ্যে অভিনেতার জন্মের কোনও রকম যোগসূত্র রয়েছে। তাই গোবিন্দের জন্মের পর এক বছর নিজের সন্তানকে কোলে নেননি গোবিন্দের বাবা।
০৮১৪
গোবিন্দ জানিয়েছিলেন, তিনি মায়ের বাধ্য সন্তান ছিলেন। অভিনয়ে নামবেন বলে কোনও দিনও ভাবেননি তিনি। এমনকি চাকরির সন্ধানও শুরু করেছিলেন। কিন্তু গোবিন্দকে চাকরি করতে বাধা দেন তাঁর বাবা।
০৯১৪
গোবিন্দের মতে, তাঁর বাবাই তাঁকে অভিনয়ে নামার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মাঝেমধ্যে মাকে না জানিয়েই তিনি অডিশন দিতে চলে যেতেন। পরে অবশ্য মায়ের কাছে মনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন গোবিন্দ।
১০১৪
গোবিন্দের মা নাকি অনুমান করেছিলেন, ২১ বছর বয়সে গোবিন্দের জীবন আগাগোড়া বদলে যাবে। ঠিক ২১ বছর বয়সেই অভিনয়ে নামেন তিনি। ৫০ দিনের মাথায় ৪৯টি ছবির প্রস্তাবপত্রে সই করেছিলেন গোবিন্দ।
১১১৪
গোবিন্দ জানিয়েছিলেন, তাঁর মা ভজন গেয়ে সংসার চালাতেন। মায়ের নির্দেশে দিনে তিন ঘণ্টা গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতেন অভিনেতা।
১২১৪
গোবিন্দের দাবি, মাকে জীবনের গুরু হিসাবে মানতেন তিনি। প্রতি দিন মায়ের কথা শুনে নিয়ম করে ৪৮ লক্ষ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতেন।
১৩১৪
গোবিন্দের মা নাকি মৃত্যুর দিন আগে থেকেই নির্ধারিত করে রেখেছিলেন। সে বিষয়ে জানিয়েওছিলেন গোবিন্দকে। নিজের মৃত্যুর বিবরণ দেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই নাকি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন গোবিন্দের মা।
১৪১৪
১৯৯৬ সালে গোবিন্দের মা মারা যান। তার পর মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। অসুস্থতার কারণে হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয় গোবিন্দকে। তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর মা একটি মন্ত্র জপ করতে বলেছিলেন। মায়ের নির্দেশানুযায়ী সেই মন্ত্র জপ করেই নাকি মনের জোর ফিরে পেয়েছিলেন গোবিন্দ।