Bobby deol's father-in-law Devendra Ahuja gave his entire property to Tanya deol dgtl
Devendra Ahuja
Bollywood Stars: বিপুল সম্পত্তি, ২০ বছরের ছোট বিমানসেবিকার সঙ্গে প্রেম... ববির শ্বশুরের জীবন যেন ফিল্ম
নিজের ছেলেকে বঞ্চিত করে মেয়ে ও জামাই ববি দেওলের নামেই নাকি সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছিলেন দেবেন্দ্র আহুজা।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২২ ০৯:৫৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
নাম দেবেন্দ্র আহুজা। এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের উচ্চপদে চাকরি করতেন তিনি। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে তিনি ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তিনি আলোর রোশনাইয়ে এসেছিলেন কারণ তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। সম্পর্কে অভিনেতা ববি দেওলের শ্বশুর ছিলেন দেবেন্দ্র।
০২১৩
সিনেমাজগতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও দেবেন্দ্রর জীবন কোনও ফিল্মের চেয়ে কম ছিল না। বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েও তাঁকে নিজের বাড়িঘর ছেড়ে, পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যেতে হয়েছিল।
০৩১৩
১৯৯৪ সাল। মুম্বইয়ের এক ইতালীয় রেস্তরাঁয় ববি দেওলের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল দেবেন্দ্র-কন্যা তানিয়ার। সেখানে দু’জনে কার্ডস খেলতে শুরু করেন। কিন্তু খেলার সময় প্রতি বার তানিয়ার কাছে ববি হেরে যাচ্ছিলেন।
০৪১৩
হেরেছেন বলে তানিয়াকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবও দেন ববি। সেখান থেকেই সম্পর্ক শুরু হয় ববি ও তানিয়ার। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার দু’বছরের মধ্যে তানিয়াকে বিয়ে করেছিলেন ববি দেওল। কিন্তু, এই সময় তানিয়ার বাড়িতে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। অশান্তির কারণ দেবেন্দ্র নিজেই।
০৫১৩
এক বিমানসেবিকার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন দেবেন্দ্র। দু’জনের বয়সের পার্থক্য ছিল ২০ বছরের। এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি দেবেন্দ্রর ছেলে বিক্রম।
০৬১৩
মুম্বইয়ের মেকার টাওয়ার অ্যাপার্টমেন্টের পাঁচ হাজার বর্গফুটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছেড়ে বাবাকে অন্য কোথাও থাকতে বলেন বিক্রম। দেবেন্দ্র ছেলের কথা মতো নরিম্যান পয়েন্টের ২০ তলার একটি ফ্ল্যাটে চলে যান দেবেন্দ্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেই বিমানসেবিকাও।
০৭১৩
যে হেতু, ছেলে তাঁর মতামতের বিরুদ্ধে ছিলেন তাই বিক্রমের সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখতে চাননি দেবেন্দ্র। এমনকি, দলিল বানানোর সময় বিক্রমকে সম্পত্তির ভাগও দেননি। সংবাদপত্রে একটি নোটিস জারি করে তাঁর সম্পত্তির পরবর্তী মালিক কে তা জানিয়েছিলেন দেবেন্দ্র।
০৮১৩
তিনি চেয়েছিলেন, তাঁর শেষকৃত্যের সময় ছেলে নয়, জামাই মুখাগ্নি থেকে শুরু করে সব দায়িত্ব পালন করবেন। পরিবারের কোনও অনুষ্ঠানে বিক্রম এলে দেবেন্দ্র আসতেন না। বাবার নির্দেশ মতো কোনও অনুষ্ঠানে ভাইকে ডাকতেন না তানিয়া।
০৯১৩
২০১০ সালে দেবেন্দ্র যখন হৃদ্রোগে মারা যান, তখন বিক্রমকে সত্যিই কোনও খবর দেওয়া হয়নি। ঘটনার ৪৫ মিনিট পর যখন বিক্রম হাসপাতালে পৌঁছলেন তখন সব শেষ।
১০১৩
দেবেন্দ্রর দেহ যখন মর্গে শায়িত, তখন ববি শ্যুটিংয়ের কাজে বিদেশে ব্যস্ত। টরন্টো থেকে ববি ফিরে আসার পরই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ৩০০ কোটি টাকা সম্পত্তির অধিকারী হন ববি-পত্নী তানিয়া।
১১১৩
বলিউডের একাংশের দাবি, ববি যদি অভিনয় করা বন্ধ করে দেন, তবুও তাঁর স্ত্রীর যে পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তার উপর নির্ভর করে তিনি বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে পারবেন।
১২১৩
এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের মুখোমুখি হন ববি। অভিনেতা দাবি করেন, সম্পত্তির পুরো অংশ তানিয়া পাননি। সম্পত্তি ভাগের দলিল অনুযায়ী, এই সম্পত্তি তাঁর স্ত্রী, প্রেমিকা এবং তাঁর তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন দেবেন্দ্র।
১৩১৩
তবে, বলিপাড়ায় গুঞ্জন, তানিয়া এবং ববি দেবেন্দ্রর সম্পত্তি থেকে যে পরিমাণ অর্থ পেয়েছেন তার বেশির ভাগ ছবির জন্য খরচ করেছেন।