Bhairon Singh Rathore, war hero whose bravery was essayed by Sunil Shetty in Border all you need to know dgtl
Bhairon Singh Rathore
পর্দার নায়কের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন বাস্তবের নায়ক, শেষ ইচ্ছাপূরণ হয়নি বীর যোদ্ধার
১৯৭১ সালের যুদ্ধের নায়ক তিনি। প্রাক্তন সেই বীর সেনা ভৈরোঁ সিংহ রাঠৌরের জীবনাবসান। এই যোদ্ধার চরিত্রই পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন অভিনেতা সুনীল শেট্টি।
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লিশেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৪৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
সে-ও ছিল এক ডিসেম্বর। সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানের বিশাল বাহিনীকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনার যৎসামান্য বাহিনী। মেজর কুলদীপ সিংহ চাঁদপুরীর নেতৃত্বে পঞ্জাব রেজিমেন্টের ২৩ ব্যাটালিয়ন রুখে দিয়েছিল পাক বাহিনীকে। ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর বিএসএফের জওয়ানদের বীরত্বের কাছে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল পাক বাহিনী।
০২১৮
বিএসএফের সেই ছোট্ট দলে ছিলেন ক্যাপ্টেন ভৈরোঁ সিংহ রাঠৌর। যাঁর বীরত্ব আজও প্রত্যেক ভারতীয়কে রোজ প্রেরণা জোগায়। তৈরি হয় তাঁর জীবন-নির্ভর ছবি।
০৩১৮
গত সোমবার ভারতের সেই প্রাক্তন বীর সেনার জীবনাবসান হল। বয়স হয়েছিল ৮১। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের অন্যতম নায়ক তিনি।
০৪১৮
নিজের জীবনকে পরোয়া না করে দেশের জন্য লড়েছিলেন রাঠৌর। তাঁর বীরত্বেই পাক বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল রাজস্থানের লোঙ্গেওয়ালা ছাউনি।
০৫১৮
সোমবার জোধপুরে এমসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। ভারত-পাক যুদ্ধের নায়কের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শোকবার্তায় তাঁর বীরত্বের কথা তুলে ধরেছে বিএসএফ।
০৬১৮
যুদ্ধের ৫১তম বর্ষপূর্তির আগের দিন, অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর জোধপুরে এমসে ভর্তি করানো হয় রাঠৌরকে। তাঁর পুত্র সাওয়াই সিংহ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে, রাঠৌরের ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল। গত কয়েক দিন ধরেই আইসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
০৭১৮
জোধপুর থেকে ১২০ কিমি সোলাঙ্কিয়াতলা গ্রামে থাকে রাঠৌরের পরিবার। মঙ্গলবার সেই গ্রামেই পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন বীর সেনার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।
০৮১৮
১৯৭২ সালে সেনাপদক পান রাঠৌর। ১৯৮৭ সালে নায়েক হিসাবে অবসর নেন তিনি। তবে অবসরের পরও তিনি চর্চায় ছিলেন। বিশেষত, ১৯৯৭ সালের পর থেকে তাঁর বীরগাথা ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। সৌজন্যে ‘বর্ডার’ ছবি।
০৯১৮
ভৈরোঁ সিংহ রাঠৌরের বীরত্বের কাহিনি দেশের কোণায় কোণায় পৌঁছে দিয়েছিল বলিউডের এই ছবি। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক জে পি দত্তের এই ছবি। যা বক্স অফিসে তুফান তুলেছিল।
১০১৮
রাঠৌরকে পর্দায় জীবন্ত করে তুলেছিলেন অভিনেতা সুনীল শেট্টি। ছবির প্রয়োজনে কিছু জিনিস অদলবদল করা হয়েছিল ঠিকই, তবে রুপোলি পর্দায় সুনীলই হয়েছিলেন রাঠৌর।
১১১৮
প্রাক্তন বীর সৈনিকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন সুনীল। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা।’’
১২১৮
‘বর্ডার’ ছবি দেখেছিলেন রাঠৌর। পর্দার রাঠৌরের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশও করেছিলেন বাস্তবের রাঠৌর। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। অধরাই থেকে গেল।
১৩১৮
ভৈরোঁর পুত্র সাওয়াই সিংহ এক ইংরাজি দৈনিককে বলেছেন, ‘‘বর্ডার দেখে আমার বাবা প্রায়ই আক্ষেপ করতেন যে, ওঁর চরিত্রটিকে ছবিতে হত্যা করা হয়েছে।’’ এর পরই তিনি বলেন, ‘‘ওঁর শেষ ইচ্ছা ছিল সুনীল শেট্টির সঙ্গে দেখা করার। আমরা অনেক চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু ইচ্ছাপূরণ হল না।’’
১৪১৮
ছবিতে সুনীলের চরিত্রকে দেখানো হয়েছে যে, যুদ্ধের সময় তিনি বিবাহিত। কিন্তু, বাস্তবে যুদ্ধের সময় রাঠৌর বিবাহিত ছিলেন না। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বিয়ে করেছিলেন রাঠৌর।
১৫১৮
ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দেশপ্রেমের ছবি হিসাবে অন্যতম ‘বর্ডার’। এখনও সুনীলের চরিত্র হৃদয় জুড়ে রয়েছে ভারতবাসীর মধ্যে। ১৯৭১ সালে লোঙ্গেওয়ালায় যুদ্ধে যে সব বীর সৈনিক লড়াই করেছিলেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই ছবি তৈরি করেছিলেন পরিচালক।
১৬১৮
ভৈরোঁ সিংহ রাঠৌরের প্রয়াণে আবার চর্চায় ফিরেছে এই কালজয়ী সিনেমা। এই ছবিতে সুনীল ছাড়াও রয়েছেন সানি দেওল, জ্যাকি শ্রফ, অক্ষয় খন্না, তব্বু, পূজা ভট্ট-সহ আরও অনেকে।
১৭১৮
তিনটি জাতীয় পুরস্কার জিতেছিল এই ছবি। সোনু নিগম ও রূপ কুমার রাঠৌরের গলায় ‘সন্দেশ আতে হ্যায়’ বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
১৮১৮
এই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়েছিলেন বলিপাড়ার তাবড় নায়করা। শাহরুখ, সলমন, আমির খান, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণ, সইফ আলি খান, জুহি চাওলা, সঞ্জয় দত্তের মতো তারকা নানা কারণে ছবির প্রস্তাব ফিরিয়েছিলেন। রাঠৌরের প্রয়াণে আবার চর্চায় ফিরেছে এই কালজয়ী ছবি।