বাংলার থেকে তুলনামূলক ভাবে হিন্দিতেই বেশি কাজ করেছেন। আশি ও নব্বইয়ের দশকে মিঠুন চক্রবর্তীর ছবিতে বাপ্পি’দার গান— সুপারহিট জুটি হয়ে গিয়েছিল। ডিস্কো নাচিয়ে হিসাবে মিঠুনের খ্যাতির পিছনেও জড়িয়েছিল জলপাইগুড়ির অপরেশ এবং বাঁশরী লাহিড়ির ছেলের তৈরি সুর। আবার তাঁর সুরে নেচেছেন অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু বলিউডের বহু তারকা। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘নমক হলাল’, ‘শরাবি’— একের পর এক সুপারহিট ছবিতে অপ্রতিরোধ্য বাপ্পি।
স্বকীয় ছাপের সুরের মতো ভাবমূর্তিতেও স্বতন্ত্র তিনি। ওজনদার ছোটখাটো চেহারায় গা ভর্তি সোনার গয়না। গলায় সোনার একাধিক ভারী চেন। তাতে ঝুলত বড়সড় লকেট। হাতের সব আঙুলে সোনা-রুপোর আংটি। তাতে বসানো বহুমূল্য পাথর। কব্জিতে ব্লেসলেট। বাদ পড়েনি কানের লতিও। তাতে হরেক সাইজের দুল পরতেন। চুলের ছাঁটেও কম কেতা ছিল না। এবং অবশ্যই একটি ওজনদার রোদচশমা। তবে তাঁর সোনার গয়না নিয়েই ঘুরেফিরে প্রশ্ন আসত বাপ্পি’দার কাছে।
তবে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে সম্পত্তির হলফনামা দায়ের করার সময় নিজের সোনার গয়নার হিসাবও দিতে হয়েছিল বাপ্পি’দাকে। ২০১৪ সালে হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন, ৭৫৪ গ্রামের সোনার গয়না রয়েছে তাঁর। সঙ্গে ৪.৬২ কিলোগ্রামের রুপোর গয়না। এ ছাড়াও চার লক্ষ টাকার একটি হিরের আংটিও রয়েছে। তার পর থেকে আট বছর গড়িয়ে গিয়েছে। বাপ্পি’দার গয়নার বাক্সে সম্ভবত আরও সোনাদানা ঢুকেছে।
বাপ্পি’দার গা-ভর্তি সোনার গয়নার নেপথ্যে এলভিস প্রেসলিরও কম অবদান ছিল না। এলভিসের গলাতেও ঝুলত ভারী সোনার ক্রশ। এক সময় ওটাই তাঁর স্টাইল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ‘কিং অব রক অ্যান্ড রোল’-কে নিজের অনুপ্রেরণা মনে করা বাপ্পি’দা বলেছিলেন, ‘‘এলভিস প্রেসলির যে ভাবে নিজের ভাবমূর্তি তৈরি করেছিলেন, তাতে একেবারে মুগ্ধ ছিলাম। ভেবেছিলাম, আমাকেও ওঁর মতো নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে হবে।’’ জানিয়েছেন, হাতে টাকা এলে এলভিসের মতোই গলায় ভারী হার পরার ইচ্ছে ছিল। এক সময় সে ইচ্ছেও পূরণ হয়েছে বাপ্পি’দার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy