Bangladesh Padma Bridge here is the unknown facts dgtl
Padma
Padma Bridge: পদ্মা সেতুর নকশা তৈরিতে চারটি সংস্থা! কিন্তু নেপথ্যে কার মস্তিষ্ক
পদ্মার মতো খরস্রোতা নদীতে সেতু নির্মাণে ঝক্কি ছিলই। নদীর সঙ্গে তাই সামঞ্জস্য রেখে কী ভাবে সেতু তৈরি হবে, তার নকশা তৈরি করা হয়।
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২২ ১২:২১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২৫
বাংলাদেশের ‘স্বপ্নের সেতু’ পদ্মার পথচলা শুরু হতে না হতেই একের পর এক বিপত্তির মুখোমুখি হতে হল বাংলাদেশ সরকারকে। পদ্মা সেতুতে উঠে নাট খুলে এক যুবক টিকটিক ভিডিয়ো করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার বাইক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু যে সেতু ঘিরে এত চর্চা, সেই সেতুর নকশা করেছেন কে?
০২২৫
প্রায় দু’যুগের পরিকল্পনার ফসল পদ্মা সেতু। যা তারা নিজেদের টাকাতেই তিল তিল করে নির্মাণ করেছে বলে দাবি হাসিনা সরকারের।
০৩২৫
এই সেতুটি গড়তে নিজেদের শ্রম উজাড় করে দিয়েছেন দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞরা।
০৪২৫
এই প্রকল্পের পরিচালক মহম্মদ শফিকুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর নকশা, নির্মাণ কাজ কারও একার কৃতিত্বে হয়নি। বহু মানুষের অনেক অবদান রয়েছে।
২০০৯ সালে হংকংয়ে ওই সংস্থার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর নকশা তৈরির কাজ শুরু হয়। তবে তাদের সঙ্গে ছিল অস্ট্রেলিয়ার এসমেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, কানাডার নর্থ ওয়েস্ট হাইড্রলিক কনসালটেন্টস ও বাংলাদেশি এসিই কনসালটেন্টস লিমিটেড।
০৭২৫
জানা গিয়েছে, পদ্মা সেতুর নকশায় এইসিওম টিমের নেতৃত্ব দিয়েছেন ব্রিটিশ নাগরিক রবিন শ্যাম।
০৮২৫
নকশা প্রণয়নে ব্যবস্থাপক হিসেবে এসমেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের হয়ে কাজ করেন অস্ট্রেলিয়ার কেন হুইটলার।
০৯২৫
পদ্মার মতো খরস্রোতা নদীতে সেতু নির্মাণে ঝক্কি ছিলই। নদীর সঙ্গে তাই সামঞ্জস্য রেখে কী ভাবে সেতু তৈরি হবে, তার নকশা তৈরি করেছেন কানাডার ব্রুস ওয়ালেস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জার্মানি ও আমেরিকার বিশেষজ্ঞরাও।
১০২৫
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, সে দেশে এই মুহূর্তে ৫০ কেজির এক বস্তা সিমেন্টের দাম ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। যত ভালই হোক না কেনো, ৬০০ টাকার উপরে সে দেশে কোনও সিমেন্ট নেই। আর পদ্মা সেতুর পিলারে ‘মাইক্রো ফাইন’ নামে যে সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে, যার বস্তা প্রতি খরচ ১৫ হাজার টাকা! এই সিমেন্ট অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে।
১১২৫
পদ্মা সেতু তৈরির জন্য ১১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছিল।
১২২৫
সেতু সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে এই কমিটির মতামত ছিল চূড়ান্ত।
১৩২৫
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ছিলেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুর পর ওই কমিটির প্রধান হন অধ্যাপক শামীম জেড বসুনিয়া।
১৪২৫
এ ছাড়া এই কমিটিতে ছিলেন জাপানের দু’জন, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও আমেরিকার এক বিশেষজ্ঞ।
১৫২৫
পদ্মা সেতুর নকশা, পরিকাঠামো, পাইলিং বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বা কনসালটেন্টদের পরামর্শের বিষয়ে এই কমিটি চূড়ান্ত মতামত দিয়েছে। সে ভাবেই বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
১৬২৫
এই কমিটি ছাড়াও স্টিয়ারিং কমিটি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ছিল।
১৭২৫
পদ্মার মতো খরস্রোতা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেতু তৈরি করতে গিয়ে একাধিক জটিলতা দেখা গিয়েছিল। এমনকি, সেতুর নকশাও বদল করা হয়েছিল।
১৮২৫
পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের তদারকি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের রবার্ট জন এভস।
১৯২৫
পদ্মা সেতুর পুরো নির্মাণকাজ দেখভালের দায়িত্ব ছিল কোরিয়ার সংস্থা এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশনের উপর।
২০২৫
সেতু নির্মাণের কাজ পেয়েছিল চিনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং।
২১২৫
পদ্মা নদীর দুই পাড়ের সংযোগ (সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া) তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশি সংস্থা আব্দুল মোনেম লিমিটেড। মালয়েশিয়ার একটি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা কাজ করেছে।
২২২৫
পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে কমপক্ষে ২০টি দেশের নাগরিকরা জড়িত ছিলেন।
২৩২৫
প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন ১৩৮ জন ব্যক্তি।
২৪২৫
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য (জলের অংশ) ৬.১৫ কিমি। স্থলভাগের অংশ ধরে সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৯ কিমির বেশি।
২৫২৫
অন্য দিকে, পদ্মা সেতু চালু করার পর থেকেই যে ভাবে বিপত্তি ঘটছে, তাতে সাবধানী বাংলাদেশ সরকার। পদ্মা সেতুর উপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গাড়ি থামিয়ে হাঁটার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।