১৯৭১ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাইমন কুজ়নেৎস। পুরস্কার জেতার পর কুজ়নেৎস তাঁর ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘অর্থনীতির নিরিখে পৃথিবীর দেশগুলিকে চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। সেগুলি হল, উন্নত অর্থনীতির দেশ, বিকাশশীল দেশ, জাপান এবং আর্জেন্টিনা।’’ সেই সময়ে এতটাই উন্নত ছিল সেখানকার আর্থিক ব্যবস্থা।
আর্জেন্টিনার উত্তর-পূর্ব দিকে ব্রাজ়িল এবং উরুগুয়ে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা জুড়ে রয়েছে প্যাম্পাস তৃণভূমি। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির প্রায় মধ্য ভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত ওই অঞ্চলটির মাটি অত্যন্ত উর্বর। এ ছাড়া প্যাম্পাস তৃণভূমির উপর দিয়েই বয়ে গিয়েছে একাধিক নদী। এই সব কিছু আর্জেন্টিকাকে কৃষি ক্ষেত্রে সুজলা সুফলা করেছে।
মেসি-মারাদোনার দেশের আর্থিক দুরবস্থার নেপথ্যে দ্বিতীয় কারণ হিসাবে শিল্পের অনগ্রসরতাকে দায়ী করা হয়েছে। খাদ্যশস্য রফতানি থেকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার জেরে শিল্পোৎপানের দিকে একেবারেই নজর দেয়নি বুয়েনস আইরেসের সরকার ও জনগণ। ফলে বিশ্বে আর্থিক মন্দা আসার পর অর্থনীতিকে বাঁচানোর কোনও রাস্তাই খোলা ছিল না তাঁদের হাতে।
৯০-র দশকে মুদ্রাস্ফীতির জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আমজনতার নাগালের বাইরে চলে যায়। ফলে আর্জেন্টিনা জুড়ে শুরু হয় গণবিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই সময়ে দেখামাত্রই গুলি করার মতো কড়া নির্দেশিকা জারি করেন সেনাশাসকেরা। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ) থেকে ফের মোটা অঙ্কের ঋণ নেন তাঁরা।
পাশাপাশি, কর বাড়িয়ে এবং কর্মীদের বেতন কমিয়ে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়াও শিল্পোৎপাদনের দিকে নজর দিতে বলেছে তারা। এ ভাবে আর্থিক অবস্থা ঠিক হতে অনেকটা সময় লাগবে। ফলে দেউলিয়া অবস্থা থেকে মেসি-মারাদোনার দেশ আদৌ বেরিয়ে আসতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy