another Shraddha Walker Murder case in Bangladesh Girl chopped into pieces by lover dgtl
Shraddha Walker Murder
শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া বাংলাদেশেও! প্রেমিকাকে খুন করে টুকরো টুকরো করে দেহ লোপাটের চেষ্টা
প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ টুকরো করলেন এক যুবক। শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের ঘটনার পর আরও এক হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে এল। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে।
সংবাদ সংস্থা
ঢাকাশেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৪৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
শ্রদ্ধা ওয়ালকরের নৃশংস খুনের বিভীষিকায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ফেলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে। এই বীভৎস ঘটনার মতোই আরও এক হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে এল।
০২১৫
শ্রদ্ধাকে খুনের কায়দাতেই প্রেমিকাকে হত্যা করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটলেন যুবক। ঘটনাটি বাংলাদেশের।
০৩১৫
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত চার বছর ধরে খুলনার গোবরচাকা এলাকায় স্বপ্না নামে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাস করেন আবু বকর নামে এক যুবক।
০৪১৫
সম্প্রতি ওই যুবকের সঙ্গে কবিতা নামে এক তরুণীর আলাপ হয়েছিল। কবিতা নামের তরুণীকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার অভিযোগ উঠেছে আবুর বিরুদ্ধে।
০৫১৫
বাংলাদেশের একটি পরিবহণ সংস্থায় কাজ করেন আবু। গত কয়েক দিন ধরেই কাজে যোগ দিচ্ছিলেন না আবু। ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
০৬১৫
এই পরিস্থিতিতে গত ৬ নভেম্বর আবুর ভাড়াবাড়িতে যান সংস্থার এক কর্মী। কিন্তু তিনি দেখেন যে, বাড়িটি তালাবন্ধ। গত কয়েক দিন ধরে আবুর হদিস না পাওয়া যাওয়ায় পুলিশে খবর দেন বাড়ির মালিক।
০৭১৫
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আবুর ঘরের দরজা খুলতেই হতবাক হয়ে যান। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বাক্সের মধ্যে তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পলিথিনে মোড়া ছিল তরুণীর মাথা। হাতগুলি পাওয়া যায়নি। পরে ওই নিহত তরুণীকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁর নাম কবিতা।
০৮১৫
এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ। লিভ-ইন সঙ্গী স্বপ্নার সঙ্গে আবুকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গত চার বছর ধরে স্বপ্নার সঙ্গে সহবাস করতেন আবু, কিছু দিন আগে কবিতার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আবুর। কবিতাকে খুনের পাঁচ দিন আগেই তাঁর সঙ্গে আবুর পরিচয় হয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
০৯১৫
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৫ নভেম্বর ভাড়াবাড়িতে কবিতাকে ডাকেন আবু, সে সময় কাজে বেরিয়েছিলেন স্বপ্না। সে দিন কবিতা ও আবুর মধ্যে ঝগড়া হয়। তার জেরেই কবিতাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে আবুর বিরুদ্ধে। খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান ওই যুবক।
১০১৫
খুনের রাতেই ঢাকা ছেড়ে রূপসা নদী পেরিয়ে স্বপ্নাকে নিয়ে পালান আবু। তবে পরের দিনই কবিতার দেহ উদ্ধারের পরই আবুর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ।
১১১৫
৭ নভেম্বর গাজিপুর জেলা থেকে আবু ও স্বপ্নাকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের কথা আবু স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে খুনের ঘটনায় স্বপ্নার সরাসরি যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
১২১৫
এই ঘটনার সঙ্গে দিল্লিতে শ্রদ্ধা-হত্যার মিল পাচ্ছেন অনেকে। দিল্লি পুলিশের দাবি, গত ১৮ মে দুপুর থেকে আফতাব এবং শ্রদ্ধার মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি শুরু হয়েছিল। মুম্বই থেকে দিল্লিতে আসায় আপত্তি ছিল আফতাবের। তাতেই শ্রদ্ধার সন্দেহ হয় যে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন আফতাব। অন্য মহিলার সঙ্গে আফতাবের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজও দেখে ফেলেছিলেন শ্রদ্ধা। যা নিয়ে তাঁদের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল।
১৩১৫
তদন্তকারীরা জাানিয়েছেন, আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে একটি করাত পাওয়া গিয়েছে। তাঁর ফ্ল্যাটে কোনও কাঠের বা রঙের কাজ করা হয়নি। তা ছাড়া, তাঁদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতেও বিশেষ কেউ আসতেন না। এমনকি, আফতাব নিজের রান্না করতেন না। অনলাইনে খাবার অর্ডার দিতেন। যেগুলি তাঁর ফ্ল্যাটের দরজায় বা বিল্ডিংয়ের প্রধান দরজায় রেখে চলে যেতেন ফু়ড ডেলিভারি সংস্থার কর্মীরা। ফলে ফ্ল্যাটে ওই করাতটি কেন রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৪১৫
তবে শ্রদ্ধা-হত্যার সঙ্গে কবিতা-হত্যার ফারাকও রয়েছে কিছু। মূল ফারাক হল, আবু খুন করেছেন কবিতাকে, যাঁর সঙ্গে তাঁর পরে আলাপ হয়। কিন্তু আফতাব খুন করেন যাঁর সঙ্গে সহবাস করছিলেন, সেই শ্রদ্ধাকে।
১৫১৫
আফতাব-শ্রদ্ধার ঘটনার মধ্যেই বাংলাদেশের এই ঘটনা প্রকাশ্যে এল। দু’ক্ষেত্রেই প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়েছে। দুই ঘটনার নৃশংসতায় সাদৃশ্য বহু।