All you need to know about tea stall owner Dolly Chaiwala, who meets Bill Gates dgtl
Dolly Chaiwala of Nagpur
জানতেনই না চা খাওয়াচ্ছেন বিল গেটসকে! ‘স্টাইলিশ’ চাওয়ালা ডলি এ বার চা খাওয়াতে চান প্রধানমন্ত্রীকে
গেটসের প্রশংসা কুড়োনোর পর ডলিকে নিয়ে মানুষের মনে কৌতূহল বেড়েছে। যাঁরা তাঁকে চিনতেন না, তাঁরাও সমাজমাধ্যমে ডলির খোঁজ শুরু করেছেন।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪ ০৮:০৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
ভারত সফরে এসেছেন মাইক্রোসফ্টের কর্ণধার বিল গেটস। মুকেশ অম্বানী পুত্রের প্রাক্-বিবাহ সমারোহে যোগ দেওয়া ছাড়াও ভারতে এসে দিল্লি আইআইটিতে বক্তৃতা করেছেন তিনি। গিয়েছিলেন ওড়িশার মা মঙ্গলা বস্তিতে।
০২১৯
তবে গেটসের ভারত সফরের মধ্যে যে বিষয়টি সব থেকে বেশি চর্চিত তা হল, নাগপুরের এক চা বিক্রেতার সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতা।
০৩১৯
নাগপুরের সেই চা বিক্রেতা কানপুর-সহ সারা ভারতে ‘ডলি চাওয়ালা’ নামে জনপ্রিয়। অভিনব পদ্ধতিতে ডলির চা তৈরি এবং তা বিক্রির ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে দেখেননি এমন মানুষ বিরল। তাঁর উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেছেন গেটসও। ডলির ভিডিয়ো শেয়ার করে গেটস ভারতের সংস্কৃতিরও প্রশংসা করেছেন। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
০৪১৯
গেটসের প্রশংসা কুড়োনোর পর ডলিকে নিয়ে মানুষের মনে কৌতূহল বেড়েছে। যাঁরা তাঁকে চিনতেন না, তাঁরাও সমাজমাধ্যমে তাঁর খোঁজ শুরু করেছেন।
০৫১৯
কিন্তু কে এই ডলি? সমাজমাধ্যমে ডলির উত্থান ২০২২ সালের শেষ থেকে।
০৬১৯
মহারাষ্ট্রের নাগপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মার্গে ডলির ছোট্ট চায়ের দোকান। রাস্তার একদম ধারে। নাম, ‘ডলি কি টাপরি’।
০৭১৯
অভিনব কায়দায় চা এবং সিগারেট বিক্রি করে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকেন ডলি। ধীরে ধীরে নাগপুরের স্থানীয়দের ভিড় বাড়তে থাকে ডলির দোকানে।
০৮১৯
অনেকে আবার ছিপছিপে চেহারার ডলির রকমারি চশমা এবং কাণ্ডকারখানা দেখার জন্য তাঁর দোকানের কাছে ভিড় জমাতেন। অনেকে আবার ভিড় জমাতেন ডলির চুলের বাহার দেখার জন্য।
মাথার উপর দুধের প্যাকেট তুলে নিয়ে সেখান থেকেই পাত্র লক্ষ্য করে দুধ ঢালেন তিনি। মাঝেমধ্যে দুধ ঢালার সময় তাঁর জিভ সাপের মতো বেরিয়ে আসে।
১১১৯
চা তৈরির পর হাতে করে কাপ ঘুরিয়ে তার পর তাতে চা পরিবেশন করেন ডলি। কখনও চা রাখার কেটলি থেকে সরাসরি চা ঢেলে দেন গ্রাহকদের মুখে। মিহি গলায় গ্রাহকদের সঙ্গে ক্রমাগত কথাও বলে যান।
১২১৯
ডলির চোখে সব সময় থাকে বাহারি চশমা। অনেক সময় একটি চশমা থাকে চোখে, অন্যটি মাথার উপর। কখনও-সখনও বুকপকেটেও একটি করে চশমা গুঁজে রাখেন।
১৩১৯
সমাজমাধ্যমে অনেকে ডলিকে হলিউড অভিনেতা জনি ডেপের সঙ্গে তুলনা করেন। তবে ডলিকে দেখলে এক নজরে অবশ্য এই তুলনা অনাবশ্যক বলেই মনে হবে।
১৪১৯
প্রথম প্রথম ডলির ‘কীর্তিকলাপ’ রেকর্ড করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেন তাঁর গ্রাহকেরাই। কিন্তু জনপ্রিয়তা পেয়ে নিজেই বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে ভিডিয়ো আপলোড করতে থাকেন ডলি।
১৫১৯
বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে ডলির অনুগামীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। সেই ডলির দোকানে এসেই চা খেয়ে ভিডিয়ো করে গেলেন গেটস। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ‘ডলি চাওয়ালার’ ঠেলার সামনে দাঁড়িয়ে বিল গেটস ডলির হাতে বানানো চা খাচ্ছেন।
১৬১৯
বিলের হাবভাব দেখে স্পষ্ট যে, তিনি সেই চা উপভোগ করেছেন। বিল বলেন, ‘‘ভারতে আপনি যেখানেই ঘুরবেন সেখানেই আপনি কিছু নতুনত্ব খুঁজে পেতে পারেন। এমনকি, এক কাপ চা তৈরিতেও কত কায়দা দেখলাম। সত্যিই অভিনব।’’
১৭১৯
নগরীর সদর এলাকায় পুরনো ভিসিএ স্টেডিয়ামের পাশেই ডলির চায়ের দোকান। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ডলির সঙ্গে ছবিও তোলেন বিল গেটস।
১৮১৯
ডলির অবশ্য দাবি, তিনি জানতেনই না যে বিশ্বের অন্যতম ধনকুবেরের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি ভেবেছিলেন গেটস এক জন সাধারণ বিদেশি। তবে পরে তিনি সত্যি জানতে পারেন। ডলি বলেন, ‘‘আমি জানতাম না যে উনি বিল গেটস। আমি ভেবেছিলাম তিনি সাধারণ এক জন বিদেশি। তাই আমার তাঁকে চা পরিবেশন করা উচিত। পরের দিন আমি যখন হায়দরাবাদ থেকে নাগপুরে ফিরে আসি তখন বুঝতে পারি যে কে আমার হাতে চা খেয়ে গিয়েছেন।’’
১৯১৯
ডলি জানিয়েছেন, তাঁর খুব ইচ্ছা, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর হাতে এক কাপ চা খান। তাঁর কথায়, ‘‘ভবিষ্যতে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চা পরিবেশন করতে চাই।’’