সময়কাল ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮-এর মাঝামাঝি। রবিবারের সকালে বাড়িতে বাড়িতে নিয়ম মেনে একই দৃশ্য। পরিবারের আট থেকে আশি সকলেই টেলিভিশনের সামনে বসে। আর একটু পরেই ‘রামায়ণ’ শুরু হবে যে! রাম-লক্ষ্মণ-সীতা-হনুমান-রাবণকে পর্দার পিছনে দেখার উত্তেজনাই আলাদা। ‘রাম’-এর চরিত্রে অরুণ গোভিলের পাশাপাশি দর্শকের মন জয় করেছিলেন সুনীল লহরীও। লক্ষ্মণের চরিত্রে সৌম্যকান্তি, গভীর শান্ত দৃষ্টির সুনীলকে মানিয়েছিলও বটে।
কিন্তু লক্ষ্মণের ভূমিকায় প্রথমে সুনীলকেই পছন্দ করেননি রামানন্দ সাগর। এই চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন সঞ্জয় যোগের কাছে। কিন্তু লক্ষ্মণ নয়, ভরতের চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন সঞ্জয়। রামানন্দের প্রস্তাব সঞ্জয় খারিজ করে দেওয়ায় আবার শুরু হয় লক্ষ্মণের খোঁজ। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, প্রায় দেড়শো জন অভিনেতা এই চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকে সুনীলকে বেছে নেন রামানন্দ।