All you need to know about Gujarat’s first twisted commercial building curv dgtl
India’s Twisted Building
‘কোমর’ বাঁকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে ইমারত! গুজরাতের মানুষকে নতুন নজরানা দিচ্ছে ‘উপহার’ শহর
‘কার্ভ’ ভবনটির অনন্য প্যাঁচানো কাঠামো প্রচলিত বাণিজ্যিক ইমারতগুলির থেকে আলাদা। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং অফিসের জন্য সেই ভবনে রয়েছে ১০ লক্ষ বর্গফুট জায়গা। যার মধ্যে এক তলায় থাকছে বিভিন্ন দোকানপাট।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
গুজরাতের বাসিন্দাদের নতুন উপহার দিতে চলেছে সে রাজ্যের ‘উপহার’ শহর। গুজরাতের গিফ্ট (গুজরাত ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স টেক-সিটি) শহরে তৈরি হতে চলেছে রাজ্যের প্রথম ‘টুইস্টেড টাওয়ার’ বা প্যাঁচানো ভবন।
০২১৪
‘টুইস্টেড টাওয়ার’ হল এক ধরনের ভবন, যার চার দিক সমতল তো হয়ই না, এমনকি ভবনের চার দেওয়াল এক সরলরেখাতেও থাকে না।
০৩১৪
এই ধরনের ভবনগুলি দূর থেকে দেখে মনে হয়, কেউ যেন সেটিকে ধরে পেঁচিয়ে দিয়েছে। অনেকটা মানবদেহের ডিএনএ-র গঠনের মতো।
০৪১৪
গুজরাতের গিফ্ট শহরের সেই ‘টুইস্টেড টাওয়ার’ দেখতেও যেমন বাঁকা, তেমনই সেটির নামও ‘বাঁকা’।
০৫১৪
গিফ্ট শহরে তৈরি হতে চলা ওই ভবনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কার্ভ’। যার অর্থ বেঁকে থাকা বা ঢেউ খেলানো।
০৬১৪
‘কার্ভ’ তৈরির দায়িত্বে রয়েছে গুজরাতের অন্যতম রিয়েল এস্টেট সংস্থা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ‘কার্ভ’ শুধু একটি ভবন নয়, উদ্ভাবন, শৈলী এবং অগ্রগতির একটি প্রমাণ।
০৭১৪
এই ‘কোমর বাঁকানো’ ভবনটি গুজরাতের প্রথম বাণিজ্যিক চিহ্ন হতে চলেছে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
০৮১৪
‘কার্ভ’ ভবনটির অনন্য প্যাঁচানো কাঠামো প্রচলিত বাণিজ্যিক ইমারতগুলির থেকে আলাদা। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং অফিসের জন্য সেই ভবনে রয়েছে ১০ লক্ষ বর্গফুট জায়গা। যার মধ্যে এক তলায় থাকছে বিভিন্ন দোকানপাট। বাকি ৩২টি তলায় থাকছে অফিস খোলার জায়গা।
০৯১৪
‘কার্ভ’-এর নির্মাণকারী সংস্থার দাবি, সেটি একটি ‘গ্রিন বিল্ডিং’ বা পরিবেশ বান্ধব ভবন হতে চলেছে। ওঠানামার সুবিধার জন্য ভবনটিতে মোট ন’টি উচ্চ গতিযুক্ত লিফট থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
১০১৪
অবস্থানের দিক থেকেও ‘কার্ভ’-এর গুরুত্ব অপরিসীম। গিফ্ট শহরের নির্মীয়মাণ মেট্রো স্টেশন থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে অবস্থিত ভবনটি। বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্যই না কি ভবনটি ওই জায়গায় তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
১১১৪
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘কার্ভ’ তৈরি করতে মোট ৭০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বিক্রির সময় সেই ভবনের প্রতি বর্গফুট জায়গা বিক্রি হবে ৭০০০ টাকায়।
১২১৪
নির্মাণকারী সংস্থার দাবি, যে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি অফিস করার জন্য ‘কার্ভ’-এর জায়গা কিনবে বা ভাড়া নেবে, সেই সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে আশপাশের মনোরম দৃশ্যও উপভোগ করতে পারবে।
১৩১৪
‘কার্ভ’-এর নির্মাণকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর চিত্রক শাহ বলেছেন, ‘‘গিফ্ট শহরে একটি বৈগ্রাহিক কাঠামো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে কার্ভ। বিশ্ব দরবারেও ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবে ইমারতটি।’’
১৪১৪
যদিও কার্ভ কবে তৈরি হবে, সে বিষয়ে এখনও বিশদে কিছু জানানো হয়নি।