২০১৫ সালে হরদীপের দলের এই সদস্যেরা কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে হরিয়ানার সিরসায় ডেরা সাচ্চা সৌদায় হামলার ছক কষেছিলেন। নিজে ভারতে ঢুকতে না পেরে প্রাক্তন ডিজিপি মহম্মদ ইজ়হার আলমকে নিশানা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁর সংগঠনকে। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে নিজ্জরকে ২০২০ সালে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে ভারত।
এর পরে চলতি বছরের এপ্রিলে কানাডার নিরাপত্তা বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা (সিএসআইএস) সম্প্রতি তদন্ত রিপোর্টের নির্যাস প্রকাশ করে। তাতে দাবি করা হয়, ২০১৯ এবং ২০২১-এর সাধারণ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পাকিস্তান এবং ভারত গোপনে সক্রিয় ছিল। এই নিয়েও বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। যদিও সেই অভিযোগকেও ভুয়ো বলে উড়িয়ে দেয় ভারত।
কানাডা সরকার সম্প্রতি অভিযোগ তুলেছে, সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারের সঙ্গে নিজ্জর খুনের ‘সম্পর্ক’ রয়েছে। কানাডা সরকারের তদন্তকারী সংস্থা নিজ্জর হত্যায় ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মাকে ‘স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যক্তি’ বলে জানিয়েছিল রবিবার। যদিও কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি।
ভারতীয় হাই কমিশনারকে ফেরানোই শেষ নয়। কানাডা সরকারের অভিযোগের জবাবে ভারতে নিযুক্ত সে দেশের ছ’জন কূটনীতিকেও বহিষ্কার করেছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকার। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতে কানডার কার্যনির্বাহী হাই কমিশনার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কানাডা হাই কমিশনের ছ’জন কূটনীতিককে ১৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ট্রুডো সরকারের ওই পদক্ষেপের জবাবে ভারতে নিযুক্ত কানাডার এক সিনিয়র কূটনীতিককে বহিষ্কার করে পাঁচ দিনের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সোমবার ট্রুডো সরকারের অভিযোগকে, ‘রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতকে অপমান করার একটি ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার’ বলেও জানিয়েছে সাউথ ব্লক। নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে এ বার আবার নতুন করে সংঘাত দুই দেশের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy