অন্য দিকে, মাদুরোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া, চিন, কিউবার মতো দেশ। ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে মাদুরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মাদুরোকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার সব সময়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। গণতান্ত্রিক ও নীতিপরায়ণ রাষ্ট্রব্যবস্থা বজায় রাখতে ভেনেজুয়েলার মতো আমরাও সমান আগ্রহী। আপনাকে রাশিয়ায় স্বাগত জানাচ্ছি, প্রেসিডেন্ট।’’
ভেনেজুয়েলা এক সময় তেল বিক্রি করে এত আয় করেছিল যে, জনতার জন্য বিদ্যুৎ এবং জল বিনামূল্যে দেওয়া শুরু করে উগো চাভেসের সরকার। আমজনতাকে অনেক রকম ভাতা দেওয়াও শুরু হয়। এমনকি বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও ধীরে ধীরে সরকারের আওতায় নিয়ে আসা শুরু হয়। উগোর সরকারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে শুরু করলেও বিপদ ঘনাচ্ছিল অন্য জায়গায়।
ভেনেজুয়েলার আর্থিক পরিস্থিতিও তলানিতে ঠেকে। চাভেস যখন মারা যান, তখন ১১০ ডলারে তেল বিক্রি করত সে দেশ। ২০১৮ সাল নাগাদ তা নেমে দাঁড়িয়েছিল ৫০ ডলারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপুল রাজস্বহানি ঘটে ভেনেজুয়েলা সরকারের। দেশের অভ্যন্তরে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। তাঁর আমলে লিমা (দক্ষিণ আমেরিকার ১৪টি দেশের গোষ্ঠী) থেকেও ছিটকে যায় ভেনেজুয়েলা।
সেই সময়ই ভেনেজুয়েলা নিয়ে সক্রিয় হয় আমেরিকা। অভিযোগ তোলা হয়, সরকারি যন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নির্বাচনে বিপুল রিগিং করেছেন মাদুরো। আর্থিক ক্ষেত্রে ভেনেজুয়েলার মাথার উপরে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝোলানো হয়। জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট— এই অভিযোগে সেই সময় সেনা পাঠানোর হুমকিও দেয় হোয়াইট হাউস।
এই পরিস্থিতিতেই গত শুক্রবার বিরোধী দল ভেন্তে ভেনেজুয়েলার সদর দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে মুখোশধারী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। মাকাদোর দলের দাবি, ভোর ৩টে নাগাদ তাঁদের সদর দফতরে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালানোর পর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং সরঞ্জাম চুরি করে পালিয়েছে। এর পর সে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট তীব্রতর হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy