Aishwarya Rai Bachchan too was chased by Hollywood’s Sexual predator dgtl
Aishwarya
Aishwarya Rai Bachchan: ‘ঐশ্বর্যাকে একা পাব কী ভাবে?’ জানতে চেয়েছিলেন হলিউডের খ্যাতনামী পরিচালক
মিটু আন্দোলনকারীদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। তবে নিজের কোনও খারাপ অভিজ্ঞতার কথা জানাননি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২২ ১৩:১৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
‘মিটু’ নিয়ে যখন লাজ-লজ্জা দূরে ঠেলে হলিউড-বলিউড সরব, তখন আন্দোলনকারীদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। যদিও নিজের কোনও খারাপ অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে জানাননি।
০২১৫
অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হয়তো তেমন কোনও অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হননি। এক দিকে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব, অন্য দিকে তারকাদের সঙ্গে সম্পর্ক, তারপর বচ্চন পরিবারের একজন হয়ে ওঠা ঐশ্বর্যাকে হয়তো কু প্রস্তাব দেওয়া তত সহজ ছিল না।
০৩১৫
কিন্তু ধারণাটি যে পুরোপুরি ঠিক নয়, তা সম্প্রতি জানা গেল ঐশ্বর্যার এক প্রাক্তন ম্যানেজারের বয়ানে।
০৪১৫
ঐশ্বর্যার ওই ম্যানেজারের নাম সিমন শেফিল্ডস। আন্তর্জাতিক সিনেমায় ঐশ্বর্যার যাবতীয় কাজের দেখাশোনা করতেন সিমন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, ঐশ্বর্যার জন্য এক সময় মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন হলিউডের পরিচালক হার্ভে উইনস্টেইন। এ ব্যাপারে সরাসরি প্রস্তাবও রেখেছিলেন সিমনের কাছে।
০৫১৫
হার্ভে হলেন বলিউডের সেই খ্যাতনামী পরিচালক, যাঁকে ঘিরেই হলিউডের ‘মিটু’ আন্দোলনের সূত্রপাত। হলিউডের প্রথম সারির সব অভিনেত্রী এক যোগে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন হার্ভের বিরুদ্ধে।
০৬১৫
অভিযোগকারিণীদের মধ্যে ছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, গিনেথ প্যালট্রো, জেনিফার লরেন্সের মতো অভিনেত্রী। বস্তুত, তারপর থেকে হার্ভেকে হলিউডের ‘সেক্সুয়াল প্রিডেটর’ বা যৌন হেনস্থাকারী বা যৌন শিকারি তকমাও দেওয়া হয়।
০৭১৫
সেই হার্ভের সঙ্গে ঐশ্বর্যার দেখা হয়েছিল কী ভাবে? কবে? সিমন জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন ঐশ্বর্যা। তখন তিনি বিবাহিতা। সঙ্গে ছিলেন স্বামী অভিষেক বচ্চনও।
০৮১৫
বিদেশে তখন বেশ কিছু কাজের প্রস্তাবও আসতে শুরু করেছিল ঐশ্বর্যার কাছে। মাঝে মধ্যেই কাজের প্রয়োজনে হলিউডের ‘সদর শহর’ লস অ্যাঞ্জেলেসে আসছিলেন তিনি। সেই সময়েই বেশ কয়েকবার ঐশ্বর্যার সঙ্গে বৈঠক করেন হার্ভে।
০৯১৫
ম্যানেজার হিসেবে ওই সব বৈঠকে ঐশ্বর্যার সঙ্গেই থাকতেন সিমন। তিনি জানিয়েছেন, বহুবার হার্ভে তাঁকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু সিমন ইচ্ছে করেই সেই সব ইঙ্গিত বুঝতে চাননি।
১০১৫
একবার তেমনই একটি বৈঠকে ঐশ্বর্যার চোখের আড়ালে সিমনকে একা পেয়ে চেপে ধরেন হার্ভে। সিমন জানিয়েছেন, হার্ভে তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন, ঐশ্বর্যাকে একা ঘরে পেতে হলে তাঁকে কী করতে হবে?
১১১৫
জবাবে সিমন যা বলেছিলেন, তার সবটা তিনি প্রকাশ্যে জানাতে পারেননি। বলেছিলেন, সেগুলো ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করা অনুচিত। তবে সিমন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর গ্রাহককে ছোঁওয়ার কোনও সুযোগই তিনি দেবেন না হার্ভেকে।
১২১৫
সে দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে হলিউডের পরিচালককে ‘শূকর’ বলে উল্লেখ করে সিমন বলেছেন, ‘‘ঐশ্বর্যার জন্য মরিয়া হয়ে ও যা করছিল, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এমনকি, আমাকেও আমার কেরিয়ার নিয়ে হুমকি দিতে ছাড়েনি হার্ভে।’’
১৩১৫
বদলা নিতে সে দিন হোটেলে ফিরে হার্ভেকে একটি শূকরের খাবার স্টিলের পাত্র পাঠিয়েছিলেন সিমন। তাতে ভরে দিয়েছিলেন ডায়েট কোক।
১৪১৫
সাধারণ ভাবে পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়া দাওয়াকে ডায়েট বলা হয়। সিমনও সম্ভবত হার্ভেকে তাঁর ‘খিদে’ নিয়ন্ত্রণের বার্তাই দিতে চেয়েছিলেন।
১৫১৫
ঐশ্বর্যা কি ব্যাপারটা জানতেন? না কি তিনি এর কিছুই টের পাননি? সিমনের সাক্ষাৎকারে তার জবাব পাওয়া যায়নি। ঠিক যেমন সিমনের এই দাবির পরও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ঐশ্বর্যা ও।