Adult film sites exploiting 'Deepfake' technology to create fake videos, claims reports dgtl
Deepfake
নীল ছবির যৌনদৃশ্যে অন্যের শরীরে সাঁটা হচ্ছে তারকাদের মুখ! ‘ডিপফেকে’র শিকার হতে পারেন আপনিও
‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির সাহায্যে নীল ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শরীরে সাঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে তারকাদের মুখ। বদলে যাচ্ছে হাবভাব থেকে চলনবলন— সবই হুবহু খ্যাতনামীদের। এ সবই ‘ডিপফেকে’র কেরামতি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২ ০৯:২৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
মুখচোখ, হাবভাব থেকে কণ্ঠস্বর— সবই তারকার। নীল ছবিতে তাঁর যৌনদৃশ্য উপভোগ করছেন আম দর্শক। যদিও সে সব যৌনদৃশ্য আদতে কোনও তারকার নয়।
প্রতীকী ছবি।
০২১৮
‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির সাহায্যে নীল ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শরীরে সাঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে তারকাদের মুখ। বদলে যাচ্ছে হাবভাব থেকে চলনবলন— সবই হুবহু খ্যাতনামীদের। এ সবই ‘ডিপফেকে’র কেরামতি। নীল ছবির দর্শকদের অনুরোধেই নাকি এমনটা করা হচ্ছে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৩১৮
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, পর্ন ছবির দুনিয়ায় ‘ডিপফেকে’র হাত ধরে ‘তারকাদের সেক্স টেপ’-এর রমরমা চলছে। দর্শকদের মধ্যে তা দেখার প্রবণতাও বাড়ছে। আশঙ্কার কথা, এ বার তারকাদের ছেড়ে ‘ডিপফেকে’র শিকার হতে পারেন ভিড়ে মিশে থাকা আমজনতা। এমনকি আপনিও।
প্রতীকী ছবি।
০৪১৮
যে ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মুনাফা কামাচ্ছে অসংখ্য পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট, তা কিন্তু সাম্প্রতিক কালের নয়। নব্বইয়ের দশক থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই প্রযুক্তিতে শান দেওয়া শুরু হয়েছিল। কালে কালে তার ধার বেড়েছে।
প্রতীকী ছবি।
০৫১৮
বছর দুয়েক আগে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটপ্রচারে বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারির একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। তাতে ইংরেজি, হিন্দি এবং হরিয়ানভি ভাষায় ভোটপ্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছিল মনোজকে। মনোজের হুবহু রূপ দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকে। ওই ভুয়ো ভিডিয়োতে ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়েছিল।
—ফাইল চিত্র।
০৬১৮
শুধু মাত্র মনোজই নন, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জ়াকারবার্গও এর শিকার হয়েছেন। ডিজ়িটাল মার্কেটিংয়ের দুনিয়ায় এর ব্যবহার আকছার করা হচ্ছে।
ছবি: সংগৃহীত।
০৭১৮
সহজ ভাবে বলা যায়, ‘ডিপ লার্নিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে সমস্ত ‘ফেক’ (ভুয়ো) ভিডিয়ো তৈরি করা হয়, সেটি হল ‘ডিপফেক’। কারও মুখের অভিব্যক্তি খুঁটিয়ে পড়ে ফেলতে পারে এটি। কণ্ঠস্বরও চিনে নিতে পারে। সে সমস্ত বিশ্লেষণ করে তা অন্য কারও মুখে বসিয়ে দেয়।
প্রতীকী ছবি।
০৮১৮
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিপুল মুনাফা কামাচ্ছে বহু পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট। এমনই একটি ওয়েবসাইটে নাকি প্রতি মাসে ঢুকছেন ১.৩ কোটিরও বেশি লোকজন।
প্রতীকী ছবি।
০৯১৮
যদিও ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির ধারালো হওয়ায় আরও একটি আশঙ্কা বাড়ছে। তারকার মুখ ছাড়াও পর্ন ছবিতে ব্যবহার করা হতে পারে সাধারণের মুখও।
প্রতীকী ছবি।
১০১৮
বিবিসি-র একটি তথ্যচিত্রে এমনই আশঙ্কার কথা শোনানো হয়েছে। নীল ছবিতে ‘ডিপফেকে’র যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ‘ডিপফেক পর্ন: কুড ইউ বি নেক্স?’ নামে ওই তথ্যচিত্রে। সেই সঙ্গে দর্শকদের ভয়ের কথা শুনিয়েছে ওই তথ্যচিত্রটি। তারকাদের ‘শিকারে’র পর এ বার আমজনতাকেও নিশানা করতে পারে পর্ন ইন্ডাস্ট্রি!
ছবি: সংগৃহীত।
১১১৮
ওই তথ্যচিত্রের দাবি, পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটের দেখানো ‘সেক্স টেপে’ কোন তারকার মুখ দেখতে চান, সে অনুরোধ করতে পারেন দর্শকেরা। তথ্যচিত্রের উপস্থাপক জেস ডেভিসকে এমন বহু ‘ডিপফেক’ ওয়েবসাইটের সুলুকসন্ধান দিয়েছেন এর সাংবাদিক জেনিফার স্যাভিন।
প্রতীকী ছবি।
১২১৮
এ হেন সাইটগুলিতে কোন তারকার চাহিদা বেশি? সংবাদমাধ্যমে জেনিফার বলেন, ‘‘দুনিয়াজোড়া বহু তারকাই রয়েছে। তবে দর্শকদের অনুরোধে বেশ কয়েকটি নাম বার বারই ঘুরেফিরে আসে।’’ যদিও তাঁদের নাম খোলসা করেননি জেনিফার।
প্রতীকী ছবি।
১৩১৮
এ ধরনের প্রবণতা যে বাড়ছে তার উদাহরণও দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, একটি জনপ্রিয় পর্ন সাইটে আড়াই লক্ষ সদস্য নিজেদের পছন্দের তারকাদের ‘সেক্স টেপ’ দেখার অনুরোধ করতে থাকেন। তাঁদের চাহিদা মেটাতে ‘ডিপফেকে’র হাত ধরেন পর্ন সাইটের মালিকেরা।
প্রতীকী ছবি।
১৪১৮
ব্রিটিশ তথ্যচিত্রে এমনই এক জনপ্রিয় পর্ন সাইটের মালিক মুখ খুলেছেন। যদিও নিজের নামপরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের সাইটে এ ধরনের ২০ হাজারেরও বেশি ভুয়ো পর্ন ভিডিয়ো রয়েছে।’’ যদিও ওই সাইটটিতে কেবল মাত্র তারকাদের ভুয়ো ভিডিয়ো তৈরি করা হয়।
প্রতীকী ছবি।
১৫১৮
‘ডিপফেকে’র ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ওই আমেরিকান সাইটের মালিক। তাঁর দাবি, ‘‘এই প্রযুক্তি আরও উন্নত হবে। তখন আসল-নকল ভিডিয়োর ফারাক বোঝাটা সহজ হবে না। ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসবে, যখন আমাদের মধ্যে যে কেউ ডিপফেকের শিকার হবে।’’
প্রতীকী ছবি।
১৬১৮
তারকার মুখের বদলে শীঘ্রই হয়তো সাধারণ মানুষের মুখ বসানো হতে পারে। পর্ন ছবিতে যা দেখে ফেলতে পারেন অগণিত মানুষ। এই বিপদ সত্ত্বেও নিজের যুক্তিতে অটল ওই সাইটের মালিক। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, একে আসল ভিডিয়ো বলে না চালালেই হল। এ নিয়ে তারকার অনুমতিরও প্রয়োজন নেই। এটা তো সবই কাল্পনিক। বাস্তব নয়!’’
প্রতীকী ছবি।
১৭১৮
ভুয়ো ‘সেক্স টেপে’ তারকাদের মুখ যথেচ্ছ ব্যবহারে ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হলেও তা বেআইনি নয়। যদি না কেউ এটা প্রমাণ করতে পারেন যে বদনাম করার জন্যই এমনটা করা হয়েছে।
প্রতীকী ছবি।
১৮১৮
‘ডিপফেক’ নিয়ে এত হইচয়ের মাঝে একটি গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন ওই সাইটটির মালিক। তাঁর স্বীকারোক্তি, পর্ন সাইটে যে এই ভুয়ো কাণ্ডকারখানা চলছে, তা জানেনই না তাঁর স্ত্রী!