বাড়ির নাম মে ফেয়ার ম্যানসন। এই বাড়ি লন্ডনের সবচেয়ে দামি বাড়িগুলির একটি। আরও বিশদে বললে লন্ডনের সেরা দামি বাড়ির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মে ফেয়ার ম্যানসনের নাম।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
করোনা কালে ফুলেফেঁপে উঠেছিল ভারতের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ব্যবসা। সম্প্রতি সেই সেরামেরই প্রধান আদর পুনাওয়ালা লন্ডনে একটি বাড়ি কিনলেন।
০২১৫
২০২০ সালে দেশের জন্য বিপুল টিকা তৈরির বরাত দেওয়ার পাশাপাশি, ভারতের বন্ধু দেশগুলির জন্যও টিকা তৈরির দায়িত্ব সেরামকে দিয়েছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাদের তৈরি কোভিশিল্ড টিকা এখনও নিচ্ছে দেশের মানুষ। হিসাব বলছে, টিকা উৎপাদন এবং বিক্রির নিরিখে এখনও বিশ্বের এক নম্বর সংস্থা সেরাম। প্রতি বছরে তাদের ভাঁড়ারে আসে ১১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা।
০৩১৫
টিকা সাম্রাজ্য বহু দিনই দেশ ছাড়িয়ে বিলেতে বিস্তার করেছে সেরাম। এ বার লন্ডনের অন্যতম বিলাসবহুল বাড়িটিও কিনে নিলেন ভারতীয় টিকা সম্রাট।
০৪১৫
বাড়ির নাম মে ফেয়ার ম্যানসন। সংবাদ সংস্থা ফিনান্সিয়াল টাইমসের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী এই বাড়ি লন্ডনের সবচেয়ে দামি বাড়িগুলির একটি। আরও বিশদে বললে লন্ডনের সেরা দামি বাড়ির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মে ফেয়ার ম্যানসনের নাম।
০৫১৫
লন্ডনের হাইড পার্কের কাছে লাল ইটের দেওয়ালের গথিক শিল্পশৈলীর বাড়িটি বরাবরই তার সৌন্দর্যের জন্য তারিফ পেয়ে এসেছে।
০৬১৫
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সিটিতে ১৯২০ সালে এই বাড়ি তৈরি করেছিলেন অ্যাবারকনওয়ের দ্বিতীয় ব্যারন তথা শিল্পপতি হেনরি ম্যাকলারেন। তাঁর পদবির সম্মানে এই বাড়ির নামকরণ করা হয় অ্যাবারকনওয়ে হাউস।
০৭১৫
পরে সেই বাড়ি বহু বার হাতবদল হয়ে আসে পোল্যান্ডের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জ্যান কুলজিকের হাতে। জ্যানের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে বাড়িটি পান তাঁর কন্যা ডমিনিকা কুলজিক। আদর বাড়িটি কিনেছেন ডমিনিকার কাছ থেকেই।
০৮১৫
ছ’তলা উঁচু এই বাড়িতে রয়েছে ছ’টি শোবার ঘর, দু’টি বড় খোলা বারান্দা, অতিথিদের স্বাগত জানানোর রিসেপশন রুম, বড় বসার ঘর, খাবার ঘর, অতিথিদের থাকার ঘর, গ্রন্থাগার, সব্জিবাগান সংলগ্ন রান্নাঘর। তবে এই বাড়ির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর রিসেপশন রুমটিই।
০৯১৫
এই ঘরের ছাদ ৩৫ ফুটেরও বেশি উঁচু। তার দেওয়ালের অর্ধেক কাচের। মাটি থেকে ছাদ পর্যন্ত উঠে গিয়েছে সেই কাচের দেওয়াল।
১০১৫
তবে শুধু স্থাপত্যশৈলী বা আয়তনেই নয়, এই বাড়ির মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে তার ইতিহাসেও।
১১১৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বহু গুপ্ত বৈঠকের সাক্ষী ছিল এই বাড়ি।
১২১৫
লন্ডনের মাটির নীচে টিউব ট্রেনে পথ শহরের বুকে ধমনীর মতো ছড়িয়ে রয়েছে এখন। এই টিউব ট্রেনের ডাউনিং স্ট্রিট স্টেশনে ওয়ার ক্যাবিনেট বানানোর পরিকল্পনাও হয়েছিল এই বাড়িতেই।
১৩১৫
বাড়িটি কিনতে ১৩ কোটি ৮০ লক্ষ ব্রিটিশ পাউন্ড খরচ করেছেন আদর। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৪৪০ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকার সমান।
১৪১৫
এই বাড়িটিই নিজেদের লন্ডনের ঠিকানা হিসাবে ব্যবহার করবে পুনাওয়ালা পরিবার।
১৫১৫
যদিও আদরের পরিবারের ঘনিষ্ঠসূত্র এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, বাড়ি কিনলেও এখনই ভারত ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে লন্ডনে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই পুনাওয়ালা পরিবারের। আপাতত বাড়িটি সেরামের লন্ডন শাখার অতিথি নিবাস হিসাবেও ব্যবহার করা হতে পারে।