পর্ন তারকার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিলেন এক তরুণী। অল্প দিনের আলাপের পরেই পালিয়ে বিয়ে। তার পরই যৌনজীবন রোমাঞ্চকর করতে তৃতীয় মহিলাকে ঘরে তুললেন ওই দম্পতি।
সংবাদ সংস্থা
সিডনিশেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:০৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
প্রেমে পড়লে মানুষ কী না করে! তাই বলে পর্ন তারকার সঙ্গে প্রেম! হ্যাঁ, প্রেম হয় তো করা যায়, কিন্তু সংসার! স্বামী পর্ন তারকা— এটা জেনেও সারা জীবনের জন্য তাঁর হাত ধরার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া নেহাত সহজ কাজ নয়। তবে এমনটাই করে দেখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যুইন্সল্যান্ডের এক তরুণী।
ছবি সংগৃহীত।
০২২০
তাঁর নাম ক্যাটি স্কিটস জোনস। যাঁকে বিয়ে করেছেন তিনি পর্ন তারকা রব ব্যাম্পটন। নীল ছবির দুনিয়ায় অবাধ বিচরণ রবের। সেই রবই কিনা জীবনে থিতু হতে এমন এক তরুণীর হাত ধরেছেন, যিনি কখনও ভাবেননই যে, কোনও পর্ন তারকাকে তিনি জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেবেন।
ছবি সংগৃহীত।
০৩২০
আলাপের মাত্র ৬ সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ২৯ বছরের ক্যাটি ও ৩৭ বছরের রব। স্বামীর পেশা নিয়ে একেবারেই বিচলিত নন ক্যাটি। পরস্ত্রীর সঙ্গে নীল ছবির দুনিয়ায় রবকে হামেশাই দেখা যায়। তবে এ নিয়ে তাঁদের অন্দরমহলে কখনই অশান্তি হয় না। স্বামীর পেশাকে বরং সম্মানের চোখেই দেখেন ক্যাটি।
ছবি সংগৃহীত।
০৪২০
আলাপের ৬ সপ্তাহের মাথায় ক্যাটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রব। ‘হ্যাঁ’ বলতে একদমই দেরি করেননি ক্যাটি। প্রেম নিবেদনের ৪ সপ্তাহের মাথায় পালিয়ে বিয়ে করেন এই যুগল।
ছবি সংগৃহীত।
০৫২০
পর্ন তারকাকে বিয়ে! এ নিয়ে তথাকথিত সমাজ কত কথাই না শোনাবে! কিন্তু ভালবাসা বোধ হয় সবকিছুরই ঊর্ধ্বে। আর তাই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কে কী বলবেন, এ নিয়ে কখনওই মাথা ঘামাননি ক্যাটি। আর চার-পাঁচ জন তরুণ-তরুণীর মতোই বিয়ে নিয়ে একরাশ স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্যাটি ও রব। বিয়ের আগে শপিংও সেরেছিলেন তাঁরা।
ছবি সংগৃহীত।
০৬২০
ডেলি স্টারকে নিজেদের প্রেমকাহিনি প্রসঙ্গে ক্যাটি বলেছেন, ‘‘প্রতিটি সম্পর্কই আলাদা হয়। রবকে আমি সম্মান করি। আমি জানি ওর পেশা কী। ওকে কী করতে হয়। কিন্তু ও কখনই ঠকায় না।’’ আসলে ক্যাট ও রব যেন একে অপরের পরিপূরক।
ছবি সংগৃহীত।
০৭২০
জুটিতে দু’টিতে ভালই সংসার চলছিল ক্যাটি ও রবের। কিন্তু সুখী দাম্পত্য জীবনের একঘেয়েমিতে হাতছানি দিচ্ছিল অন্য রোমাঞ্চ। তাই এক তৃতীয় মানুষের খোঁজ শুরু করলেন তাঁরা। যেন ‘পতি, পত্নী অউর ওহ’।
ছবি সংগৃহীত।
০৮২০
রব ও ক্যাটি দু’জনেই চেয়েছিলেন, তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে কোনও এক তৃতীয় ব্যক্তি আসুক। যৌনজীবনে সেই রোমাঞ্চকে উস্কে দিতে তাই তৃতীয় এক নারীকে নিজেদের ঘরে আনলেন রব ও ক্যাটি। তাঁর নাম মদিনা।
ছবি সংগৃহীত।
০৯২০
যৌনজীবনে বাড়তি উদ্দীপনার রসদ জোগাতে মদিনাই এখন ভরসা রব ও ক্যাটির অন্দরমহলে। এই ত্রয়ী এখন নিজেদের মতো করে ফুরফুরে জীবন উপভোগ করছেন। তিন জনই একে অপরকে পছন্দ করেন। আর তার জেরেই বোধ হয় এই ত্রয়ীর বন্ধন আরও নিবিড় হয়েছে।
ছবি সংগৃহীত।
১০২০
তৃতীয় নারীর আগমনের পরও রব ও ক্যাটির সম্পর্কে কিন্তু ভাটা পড়েনি। বরং নতুন রোমাঞ্চে পা ফেলেছেন তাঁরা। একে অপরকে সুখী রাখতে চান। ভাল থাকতে চান। আর এই ভাল থাকাটা তাঁদের কাছে খুবই জরুরি। সে কারণেই এই রোমাঞ্চকর জীবন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন রব, ক্যাটি ও মদিনা।
ছবি সংগৃহীত।
১১২০
নীল ছবির দুনিয়ায় অবাধ বিচরণ রবের। শুধু এক জন পর্ন তারকাই তিনি নন। যৌনতার নানা উপাদান নিয়ে ভিডিয়োও তৈরি করেন তিনি। এ জন্য রোজই হরেক রকম বিষয়বস্তুকে বেছে নেন রব। যার মধ্যে অন্যতম বহুগামিতা। অর্থাৎ, একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক।
ছবি সংগৃহীত।
১২২০
রব নিজেও বহুগামী। তাঁর যখন ১৯ বছর বয়স, সেই সময় বেশি বয়সি ২ মহিলার সঙ্গে যৌনতায় মেতেছিলেন রব। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যৌনতার সম্পর্কে ছিলেন তিনি।
ছবি সংগৃহীত।
১৩২০
নীল ছবির জগতে দর্শকদের যৌনতার নানা রকম রসদ জোগাতো জোগাতে এ বার ব্যক্তিজীবনেও বহুগামী সম্পর্কে লিপ্ত হলেন রব। এতেই শেষ নয়, বিভিন্ন ‘সেক্স পার্টি’তেও রবের যাওয়া-আসা রয়েছে।
ছবি সংগৃহীত।
১৪২০
স্ত্রীকে নিয়ে এক বার এক ‘সেক্স পার্টি’তে গিয়েছিলেন রব। সেই পার্টি দেখে তাঁরা এতটাই মোহিত হয়েছিলেন যে, পরের বছর নিজেরাই এমন পার্টির আয়োজন করেন। কেমন হয় এই পার্টি? এ নিয়ে মুখ খুলেছেন রব।
ছবি সংগৃহীত।
১৫২০
রবের কথায়, যেখানে এই ধরনের পার্টির আয়োজন করা হয়, সেখানে ‘ডান্স ফ্লোর’ থাকে। যাঁরা পার্টিতে যান, তাঁদের জন্য বসার জায়গা থাকে। সেখানে একে অপরের সঙ্গে আলাপ করার সুযোগ থাকে। সেই আলাপ আরও এগোলে তখন তাঁদের ঠিকানা হয় ‘বেডরুম’।
ছবি সংগৃহীত।
১৬২০
‘সেক্স পার্টি’তে গেলে যে যৌন সম্পর্ক করতেই হবে তার কোনও মানে নেই। কেউ যৌনমিলন করবেন কি না, সেটা তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত। তবে পার্টির পরিবেশে এতটাই উষ্ণতা ছড়ানো থাকে যে, যৌনতার এই আবেদনে সাড়া না দিয়ে কেউই থাকতে পারেন না।
ছবি সংগৃহীত।
১৭২০
পার্টিতে এমন কিছু ঘর থাকে, যেখানে অনেকে একসঙ্গে যৌনমিলনে মত্ত হন। আবার কোনও যুগল অন্য যুগলকে দেখে যৌনতার খেলায় মাতেন। তবে যাঁরা গোপনীয়তা চান এবং একান্তে নিজের সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে চান, তাঁদের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা থাকে।
ছবি সংগৃহীত।
১৮২০
রব জানিয়েছেন, এক একটা পার্টির থিম এক এক রকম হয়। কোনও কোনও ঘরে একসঙ্গে ২০ জন থাকেন। সেখানে তাঁরা নিজেদের মধ্যে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন।
ছবি সংগৃহীত।
১৯২০
‘সেক্স পার্টি’তে উদ্দাম যৌনতায় মাতেন সকলে। কিন্তু শারীরিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নেন না কেউই। নিরাপদে যাতে যৌন মিলন করেন সকলে, তার জন্য থাকে কন্ডোমের ব্যবস্থা। রবের কথায়, ‘‘আমাদের দুনিয়ায় নিরাপদে যৌন মিলন খুবই জরুরি।’’
ছবি সংগৃহীত।
২০২০
‘সেক্স পার্টি’, স্ত্রী ও পরস্ত্রীর সঙ্গে যৌন সংসর্গ— সুখী জীবনে মেতে রয়েছেন রব। জীবনটাকে অন্য রকম ভাবে উপভোগ করতে স্বামী রবের পাশে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ক্যাটিও। তাঁদের এই সুখী দাম্পত্যের কাহিনিতে মজেছেন অনেকেই।