প্রতীকী ছবি।
সারা জীবন কর দিয়ে এসেছেন। অবসরের পরেও সেই দায় থেকে রেহাই নেই। এমনকি কর দেওয়ার পরে যে টাকা সঞ্চয় করেছেন তার থেকে যে আয় করছেন তার উপরও কর দেওয়ার দায় থেকে রেহাই মেলে না। এটা যেমন সত্যি তেমনই এটাও সত্যি যে ৬০ বছর হয়ে গেলে কর ছাড়ের বহরটাও অনেকটাই বেড়ে যায়। যেমন সুদের উপর কর ছাড়ের দায়।
আর এইখানেই আসে আয়করের ৮০ টিটি ধারার উপযোগিতা। ২০১৮ সালের বাজেটে ৮০টিটিবি ধারা চালু হয়। এই ধারায় যে কোনও আর্থিক বছরের যে কোনও সময়ই ৬০ বছর হয়ে গেলেই সেই বছরের আয়ের উপর থেকে একটা অংশ কর মুক্ত হয়ে যায় যদি সেই আয় বিশেষ কিছু সঞ্চয় থেকে আসে।
এই ধারায় ৫০ হাজার টাকার নীচে আয় পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায় যে সঞ্চয়ের সূত্র থেকে সেগুলি হল:
ক) ব্যাঙ্কে রাখা ফিক্সড ও সেভিংস ডিপোজিট থেকে সুদ বাবদ আয় থেকে
খ) কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে গচ্ছিত রাখা টাকার সুদের উপর। তা কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক হতে পারে, কো-অপারেটিভ ল্যান্ড মর্টগেজ ব্যাঙ্ক হতে পারে বা কো-অপারেটিভ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কও হতে পারে।
গ) পোস্ট অফিসে রাখা ডিপোজিটের উপর সুদ
তবে যদি এই তহবিল গচ্ছিত থাকে কোনও পার্টনারশিপ সংস্থার হয়ে, তা হলে কিন্তু যে পার্টনার তার সংস্থার হয়ে সেই টাকা গচ্ছিত রেখেছেন, তিনি কিন্তু এই ছাড়ের সুযোগ পাবেন না।
ধারা ৮০ টিটিএ-র সঙ্গে ছাড়ের অঙ্কে ৮০ টিটিবি-র কিন্তু ফারাক অনেক। প্রথমত ৮০ টিটিবি-র সুযোগ শুধু প্রবীণ নাগরিকরাই নিতে পারেন। ৮০ টিটিএ-র ক্ষেত্রে বয়সের কোনও সীমা নেই। কিন্তু এই ধারায় ছাড়ের সীমা মাত্র ১০ হাজার টাকা। সেখানে ৮০ টিটিবি ধারায় প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছাড়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাই কোনও প্রবীণ নাগরিকই অন্য কোনও ধারায় না আটকালে এই সুযোগ ছেড়ে মাত্র ১০ হাজার টাকার ছাড় নিতে যাবেন কেন?
তবে মাথায় রাখতে হবে এই ছাড় শুধু সেই সব ভারতীয় প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যাঁরা ভারতেই থাকেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy