সব বিনিয়োগেই কিন্তু ঝুঁকি আছে। এটা আমরা অহরহ বলে থাকি। কিন্তু সেই ঝুঁকি যে কী, তা অনেক সময়েই আমাদের কাছে স্পষ্ট থাকে না। শুধু মাথায় মন্ত্রের মতো ঘুরতে থাকে এবং বলতে থাকি সঞ্চয়ে ঝুঁকি আছে। বিনিয়োগের অঙ্কে যেন কোনও ক্ষতি না হয়। আয় কমলে কমুক, কিন্তু মূলধন যেন অক্ষত থাকে। তাই জেনে নিন ইক্যুইটি ফান্ডের ঝুঁকি।
সাধারণ যে চারটি ঝুঁকি সব সময়ে মাথায় রাখবেন:
- মিউচুয়াল ফান্ড থেকে আয়ের কিন্তু কোনও গ্যারান্টি নেই।
- বিনিয়োগের ঝুঁকির তালিকায় আছে লেনদেনের ঝুঁকি, বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতা না পাওয়ার ঝুঁকি।
- বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তহবিলের মূল্যের ওঠা নামা।
- যে তহবিলে বিনিয়োগ করেছেন, সেই তহবিল কিন্তু বৃহত্তর ক্ষেত্রে সুদ ইত্যাদি নিয়ে সরকারি নীতি, বিশ্ববাজারের পরিস্থিতির মতো কারণেও প্রভাবিত হতে পারে।
কিছু নির্দিষ্ট ঝুঁকির তালিকা:
- মূলধন হারানোর ঝুঁকি (খুব কম হলেও আছে)।
- বিক্রি না করতে পারার ঝুঁকি। এটা সাধারণ ঝুঁকিতেও উল্লেখ করা আছে। এটাও কিন্তু একটা নির্দিষ্টঝুঁকি। শেয়ার বাজারে অনেক সময়েই কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ করে দেন। বিভিন্ন কারণে তা হয়ে থাকে। বিশেষত যদি কর্তৃপক্ষ মনে করেন, বিশেষ কোনও স্বার্থে কেউ বাজারে টাকা ঢালছে বা তুলছে এমন ভাবে, যাতে অন্য লগ্নিকারীদের ক্ষতি হতে পারে বা বাজারের পক্ষে যা শুভ নয়। এ রকম হলে আপনি আপনার তহবিল বিক্রি করে টাকা তোলার ক্ষেত্রে আটকে যাবেন বাজারে লেনদেনের উপরে নিষেধাজ্ঞার কারণে।তবে এটাও মাথায় রাখুন যে, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কখনওই দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
- দাম ওঠা-নামার ঝুঁকি। শেয়ার বাজারে তহবিলের বিনিয়োগ যে সব শেয়ারে, তাদের ওঠা-নামার উপর তহবিলের মূল্য নির্ভর করে।
- মাথায় রাখুন আপনি যে তহবিলে বিনিয়োগ করেছেন, তা আগে ভাল করলেই যে আগামী দিনেও ভাল করবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবে বিনিয়োগ করার সময়ে তা দেখতেই হবে। সঙ্গে দেখে নিতে হবে ভবিষ্যতে একই দক্ষতায় চালু থাকার সম্ভাবনাও।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।